থার্টি মিটার টেলিস্কোপ (টিএমটি)। ছবি: সংগৃহীত।
আপাতত ভারতে বসছে না বিশ্বের বৃহত্তম টেলিস্কোপ। কোথায় বসানো হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে গ্লোবাল সায়েন্টিফিক কমিউনিটি-তে। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ‘থার্টি মিটার টেলিস্কোপ’ বা টিএমটি নিয়ে উত্সাহ দেখিয়েছিলেন। চেষ্টা করেছিলেন ভারতেই যেন এই বৃহত্তম টেলিস্কোপটি বসানোর ব্যবস্থা করা যায়। সেই মতো আলোচনাও চলছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত এই সুযোগ ভারতের হাতছাড়া হয়। টেলিস্কোপটি বসানো হবে অতলান্তিক মহাসাগরের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে।
এই বৃহত্ টেলিস্কোপটি প্রথমে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাউন্ট মৌনা কিয়া পর্বতের ৪৫০০ মিটার উচ্চতায় বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় গ্লোবাল সায়েন্টিফিক কমিউনিটি (জিএসসি)। কিন্তু হাওয়াই-এর বাসিন্দারা তাঁদের ‘পবিত্র স্থান’ নষ্ট হয়ে যাওয়ার জিগির তুলে প্রতিবাদে সামিল হন। বিক্ষোভের মুখে পড়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় জিএসসি-কে। গ্লোবাল সায়েন্টিফিক কমিউনিটির মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, কানাডা, জাপান, ভারত এবং চিন। এই বিশাল মাপের টেলিস্কোপ বসানোর মতো উপযুক্ত জায়গা না পেয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে জিএসসি-র। সেই সুযোগ ভারতের হাতে আসে। ঠিক হয় লাদাখের হ্যানলে-তে এই টেলিস্কোপ বসানো হবে। ওখানে বিশ্বের উচ্চতম অপটিক্যাল টেলিস্কোপ রয়েছে, যেটার দেখাশোনা করে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাসট্রোফিজিক্স (আইআইপিএ), বেঙ্গালুরু।
সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বাধ সাধে আবহাওয়া। আইআইপিএ-র অধ্যাপক ঈশ্বর রেড্ডি জানান, হ্যানলে টেলিস্কোপটি বসানোর জন্য আদর্শ জায়গা ছিল। কিন্তু ওখানে হাওয়ার গতিবেগ এত বেশি যে টেলিস্কোপটি বসালে সমস্যা হতে পারত। তিনি আরও জানান, বেশির ভাগ সময় হ্যানলে বরফে ঢাকা থাকে। এ সব কারণেই শেষ পর্যন্ত লাদাখে টেলিস্কোপটি বসানোর সিদ্ধান্ত বাতিল হয় বলে মনে করছেন তিনি।
কী কাজ এই টেলিস্কোপের?
ব্রহ্মাণ্ডের অনেক অজানাকে জানার সুযোগ পাওয়া যাবে। কী ভাবে ব্রহ্মাণ্ডের বিবর্তনের প্রথম ধাপ সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে। এ ছাড়া এখনও পর্যন্ত অনেক গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে বিশ্বের ধারণা নেই, সে বিষয়ে আলোকপাত করবে।
আরও খবর...
এক সঙ্গে ৮৩টি উপগ্রহ পাঠিয়ে নয়া নজির গড়ার পথে ইসরো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy