Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মহাসাগরের মধ্যে আস্ত শহর, থাকতে চান?

ভাসতে ভাসতে থাকা, আবার ডুবতে ডুবতে ভাসা। চারিদিকে গভীর-নীল জল। যতদূর চোখ যায় স্থলের কোনও চিহ্ন মাত্র নেই। আর তার মধ্যেই দিব্যি ভেসে আস্ত একটা শহর। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার কী নেই সেখানে?

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:৪৮
Share: Save:
০১ ১২
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের শান্ত নীল জলের মধ্যেই তৈরি হবে ভাসমান এই শহর।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের শান্ত নীল জলের মধ্যেই তৈরি হবে ভাসমান এই শহর।

০২ ১২
ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকের অধীনে ১১৮টি দ্বীপ নিয়ে রয়েছে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া। ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া সরকার <br> ও সান ফ্রান্সিসকো’র সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে এই শহর।

ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকের অধীনে ১১৮টি দ্বীপ নিয়ে রয়েছে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া। ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া সরকার <br> ও সান ফ্রান্সিসকো’র সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে এই শহর।

০৩ ১২
নীল নকসা প্রস্তুত। দু’বছরের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে শহর তৈরির কাজও। মনে করা হচ্ছে, <br> ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে ভাসমান এই শহর তৈরিতে।

নীল নকসা প্রস্তুত। দু’বছরের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে শহর তৈরির কাজও। মনে করা হচ্ছে, <br> ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে ভাসমান এই শহর তৈরিতে।

০৪ ১২
সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তিবিদ পিটার থেল এই শহরের নকসা করেছেন। শুধুমাত্র নকসা তৈরিতেই সময় লেগেছে পাঁচ বছর!

সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তিবিদ পিটার থেল এই শহরের নকসা করেছেন। শুধুমাত্র নকসা তৈরিতেই সময় লেগেছে পাঁচ বছর!

০৫ ১২
২০২০ সালের মধ্যেই এই শহর তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হওয়ার কথা। মনে করা হচ্ছে, প্রথম দিকে এই শহরে থাকতে পারবেন ২৫০-৩০০ জন।

২০২০ সালের মধ্যেই এই শহর তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হওয়ার কথা। মনে করা হচ্ছে, প্রথম দিকে এই শহরে থাকতে পারবেন ২৫০-৩০০ জন।

০৬ ১২
পরে অবশ্য বাড়ানো হবে শহরের ধারণ-ক্ষমতা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের <br> মধ্যে প্রায় ৬৮ কোটি মানুষ থাকতে পারবেন এই ‘ফ্লোটিং সিটি’তে।

পরে অবশ্য বাড়ানো হবে শহরের ধারণ-ক্ষমতা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের <br> মধ্যে প্রায় ৬৮ কোটি মানুষ থাকতে পারবেন এই ‘ফ্লোটিং সিটি’তে।

০৭ ১২
সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর র‌্যানডলফ হেনকেন জানান, ‘‘এটা একেবারেই নতুন। <br> এর আগে কখনও এমনটা ভাবা হয়নি। জলের <br> মধ্যে বাসস্থান তৈরির ভাবনা থেকেই এই শহরের পরিকল্পনা।

সিস্টিডিং ইনস্টিটিউটের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর র‌্যানডলফ হেনকেন জানান, ‘‘এটা একেবারেই নতুন। <br> এর আগে কখনও এমনটা ভাবা হয়নি। জলের <br> মধ্যে বাসস্থান তৈরির ভাবনা থেকেই এই শহরের পরিকল্পনা।

০৮ ১২
তবে হেনকেন স্বীকার করেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিষয়টা যতটা সহজ, অর্থনীতির দিক থেকে কিন্তু মোটেই তত সহজ নয়। <br> তাই মাঝ-সমুদ্রেও বাসিন্দাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের যোগান যাতে পর্যাপ্ত হয় নজর রাখা হয়েছে সেদিকেও।

তবে হেনকেন স্বীকার করেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিষয়টা যতটা সহজ, অর্থনীতির দিক থেকে কিন্তু মোটেই তত সহজ নয়। <br> তাই মাঝ-সমুদ্রেও বাসিন্দাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের যোগান যাতে পর্যাপ্ত হয় নজর রাখা হয়েছে সেদিকেও।

০৯ ১২
ভাসমান এই শহরে থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত আধুনিক সুবিধা। থাকবে হেল্থ কেয়ার ইউনিট, <br> মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, ফার্ম হাউস এবং এনার্জি পাওয়ার হাউস।

ভাসমান এই শহরে থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত আধুনিক সুবিধা। থাকবে হেল্থ কেয়ার ইউনিট, <br> মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, ফার্ম হাউস এবং এনার্জি পাওয়ার হাউস।

১০ ১২
‘ফ্লোটিং সিটি’ প্রজেক্টের মুখপাত্র জো কুইর্ক জানান, শহরটি দেখতে হবে অনেকটা তারামাছের মতো।

‘ফ্লোটিং সিটি’ প্রজেক্টের মুখপাত্র জো কুইর্ক জানান, শহরটি দেখতে হবে অনেকটা তারামাছের মতো।

১১ ১২
প্রজেক্টটির ভারপ্রাপ্ত ডাচ ইঞ্জিনিয়র ফার্ম ডেল্টাসিঙ্ক জানাচ্ছে, এতে চতুর্ভূজ এবং পঞ্চভূজ বিশিষ্ট <br> একাধিক গঠন থাকবে। যেগুলির ৫০ মিটার লম্বা এবং ৫০ মিটার উঁচু হবে।

প্রজেক্টটির ভারপ্রাপ্ত ডাচ ইঞ্জিনিয়র ফার্ম ডেল্টাসিঙ্ক জানাচ্ছে, এতে চতুর্ভূজ এবং পঞ্চভূজ বিশিষ্ট <br> একাধিক গঠন থাকবে। যেগুলির ৫০ মিটার লম্বা এবং ৫০ মিটার উঁচু হবে।

১২ ১২
জানা গিয়েছে, নতুন এই শহর সম্পূর্ণভাবে তৈরি হওয়ার পর তারা ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকের অধীনে নাও থাকতে পারে। <br> এখানে নিজস্ব সরকার তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। ছোট ছোট এলাকার <br> দায়িত্বে থাকবে একাধিক প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ইচ্ছা হলে বাসিন্দারা নিজেদের পছন্দমতো <br> সরকারের এলাকাতে চলেও যেতে পারবেন।

জানা গিয়েছে, নতুন এই শহর সম্পূর্ণভাবে তৈরি হওয়ার পর তারা ফ্রেঞ্চ রিপাবলিকের অধীনে নাও থাকতে পারে। <br> এখানে নিজস্ব সরকার তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। ছোট ছোট এলাকার <br> দায়িত্বে থাকবে একাধিক প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ইচ্ছা হলে বাসিন্দারা নিজেদের পছন্দমতো <br> সরকারের এলাকাতে চলেও যেতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE