যেখানে যাও না রে ভাই... সাড়া না দিয়ে যাবে কোথায়। মরুভূমি হোক বা মহাকাশ— প্রকৃতির ডাক ফেরাবে কে!
ধরুন খুব জোর পেয়েছে, যেতেই হবে, কিন্তু যাওয়ার জো নেই। কারণ, পরনে রয়েছে বিশেষ পোশাক বা স্পেস স্যুট। মহাকাশবিজ্ঞানীদের অবস্থাটা খানিকটা এ রকমই। তা হলে তখন তাঁরা কী করবেন? উপায় খুঁজতে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে নাসা। মহাকাশে মলত্যাগ করার উপায় বাতলাতে পারলেই হাতে গরম ৩০ হাজার ডলার!
মহাকাশবিজ্ঞানীদের অবশ্য সব সময় এই স্পেস স্যুট পরে থাকতে হয় না। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতি, যেমন মহাকাশে ঘুরে বেড়ানোর সময় এই জ্যাকেট তাঁরা পরেন। দশ ঘণ্টার কাছাকাছি এই জ্যাকেট পরে থাকা যায়। আর সেই সময়েই যদি হঠাৎ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়, তা হলে উপায়? এত দিন পর্যন্ত অবশ্য ভরসা ছিল ডায়াপারই। কিন্তু নাসা বিজ্ঞানীদের মতে, এটা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এবং ভবিষ্যতে গবেষণার জন্য মহাকাশে টানা ছ’দিনও ওই জ্যাকেট পরে থাকতে হতে পারে। তা হলে ১৪৪ ঘণ্টা ডায়াপার পরে থাকতে হবে? ‘‘সব্বোনাশ’’, শুনেই আঁতকে উঠলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তাই নাসা এমন একটা উপায় খুঁজছে যাতে স্পেসস্যুটে নিয়েও ছ’দিনের বর্জ্য দূর করা যেতে পারে। অথচ হাত দিয়ে কিচ্ছুটি করতে হবে না।
কিন্তু মহাকাশে মলত্যাগ কি সহজ কথা? পৃথিবীতে যখন কেউ মলত্যাগ করেন, মাধ্যাকর্ষণের জন্যই তা শরীর থেকে মাটিতে পড়ে যায়। কিন্তু মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই। তাই সে বর্জ্য যাবে কোথায়? শরীরের যেখান থেকে যে বর্জ্য বের হবে, তা শরীরের সেখানেই আটকে থাকবে! পরিস্থিতিটা বোঝাতে গিয়ে নাসার এক বিজ্ঞানী বলেছেন, ‘‘ধরুন মহাকাশে আপনি স্নান করছেন। কিন্তু জলের ফোঁটাগুলো আপনার গা থেকে কিছুতেই যাবে না। কারণ, সেখানে মাধ্যাকর্ষণ প্রায় নেই।’’ তাই হাত দিয়েই সরাতে হবে সেই ফোঁটাগুলো।
ডায়াপার পরে টানা ছ’দিন থাকলে কী হতে পারে? চিকিৎসকেরা বলেছেন, ‘‘ডায়াপার র্যাশ হতে পারে সহজেই। যা সাধারণত বাচ্চাদের হয়। মূত্রনালি বা যোনিতেও এর ফলে সংক্রমণ ঘটতে পারে। এমনকী সেই বিজ্ঞানীর মৃত্যুও হতে পারে।’’ তাই নাসা এমন একটা উপায় খুঁজছে যাতে সব বর্জ্য যেমন, মল, মূত্র বা রক্তস্রাব শরীর থেকে সহজেই বেরিয়ে যাবে। শরীরে লেগে থাকবে না।
বিজ্ঞানীরা চাইছেন, কেউ এমন কিছু ভাবুক যাতে ওই ছ’দিনে রোজ গড়ে অন্তত এক লিটার মূত্র, ৭৫ গ্রাম মল শরীর থেকে দূর করা যেতে পারে। আর রক্তস্রাবের ক্ষেত্রে পরিমাণটা হতে হবে ৮০ মিলিলিটারের কাছাকাছি।
১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে চটপট ভেবে ফেলুন মহাকাশে ইয়ে করার সহজ উপায়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy