ওরেগনে সূর্যের পূর্ণগ্রাসে দিনদুপুরেই নেমে এল রাতের অন্ধকার। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকায় আজ, সোমবার দেখা গেল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। ৯৯ বছর পর পূর্ণগ্রাসের সাক্ষী রইল আমেরিকার পূর্ব থেকে পশ্চিম উপকূলের সুবিস্তীর্ণ এলাকা। চাঁদের ছায়ায় গ্রহণের আলো-আঁধারি প্রথম দৃশ্যমান হল আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের ওরেগনে। আমেরিকার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার পর থেকে ওরেগনে শুরু হয় সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ। তারপর ধীরে ধীরে তেরছা ভাবে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টে নাগাদ পূর্ণগ্রাস দেখা যায় পূর্ব উপকূলের সাউথ ক্যারোলিনায়। খণ্ডগ্রাস শুরু হয় বিকেল ৪টের পর থেকে। আমেরিকার দক্ষিণপূর্বে দেখা যায় সূর্যের খণ্ডগ্রাস।
নাসা জানিয়েছে, এ বারের সূর্যগ্রহণ বিরলতম। কারণ চাঁদের ছায়ায় এ বার পুরোপুরিই মুখ ঢাকল সূর্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গ্রহণ শুরু হতেই গোটা ওরেগনেই ঝুপ করে নেমে এসেছিল রাতের আঁধার। তাপমাত্রাও ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। আমেরিকায় শেষ বার সূর্যের পূর্ণগ্রাস দেখা গিয়েছিল ১৯১৮ সালে।
আরও পড়ুন: আজ সূর্যের পূর্ণগ্রাসে ঢেকে যাবে আমেরিকা
মাঝআকাশে দেখা গেল ‘হিরের আংটি’। আমেরিকায় সূর্যের পূর্ণগ্রাস। ছবি: এএফপি।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে তোলা পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের দৃশ্য:
It's the moon, sunspots AND the station in front of the sun. @NASA photographer captures station transiting sun during #Eclipse2017 pic.twitter.com/hAVRINz0bv
— International Space Station (@Space_Station) August 21, 2017
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে এ বার শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। বরাবরের মতো খালি চোখে এই গ্রহণ দেখতে নিষেধ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সতর্কবার্তা মেনে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই এ দিন গ্রহণ দেখতে রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
গ্রহণের যাবতীয় কলকাঠিই নাড়ে হল চাঁদ। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময় বছরে দু’বার সূর্যের সামনে দিয়ে যেতেই হয় চাঁদকে। সেই সময় চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবী একেবারে আক্ষরিক অর্থে সরল রেখায় দাঁড়িয়ে গেলে হয় পূর্ণগ্রাস বা বলয় গ্রাস সূর্যগ্রহণ। আর তা ঠিক সরল রেখা না হলে হয় সূর্যের খণ্ডগ্রাস। আমেরিকায় পরবর্তী পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪ সালের ৮ এপ্রিল। এই গ্রহণ কার্যত দেখা যাবে মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা এবং পূর্ব কানাডায়। প্রায় সাড়ে চার মিনিট ধরে ওই পূর্ণগ্রাসের দৃশ্য দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy