Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Magic

নিজের কপালে আঙুল দেখিয়ে গুলি ছুড়তে বললেন জাদুকর

জাদুকরের কীর্তি। হাত সাফাই থেকে নিমেষে সব কিছু পাল্টে দেওয়া— মুহূর্তেই সব এলোমেলো। জাদুকর তাঁর জাদুদণ্ডের কামাল দেখান মঞ্চ জুড়ে। কেউ জাদুকরি চাহনি দিয়ে সম্মোহিত করে মঞ্চে দর্শকদের আশর্য করে দিতেন। কেউ চোখের দৃষ্টি ফেলে বাঁকিয়ে দেন ধাতব ছুরি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৩:৫১
Share: Save:
০১ ০৭
স্লেট অব হ্যান্ড বা হাত সাফাইয়ের হুডিনি বলা হত স্লাইডিনিকে। তাঁর সম্মোহন করার ক্ষমতা ছিল অসামান্য। সামনে এক দর্শককে বসিয়ে একের পর এক কাগজ গোলা পাকিয়ে তার মাথার উপর দিয়ে পিছনে ছুড়ে দিলেন ওই দর্শক তা টের পেতেন না। তাঁকে যখন স্লাইডিনি জিজ্ঞেস করেন, কাগজ কোথায়? তিনি বলেন, বুঝতে পারছি না। অথচ হলের বাকি দর্শক দেখেছেন, গোলা পাকাতে পাকাতে স্লাইডিনি কাগজটা যুবকের মাথার পিছনে ছুড়ে দিলেন। শেষে স্লাইডিনি ওঁকে দাঁড় করিয়ে পিছন মুড়িয়ে দেখালেন ওঁর পিছনে স্টেজের অংশটা সাদা কাগজের গোলায় প্রায় আলাস্কা হয়ে গেছে! এ খেলার পুরোটাই হাতের বাজি নয়। সঙ্গে স্লাইডিনি ওঁর জাদুকরি চাহনি দিয়ে একটা সম্মোহন জুড়তেন।

স্লেট অব হ্যান্ড বা হাত সাফাইয়ের হুডিনি বলা হত স্লাইডিনিকে। তাঁর সম্মোহন করার ক্ষমতা ছিল অসামান্য। সামনে এক দর্শককে বসিয়ে একের পর এক কাগজ গোলা পাকিয়ে তার মাথার উপর দিয়ে পিছনে ছুড়ে দিলেন ওই দর্শক তা টের পেতেন না। তাঁকে যখন স্লাইডিনি জিজ্ঞেস করেন, কাগজ কোথায়? তিনি বলেন, বুঝতে পারছি না। অথচ হলের বাকি দর্শক দেখেছেন, গোলা পাকাতে পাকাতে স্লাইডিনি কাগজটা যুবকের মাথার পিছনে ছুড়ে দিলেন। শেষে স্লাইডিনি ওঁকে দাঁড় করিয়ে পিছন মুড়িয়ে দেখালেন ওঁর পিছনে স্টেজের অংশটা সাদা কাগজের গোলায় প্রায় আলাস্কা হয়ে গেছে! এ খেলার পুরোটাই হাতের বাজি নয়। সঙ্গে স্লাইডিনি ওঁর জাদুকরি চাহনি দিয়ে একটা সম্মোহন জুড়তেন।

০২ ০৭
মার্কিন মেন্টালিস্ট গ্লেন ফলকেনস্টাইন। মোটা কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে যা-সব সংখ্যা ও মনের ম্যাজিক দেখিয়ে গেছেন, সেই কারণে অনেকে তাঁকে ম্যাজিকের আইনস্টাইন বলেন। ওঁর খেলায় অডিয়েন্স থেকে চার জনকে ডেকে নেওয়া হত। প্রত্যেককে বলা হত ১০০ থেকে ১০০০-এর মধ্যে একটা সংখ্যা ভেবে নিতে। তাঁরা যখন তাদের মনোমত সংখ্যা বোর্ডে লিখছেন, গান্ধারীর মতো চোখ বাঁধা ফলকেনস্টাইন তাদের সেই সব ভাবিত এবং লিখতে থাকা সংখ্যার যোগফল কী দাঁড়াবে তা এক অন্য ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে ফেলতেন।

মার্কিন মেন্টালিস্ট গ্লেন ফলকেনস্টাইন। মোটা কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে যা-সব সংখ্যা ও মনের ম্যাজিক দেখিয়ে গেছেন, সেই কারণে অনেকে তাঁকে ম্যাজিকের আইনস্টাইন বলেন। ওঁর খেলায় অডিয়েন্স থেকে চার জনকে ডেকে নেওয়া হত। প্রত্যেককে বলা হত ১০০ থেকে ১০০০-এর মধ্যে একটা সংখ্যা ভেবে নিতে। তাঁরা যখন তাদের মনোমত সংখ্যা বোর্ডে লিখছেন, গান্ধারীর মতো চোখ বাঁধা ফলকেনস্টাইন তাদের সেই সব ভাবিত এবং লিখতে থাকা সংখ্যার যোগফল কী দাঁড়াবে তা এক অন্য ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে ফেলতেন।

০৩ ০৭
জাদুকরের নাম প্রিন্স শীল। তাঁর একটা খেলা আছে। যেখানে দর্শকদের থেকে ডেকে নেওয়া হয় একজনকে, রাইফেলের ট্রিগার দাগার জন্য। অতিথিকে বলা হল গোটা কয়েক টোটা ভরে নিতে। শীল দাঁড়িয়ে অদূরে। যদি ওঁর মনে হয়, ট্রিগার টিপলে ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার হবে, তবে তিনি আঙুল দেখাবেন নিজের কপালের দিকে। আর গুলি আছে বুঝলে প্লেটের দিকে। দর্শক তাজ্জব হয়ে দেখল, প্লেটে তাক করলে গুলিতে ফেটে চুরমার হচ্ছে সেটা। আর জাদুকর নিজের কপাল দেখালে ফাঁকা আওয়াজ!

জাদুকরের নাম প্রিন্স শীল। তাঁর একটা খেলা আছে। যেখানে দর্শকদের থেকে ডেকে নেওয়া হয় একজনকে, রাইফেলের ট্রিগার দাগার জন্য। অতিথিকে বলা হল গোটা কয়েক টোটা ভরে নিতে। শীল দাঁড়িয়ে অদূরে। যদি ওঁর মনে হয়, ট্রিগার টিপলে ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার হবে, তবে তিনি আঙুল দেখাবেন নিজের কপালের দিকে। আর গুলি আছে বুঝলে প্লেটের দিকে। দর্শক তাজ্জব হয়ে দেখল, প্লেটে তাক করলে গুলিতে ফেটে চুরমার হচ্ছে সেটা। আর জাদুকর নিজের কপাল দেখালে ফাঁকা আওয়াজ!

০৪ ০৭
প্রদীপচন্দ্র সরকার, অর্থাত্ পিসি সরকার জুনিয়র। একটা সময়ে তিনি চোখবাঁধা অবস্থায় ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে ভেলকি দেখাতেন। হল থেকে উঠে আসা দর্শক বোর্ডে কোনও ইংরেজি শব্দ লেখা শুরু করতে না করতেই বোর্ডের আর এক জায়গায় সোঁ সোঁ করে শব্দটা লিখে শেষ করে দিতেন জাদুকর। কেউ হয়তো অনেকগুলো সংখ্যা পর পর লিখলেন। লেখা শেষ হতে না হতেই তাদের যোগফল, বিয়োগফল, গুণফল, ভাগফল দিয়ে দিতেন তিনি।

প্রদীপচন্দ্র সরকার, অর্থাত্ পিসি সরকার জুনিয়র। একটা সময়ে তিনি চোখবাঁধা অবস্থায় ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে ভেলকি দেখাতেন। হল থেকে উঠে আসা দর্শক বোর্ডে কোনও ইংরেজি শব্দ লেখা শুরু করতে না করতেই বোর্ডের আর এক জায়গায় সোঁ সোঁ করে শব্দটা লিখে শেষ করে দিতেন জাদুকর। কেউ হয়তো অনেকগুলো সংখ্যা পর পর লিখলেন। লেখা শেষ হতে না হতেই তাদের যোগফল, বিয়োগফল, গুণফল, ভাগফল দিয়ে দিতেন তিনি।

০৫ ০৭
বিবিসি রেডিয়োয় ‘স্টারলাইট আওয়ার’ নামে মাইন্ড রিডিং শো করতেন মরিস ফোগেল। স্টুডিয়োতে থিক থিক করছে দর্শক, আর খেলা যা চলছে তা রেডিয়োর প্রেজেন্টার নিখুঁত ডিটেলে বর্ণনা করে শোনাচ্ছেন বিবিসি রেডিয়োর বিস্তীর্ণ শ্রোতৃমণ্ডলীকে। এই খেলায় যেমন দর্শকদের থেকে কেউ স্টেজে উঠে এলেই ফোগেল তার মন পড়ে বলে দিচ্ছিলেন তার নাম, বাড়ির ঠিকানা এবং পেশা! এ ভাবে কত জনেরই যে ঠিকুজি-কুষ্টি উগরে বলে দিলেন ক্রমাগত, যে উপস্থিত দর্শক এবং অদৃশ্য শ্রোতা তো বিস্ময়ে বিগলিত।

বিবিসি রেডিয়োয় ‘স্টারলাইট আওয়ার’ নামে মাইন্ড রিডিং শো করতেন মরিস ফোগেল। স্টুডিয়োতে থিক থিক করছে দর্শক, আর খেলা যা চলছে তা রেডিয়োর প্রেজেন্টার নিখুঁত ডিটেলে বর্ণনা করে শোনাচ্ছেন বিবিসি রেডিয়োর বিস্তীর্ণ শ্রোতৃমণ্ডলীকে। এই খেলায় যেমন দর্শকদের থেকে কেউ স্টেজে উঠে এলেই ফোগেল তার মন পড়ে বলে দিচ্ছিলেন তার নাম, বাড়ির ঠিকানা এবং পেশা! এ ভাবে কত জনেরই যে ঠিকুজি-কুষ্টি উগরে বলে দিলেন ক্রমাগত, যে উপস্থিত দর্শক এবং অদৃশ্য শ্রোতা তো বিস্ময়ে বিগলিত।

০৬ ০৭
মাইন্ড রিডিংকে পুরোপুরি বুঝে ওঠা সাধারণ মানুষের পক্ষে সমস্যা! আপাত দৃষ্টিতে একে কিছুটা অতিপ্রাকৃত ভেবে নেওয়া যায়। যদি মাইন্ড রিডিংও অতি তুঙ্গ পর্যায়ের কৌশল, দক্ষতা ও মনঃশক্তির উপর নির্ভর করে। ইজরায়েলি psychic (এ ভাবেই ওঁর বর্ণনা হয়) ইউরি গেলার তো দাবি করতেন যে, তিনি চোখের দৃষ্টি ও মনের শক্তিতে চামচ, ছুরি বাঁকাতে বা সিল করা খামের ভেতরকার কাগজ পাল্টে দিতে পারেন।

মাইন্ড রিডিংকে পুরোপুরি বুঝে ওঠা সাধারণ মানুষের পক্ষে সমস্যা! আপাত দৃষ্টিতে একে কিছুটা অতিপ্রাকৃত ভেবে নেওয়া যায়। যদি মাইন্ড রিডিংও অতি তুঙ্গ পর্যায়ের কৌশল, দক্ষতা ও মনঃশক্তির উপর নির্ভর করে। ইজরায়েলি psychic (এ ভাবেই ওঁর বর্ণনা হয়) ইউরি গেলার তো দাবি করতেন যে, তিনি চোখের দৃষ্টি ও মনের শক্তিতে চামচ, ছুরি বাঁকাতে বা সিল করা খামের ভেতরকার কাগজ পাল্টে দিতে পারেন।

০৭ ০৭
আমাদের দেশে প্রতুলচন্দ্র সরকার অর্থাত্ পিসি সরকার সিনিয়র অসাধারণ মজার সব খেলা দেখিয়েছেন। প্রতুলচন্দ্র ইউরোপের জনবহুল রাস্তায় চোখে মোটা কালো ফেট্টি জড়িয়ে দিব্যি সাইকেল চালিয়ে বেড়িয়েছেন। তার পর হাতপায়ে শিকল বেঁধে তাঁকে শুইয়ে দেওয়া হয়েছে রেললাইনে। অথচ তুমুল বেগে ট্রেন এসে পড়ার আগেই তিনি শিকল খুলে প্ল্যাটফর্মের ওপর!

আমাদের দেশে প্রতুলচন্দ্র সরকার অর্থাত্ পিসি সরকার সিনিয়র অসাধারণ মজার সব খেলা দেখিয়েছেন। প্রতুলচন্দ্র ইউরোপের জনবহুল রাস্তায় চোখে মোটা কালো ফেট্টি জড়িয়ে দিব্যি সাইকেল চালিয়ে বেড়িয়েছেন। তার পর হাতপায়ে শিকল বেঁধে তাঁকে শুইয়ে দেওয়া হয়েছে রেললাইনে। অথচ তুমুল বেগে ট্রেন এসে পড়ার আগেই তিনি শিকল খুলে প্ল্যাটফর্মের ওপর!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE