চিনা স্পেস ল্যাব ‘তিয়াংগন-১’।-ফাইল চিত্র।
শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ভেঙে পড়ল অকেজো চিনা স্পেস ল্যাব ‘তিয়াংগন-১’। সোমবার ভারতীয় সময় ভোর পৌনে ৫টায়।
চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ম্যানড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং’ ও ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি’ (ইএসএ বা, ‘এসা’)-র নির্ধারিত সময়েই।
‘এসা’র তরফে জানানো হয়েছে, ঘণ্টায় ২৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা অকেজো চিনা স্পেস ল্যাবটি বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই জ্বলে গিয়েছিল। তার টুকরোটাকরাগুলিই পড়েছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে।
২০১৬ সাল থেকেই কক্ষপথে অকেজো হয়ে পড়েছিল চিনা স্পেস ল্যাবটি। তার উপর পৃথিবীর কোনও গ্রাউন্ড স্টেশনেরই কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।
তাই ৮ টন ওজনের লাগাম চিনা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (স্পেস ল্যাব) ‘তিয়াংগন-১’ কখন ঢুকে পড়বে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে, নিশ্চিত ভাবে তা কারও পক্ষেই বলা সম্ভব হচ্ছিল না।
এর আগে বারদু’য়েক সেই দিনক্ষণ বদলাতে বাধ্য হয়েছে ‘এসা’। এজেন্সির তরফে শেষ জানানো হয়েছিল, ওই অকেজো স্পেস ল্যাবটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকবে ৩১ মার্চ। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে যায়। রবিবার ‘এসা’ জানায়, সোমবার ভারতীয় সময় ভোর ৪টে ৫৫ মিনিট থেকে বিকালের মধ্যে যে কোনও সময় তা ঢুকে পড়বে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। একই কথা জানায় চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ম্যান্ড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর অফিসও।
আরও পড়ুন- বড় ধাক্কা খেল ইসরো, সংযোগ বিচ্ছিন্ন সদ্য পাঠানো উপগ্রহের সঙ্গে
আরও পড়ুন- যে কোনও মুহূর্তে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে চিনা স্পেস ল্যাব
৪০ ফুট লম্বা ‘তিয়াংগন-১’ গত দু’বছর ধরে আক্ষরিক অর্থেই, ছিল বেলাগাম। বিশৃঙ্খলও!
চিনা স্পেস ল্যাবটির আরেকটি নাম- ‘হেভেনলি প্যালেস’। চিন যে নিজেদের একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে চলেছে ২০২২ সালের মধ্যে, তার ‘প্রোটোটাইপ’ হিসাবে এই স্পেস ল্যাবটি উৎক্ষেপণ করেছিল ২০১১-য়।
এর আগে ১৯৭৯ সালে নাসার স্পেস স্টেশন ‘স্কাইল্যাব’ ভেঙে পড়েছিল। আর ২০০১ সালে ভেঙে পড়েছিল রাশিয়ার ১৩৫ টন ওজনের ‘মির স্টেশন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy