অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের (এএসপি) কর্মী, আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা। শনিবার ওই বৈঠকের শেষে সাংসদ জানান, কারখানার কৌশলগত বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে চাপ বাড়ানো হবে।
১৯৭৩ সালে তৈরি হওয়া এই কারখানা লাগাতার লোকসানে চলছে জানিয়ে কারখানার কৌশলগত বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল) এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়।
বিলগ্নিকরণ রুখতে সব শ্রমিক সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। আইএনটিটিইউসি বাদে বাকি সংগঠনগুলি ‘এএসপি বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও’ মঞ্চ গড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গেও দেখা করেছেন মঞ্চের নেতারা। গত, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানার গেটে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূলও। দলের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি ইস্পাত কারখানার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ভদ্রাবতী ও সালেমের কারখানা বাদ দিয়ে শুধু এএসপি-র বিলগ্নিকরণ হচ্ছে।’’
সাংসদের আশ্বাস, বিলগ্নিকরণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে আরও চাপ বাড়ানো হবে। সম্প্রতি তৃণমূলের সাংসদরা ইস্পাত মন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। সাংসদ বলেন, ‘‘লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিষয়টি তোলা হবে। বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে যাব।’’ কারখানার গেটের সামনে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি চলছে এক মাস ধরে। সাংসদের উপস্থিতিতে কর্মীরা উৎসাহিত হন বলে জানান তৃণমূলের ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy