বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে এ ধরনের আশঙ্কার শরিক অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। যেমন, আইএমএফ কর্ণধার ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে শুক্রবারই বলেছেন, বাণিজ্য নিয়ে ওয়াশিংটন বনাম বেজিংয়ের এই ছায়া যুদ্ধ ইতিমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের আস্থায় টোল ফেলেছে।
নয়াদিল্লি চাইছে, জুন মাসে চিনের কিংদাও প্রদেশে এসসিও সম্মেলনে মোদীর সফর যেমন রয়েছে, তা থাকুক। কিন্তু তার আগেই মে মাসে মোদীর একটি বেজিং সফরও হোক।
শুক্রবার সে দেশের বিদেশি মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমরা দেখছি সাম্প্রতিক কালে আমেরিকা একের পর এক অত্যন্ত পরিকল্পিত পদক্ষেপ করছে। এক দিকে তুলছে চিনের বিরুদ্ধে প্রযুক্তির হস্তান্তরের অভিযোগ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবারই টুইট করে জানান, মুদ্রার দাম কৃত্রিম ভাবে কমিয়ে রাখায় রফতানির বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে চিন।
বিশ্ব জুড়ে বাজছে বাণিজ্য-যুদ্ধের দামামা। যার এক দিকে আমেরিকা। আর অন্য দিকে চিন। এই যুদ্ধে ভারত কোনও পক্ষই নেবে না বলে স্পষ্ট জানালেন নীতি আয়োগের ভাইস-চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।
গত বছর ডোকলামে দু’দেশের মধ্যে সংঘাত কমিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বর্তমান বিদেশসচিব বিজয় গোখলে।
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯ তম পার্টি কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত এবং বিশ্বব্যাপী তার প্রভাব নিয়ে বক্তৃতা করছিলেন ওই কূটনীতিক। তিনি জানান, এ বারের পার্টি কংগ্রেসে একগুচ্ছ সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চিন।
কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, তা-ই এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, আফ্রিকা এবং ইউরোপের মধ্যে সংযোগ সাধনের এই প্রকল্পে নয়াদিল্লিকে অন্তর্ভুক্ত করানোর প্রয়াস চালানো হচ্ছে চিনের তরফে।
বিভিন্ন চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানোর পরে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের ঘোষণা ছিল, যত দিন ওই দেশ তাদের অনৈতিক বাণিজ্য নীতি থেকে সরে না আসবে এবং মেধাস্বত্বের (পেটেন্ট) নিয়ম মানার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা না দেখাবে, তত দিন লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশ নিয়ে সঙ্ঘাতকে বাড়তে না দিয়ে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক উন্নতি ঘটাতে সক্রিয় হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিন দিন আগে নয়াদিল্লিতে চিনের উপবিদেশমন্ত্রী কং জুয়ানইউ-এর সঙ্গে এই মর্মে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে।
স্থানীয় আইন ও ভারতের সঙ্গে বিচারবিভাগীয় সহায়তা চুক্তির ভিত্তিতে নীরবকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে পারবে।
বাণিজ্য-যুদ্ধে ইতি টানা যাবে আলোচনার টেবিলে বলে কথাবার্তার মাধ্যমেই। কিন্তু মাথা নোয়াতে বলার সেই ইঙ্গিতটুকুতেই বেজায় চটেছে চিন। এই যুদ্ধের জন্য ওয়াশিংটনকে দুষে কড়া আক্রমণ করেছে তারা।
বেজিং জানিয়েছে, নিজেদের সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেই ওই টহলদার রণতরী বানানো ও মোতায়েন করা হয়েছে।
ডোকলামে ৭৩ দিনের টানাপড়েনের পরে এ বার অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর ফের মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনা। অরুণাচলের আসাফিলা এলাকায় ভারতীয় বাহিনীর টহলদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিন।
গত কয়েক দিন ধরে বাজারের অস্থিরতার মূল কারণ ছিল রাজায় রাজায় (মার্কিন-চিন) শুল্ক-যুদ্ধ, আর তার জেরে বিশ্ব বাজারে কম্পন। দেশের মধ্যে পরিস্থিতি মন্দের ভাল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই দফায় সুদ না কমালেও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাল ইঙ্গিত দেওয়ায় বাজার এ বারের ঋণনীতিকে ইতিবাচক হিসেবেই গ্রহণ করে।
হাসপাতালে পৌঁছতেই দ্রুত ভর্তি করে নেওয়া হয় ৫৭ বছরের ওই মহিলাকে। অপারেশেন করে বের করা হয় কাঁচিটি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখন সুস্থ আছেন শেন নামে ওই মহিলা।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্সের স্পষ্ট ঘোষণা, যত দিন চিন তাদের অনৈতিক বাণিজ্য নীতি থেকে সরে না আসে এবং মেধাস্বত্বের (পেটেন্ট) নিয়ম মানার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা না দেখায়, তত দিন এই লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। বেজিংয়ের পাল্টা দাবি, তারাও লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়তে তৈরি।
রবীন্দ্রনাথের চেষ্টায় ১৯৩৭ সালে শান্তিনিকেতনে তৈরি হয় চীনা ভবন। উদ্দেশ্য, চিনের সঙ্গে এ দেশের গাঁটছড়া বাঁধা। ডোকলামের রণং দেহি বাজারেও আশি বছর পেরিয়ে গেল সেই ভবন।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০০ মিটার গভীর খনির ৮০ মিটার নীচে পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে হোটেলটি।