Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ভুল স্বীকার করেছিলেন স্টিফেন

১৯৯৩ সালের ২১মে লেখা সেই চিঠির উত্তর এসেছিল পরের মাসেই। জবাব দিয়েছিলেন স্বয়ং হকিং। লিখেছিলেন, ‘‘আপনি সঠিক। আমার ভুল হয়েছিল। পরবর্তী সংস্করণে শুধরে দেওয়া হবে।’’

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:৫৭
Share: Save:

স্টিফেন হকিংয়ের বই ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ পড়ে একটি লাইনে গিয়ে থমকে ছিলেন তিনি। মনে হয়েছিল, নির্ঘাৎ ছাপার ভুল।

ধন্দ কাটাতে ব্রিটিশ পদার্থবিদকে চিঠি লিখেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রথীন্দ্রনারায়ণ বসু। বক্তব্য ছিল এমন— ১৩৬ নম্বর পাতায় চতুর্থ ও পঞ্চম লাইনে এক-এর পরে ৮০টি শূন্য লেখা হয়েছে। ৮৫টি শূন্য থাকা উচিত বলে মনে হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।

১৯৯৩ সালের ২১মে লেখা সেই চিঠির উত্তর এসেছিল পরের মাসেই। জবাব দিয়েছিলেন স্বয়ং হকিং। লিখেছিলেন, ‘‘আপনি সঠিক। আমার ভুল হয়েছিল। পরবর্তী সংস্করণে শুধরে দেওয়া হবে।’’ এ দিন সে কথা বলতে গিয়ে বিস্ময় কাটছিল না প্রবীণ অধ্যাপকের। বললেন, ‘‘অত বড় মাপের মানুষ। কী নির্দ্বিধায় ভুল স্বীকার করেছিলেন!’’

পরে হকিংয়ের বিশেষ কিছু বক্তৃতা ও সাক্ষাৎকারের সংগ্রহ নিয়ে তৈরি অন্য একটি বই ‘ব্ল্যাক হোলস অ্যান্ড বেবি ইউনিভার্স অ্যান্ড আদার এসেজ’ পড়েও দু’টি প্রশ্ন তুলেছিলেন রথীন্দ্রবাবু। ফের চিঠি লিখেছিলেন— ‘‘অক্সিজেন থেকে হিলিয়াম তৈরি হয় লেখা হয়েছে। অক্সিজেন নয়, হাইড্রোজেন হবে।’’ দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল— ‘‘বইয়ে লেখা হয়েছে, মস্তিষ্কে প্রায় (১০)২৬ কণা রয়েছে। কণা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?’’

স্টিফেন হকিংয়ের সেই চিঠি।

আরও পড়ুন: কৃষ্ণগহ্বর অত কালো নয়, তিনিই বলেছিলেন

এ বারে নিজে জবাব দিতে না পারলেও বিজ্ঞানীর সহকারী সু ম্যাসের চিঠি আসে কিছু দিনের মাথায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আপনার উল্লেখ করা ভুলটি সংশোধন করে দেওয়ার কথা প্রফেসর জানিয়েছেন। আর আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, কণা বলতে উনি পরমাণু বুঝিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE