Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Health

হলুদের কি সবটাই গুণ? নাকি রয়েছে দোষও? অবাক করা তথ্য গবেষকদের

হলুদ নাকি মশলার রানি। রান্নার স্বাদ বাড়াতে বা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি, সব কিছুতেই হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদের গুনাগুণ আমরা ছোট থেকেই শুনে আসছি। তবে জানলে অবাক হবেন, সম্প্রতি একটি গবেষণা এই ধারণাকে পুরোদস্তুর বদলে দিয়েছে। অতিরিক্ত হলুদ খেলে হতে পারে নানা রোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ১১:৪৯
Share: Save:
০১ ০৮
পেট খারাপ: অনেকে বলেন প্রতি দিন কয়েক চা চামচ হলুদ খাওয়া উচিত। কিন্তু, দীর্ঘ দিন বেশি পরিমাণে হলুদ খেলে ডায়েরিয়া, বমি বমি ভাব বা ঘাম (সবার ক্ষেত্রে নয়) হতে পারে।

পেট খারাপ: অনেকে বলেন প্রতি দিন কয়েক চা চামচ হলুদ খাওয়া উচিত। কিন্তু, দীর্ঘ দিন বেশি পরিমাণে হলুদ খেলে ডায়েরিয়া, বমি বমি ভাব বা ঘাম (সবার ক্ষেত্রে নয়) হতে পারে।

০২ ০৮
জরায়ুর উদ্দীপনা: হলুদে ইউটেরাইন স্টিমুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে যা মেন্সট্রুয়াল ফ্লো-কে উদ্দীপিত করে। ফলে গর্ভবতী মহিলা এবং সদ্য মায়েদের হলুদ কম খাওয়াই ভাল।

জরায়ুর উদ্দীপনা: হলুদে ইউটেরাইন স্টিমুল্যান্ট হিসেবে কাজ করে যা মেন্সট্রুয়াল ফ্লো-কে উদ্দীপিত করে। ফলে গর্ভবতী মহিলা এবং সদ্য মায়েদের হলুদ কম খাওয়াই ভাল।

০৩ ০৮
রক্তক্ষরণ: রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় হলুদ। তাই অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট ও অ্যান্টিপ্লেটিলেট ওষুধ খেলে হলুদ এড়িয়ে চলাই ভাল।

রক্তক্ষরণ: রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় হলুদ। তাই অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট ও অ্যান্টিপ্লেটিলেট ওষুধ খেলে হলুদ এড়িয়ে চলাই ভাল।

০৪ ০৮
কেমোথেরাপি: অতিরিক্ত হলুদে কেমোথেরাপি প্রভাব নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তাদের হলুদ না খাওয়াই উচিত।

কেমোথেরাপি: অতিরিক্ত হলুদে কেমোথেরাপি প্রভাব নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তাদের হলুদ না খাওয়াই উচিত।

০৫ ০৮
অ্যালার্জি: সাধারণত ডিম, চিংড়ি ইত্যাদি নানা খাবার থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণা জানাচ্ছে হলুদ থেকেও অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অ্যালার্জি: সাধারণত ডিম, চিংড়ি ইত্যাদি নানা খাবার থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণা জানাচ্ছে হলুদ থেকেও অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

০৬ ০৮
হাইপোগ্লাইসেমিয়া: হলুদে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাত্ করে কমিয়ে দিতে পারে। যাঁদের ডায়াবেটিস নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা থাকে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া: হলুদে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাত্ করে কমিয়ে দিতে পারে। যাঁদের ডায়াবেটিস নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা থাকে।

০৭ ০৮
কিডনিতে পাথর: হলুদ অনেক সময় ক্যালসিয়াম অক্সালেটের বিপাক পরিবর্তিত করে দেয়। অক্সালেট জমে কিডনিতে পাথর তৈরি করে।

কিডনিতে পাথর: হলুদ অনেক সময় ক্যালসিয়াম অক্সালেটের বিপাক পরিবর্তিত করে দেয়। অক্সালেট জমে কিডনিতে পাথর তৈরি করে।

০৮ ০৮
রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা নেই হলুদের: হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিনকে অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মনে করেন চিকিত্সকরা। তবে গবেষকরা এই কারকিউমিনকে অস্থায়ী, প্রতিক্রিয়াশীল, নন-বায়োঅ্যাভেলেবল যৌগ বলে ব্যখ্যা করেছেন। বেশি হলুদ নানা ধরনের ওষুধের কাজে বাধা দেয়। যেমন অ্যাসপিরিন, ওয়ারফারিন এবং কিছু স্টেরয়েডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা নেই হলুদের: হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিনকে অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মনে করেন চিকিত্সকরা। তবে গবেষকরা এই কারকিউমিনকে অস্থায়ী, প্রতিক্রিয়াশীল, নন-বায়োঅ্যাভেলেবল যৌগ বলে ব্যখ্যা করেছেন। বেশি হলুদ নানা ধরনের ওষুধের কাজে বাধা দেয়। যেমন অ্যাসপিরিন, ওয়ারফারিন এবং কিছু স্টেরয়েডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE