Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

গত দশ আইপিএলে ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ পেয়েছেন এই ক্রিকেটারেরা

দশ বছর অতিক্রম করে এ বছর একাদশতম বর্ষে আইপিএল। এই লিগ থেকে দশ বছরে অনেক ক্রিকেটার উঠে এসেছেন আন্তর্জাতিক সার্কিটে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই দশ বছরে কারা ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ পেয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৮ ১১:৩১
Share: Save:
০১ ১১
দশ বছর অতিক্রম করে এ বছর একাদশতম বর্ষে আইপিএল। এই লিগ থেকে দশ বছরে অনেক ক্রিকেটার উঠে এসেছেন আন্তর্জাতিক সার্কিটে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই দশ বছরে কারা ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ পেয়েছেন।

দশ বছর অতিক্রম করে এ বছর একাদশতম বর্ষে আইপিএল। এই লিগ থেকে দশ বছরে অনেক ক্রিকেটার উঠে এসেছেন আন্তর্জাতিক সার্কিটে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই দশ বছরে কারা ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ পেয়েছেন।

০২ ১১
শন মার্শ। ২০০৮ সালে আইপিএল-এর প্রথম সিজনে ১১ ম্যাচে ৬১৬ রান করেছিলেন মার্শ। সেই বছর কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। একটি শতরান এবং পাঁচটি অর্ধশতরান করে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছিলেন এই অজি। তাঁর ব্যাটে ভর করে পঞ্জাব সেই বার সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। মার্শের স্টাইক রেট ছিল ১৩৯.৬৮।

শন মার্শ। ২০০৮ সালে আইপিএল-এর প্রথম সিজনে ১১ ম্যাচে ৬১৬ রান করেছিলেন মার্শ। সেই বছর কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। একটি শতরান এবং পাঁচটি অর্ধশতরান করে অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছিলেন এই অজি। তাঁর ব্যাটে ভর করে পঞ্জাব সেই বার সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। মার্শের স্টাইক রেট ছিল ১৩৯.৬৮।

০৩ ১১
ম্যাথু হেডেন। ২০০৯-এ আইপিএল-এর দ্বিতীয় বর্ষে ১২ ম্যাচে ৫৭২ রান করে সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন অজি ওপেনার ম্যাথু হেডেন। চেন্নাই সুপার কিঙ্গস-এর হয়ে এই কৃতিত্বের মালিক হন তিনি। কোনও শতরান না করলেও পাঁচটি অর্ধশতরান ছিল তাঁর দখলে। তাঁর ব্যবহৃত ‘মঙ্গুজ ব্যাট’ এখনও বেশ জনপ্রিয়। স্টাইক রেট ছিল ১৪৪.৮১।

ম্যাথু হেডেন। ২০০৯-এ আইপিএল-এর দ্বিতীয় বর্ষে ১২ ম্যাচে ৫৭২ রান করে সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন অজি ওপেনার ম্যাথু হেডেন। চেন্নাই সুপার কিঙ্গস-এর হয়ে এই কৃতিত্বের মালিক হন তিনি। কোনও শতরান না করলেও পাঁচটি অর্ধশতরান ছিল তাঁর দখলে। তাঁর ব্যবহৃত ‘মঙ্গুজ ব্যাট’ এখনও বেশ জনপ্রিয়। স্টাইক রেট ছিল ১৪৪.৮১।

০৪ ১১
সচিন তেন্ডুলকর। ‘গড অফ ক্রিকেট’, মাস্টার ব্লাস্টার কতই না নাম তাঁর। ২০১০ সালে আইপিএল-এর তৃতীয় সংস্করণে ‘কমলা টুপি’-র সম্মান ওঠে সচিনের মাথায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে পাঁচটি অর্ধশতরান সমেত ১৫ ম্যাচে ৬১৮ রান করে এই শিরোপা পান তিনি। আজীবন মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত আছেন এই মুম্বইকর। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩২.৬১।

সচিন তেন্ডুলকর। ‘গড অফ ক্রিকেট’, মাস্টার ব্লাস্টার কতই না নাম তাঁর। ২০১০ সালে আইপিএল-এর তৃতীয় সংস্করণে ‘কমলা টুপি’-র সম্মান ওঠে সচিনের মাথায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে পাঁচটি অর্ধশতরান সমেত ১৫ ম্যাচে ৬১৮ রান করে এই শিরোপা পান তিনি। আজীবন মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত আছেন এই মুম্বইকর। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩২.৬১।

০৫ ১১
ক্রিস গেল। ২০১১ সালে আইপিএল-এর চতুর্থ সিজনে অরেঞ্জ ক্যাপ মাথায় পরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস্টোফার হেনরি গেল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে মাত্র ১২ ম্যাচে ৬০৮ রান করে এই সম্মান পান তিনি। এর মধ্যে ছিল দু’টি শতরান এবং তিনটি অর্ধশতরান। স্টাইক রেট ছিল ১৮৩.১৩।

ক্রিস গেল। ২০১১ সালে আইপিএল-এর চতুর্থ সিজনে অরেঞ্জ ক্যাপ মাথায় পরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস্টোফার হেনরি গেল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে মাত্র ১২ ম্যাচে ৬০৮ রান করে এই সম্মান পান তিনি। এর মধ্যে ছিল দু’টি শতরান এবং তিনটি অর্ধশতরান। স্টাইক রেট ছিল ১৮৩.১৩।

০৬ ১১
ক্রিস গেল। টানা দ্বিতীয়বার অরেঞ্জ ক্যাপ মাথায় ওঠে ক্রিস গেল-এর। ২০১২-তে পঞ্চম সিজনে মাত্র ১৪ ম্যাচে ৭৩৩ রান করেন তিনি। একটি শতরান এবং ৭টি অর্ধশতরান করে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হন গেল। সেই বারও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। স্টাইক রেট ছিল ১৬০.৭৪।

ক্রিস গেল। টানা দ্বিতীয়বার অরেঞ্জ ক্যাপ মাথায় ওঠে ক্রিস গেল-এর। ২০১২-তে পঞ্চম সিজনে মাত্র ১৪ ম্যাচে ৭৩৩ রান করেন তিনি। একটি শতরান এবং ৭টি অর্ধশতরান করে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হন গেল। সেই বারও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। স্টাইক রেট ছিল ১৬০.৭৪।

০৭ ১১
মাইকেল হাসি। ২০১৩ সালে ষষ্ঠ সংস্করণে ১৭ ম্যাচে ৭৩৩ রান করে ‘কমলা টুপি’-র সম্মান পান হাসি। ছয়টি অর্ধশতরান রান ছিল তাঁর দখলে। সেই বার চেন্নাই সুপার কিঙ্গস-এর হয়ে এই কৃতিত্বের মালিক হন মিস্টার ক্রিকেট। স্টাইক রেট ছিল ১২৯.৫০। এই সিজনে রানার্স হয়েছিল সিএসকে।

মাইকেল হাসি। ২০১৩ সালে ষষ্ঠ সংস্করণে ১৭ ম্যাচে ৭৩৩ রান করে ‘কমলা টুপি’-র সম্মান পান হাসি। ছয়টি অর্ধশতরান রান ছিল তাঁর দখলে। সেই বার চেন্নাই সুপার কিঙ্গস-এর হয়ে এই কৃতিত্বের মালিক হন মিস্টার ক্রিকেট। স্টাইক রেট ছিল ১২৯.৫০। এই সিজনে রানার্স হয়েছিল সিএসকে।

০৮ ১১
রবিন উথাপ্পা। ২০১৪ সালে আইপিএলের সপ্তম বর্ষে প্রথমবার অরেঞ্জ ক্যাপ মাথায় ওঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা উথাপ্পা-র। ১৬ ম্যাচে ৬৬০ রান করে এই সম্মানে ভূষিত হন তিনি। স্টাইক রেট ছিল ১৩৭.৭৮। সেই বার পাঁচটি অর্ধশতরান ছিল তাঁর ঝুলিতে। এই সিজনে আইপিএল চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল কেকেআর।

রবিন উথাপ্পা। ২০১৪ সালে আইপিএলের সপ্তম বর্ষে প্রথমবার অরেঞ্জ ক্যাপ মাথায় ওঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা উথাপ্পা-র। ১৬ ম্যাচে ৬৬০ রান করে এই সম্মানে ভূষিত হন তিনি। স্টাইক রেট ছিল ১৩৭.৭৮। সেই বার পাঁচটি অর্ধশতরান ছিল তাঁর ঝুলিতে। এই সিজনে আইপিএল চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল কেকেআর।

০৯ ১১
ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৫ সালে অষ্টম সংস্করণে ১৪ ম্যাচে ৫৬২ রান করেন ওয়ার্নার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হিসেবে কমলা টুপি মাথায় ওঠে তাঁর। এই সিজনে কোনও শতরান না করলেও সাতটি অর্ধশতরান করেন তিনি। স্টাইক রেট ছিল ১৫৬.৫৪।

ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৫ সালে অষ্টম সংস্করণে ১৪ ম্যাচে ৫৬২ রান করেন ওয়ার্নার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হিসেবে কমলা টুপি মাথায় ওঠে তাঁর। এই সিজনে কোনও শতরান না করলেও সাতটি অর্ধশতরান করেন তিনি। স্টাইক রেট ছিল ১৫৬.৫৪।

১০ ১১
বিরাট কোহালি। এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড গড়েন বিরাট। ২০১৬ সালে নবম সিজনে মাত্র ১৬ ম্যাচে ৯৭৩ রান করে এই নজির গড়েন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘গ্ল্যামার বয়’। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহালি এই সিজনে চারটি শতরান এবং সাতটি অর্ধশতরান করে অরেঞ্জ ক্যাপ পান। স্টাইক রেট ছিল ১৫২.০৩। এই সিজনে রানার্স হয় বিরাটের আরসিবি।

বিরাট কোহালি। এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড গড়েন বিরাট। ২০১৬ সালে নবম সিজনে মাত্র ১৬ ম্যাচে ৯৭৩ রান করে এই নজির গড়েন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘গ্ল্যামার বয়’। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহালি এই সিজনে চারটি শতরান এবং সাতটি অর্ধশতরান করে অরেঞ্জ ক্যাপ পান। স্টাইক রেট ছিল ১৫২.০৩। এই সিজনে রানার্স হয় বিরাটের আরসিবি।

১১ ১১
ডেভিড ওয়ার্নার। ফের একবার কমলা টুপির অধিকারী হন এই অজি মারকাটারি ব্যাটসম্যান। ২০১৭ সালে আইপিএলের দশম সংস্করণে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার ১৪ ম্যাচে ৬৪১ রান করেন, যার মধ্যে ছিল একটি শতরান ও চারটি অর্ধশতরান। স্টাইক রেট ১৪১.৮১।

ডেভিড ওয়ার্নার। ফের একবার কমলা টুপির অধিকারী হন এই অজি মারকাটারি ব্যাটসম্যান। ২০১৭ সালে আইপিএলের দশম সংস্করণে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার ১৪ ম্যাচে ৬৪১ রান করেন, যার মধ্যে ছিল একটি শতরান ও চারটি অর্ধশতরান। স্টাইক রেট ১৪১.৮১।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE