Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে ইংল্যান্ড

টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এই লড়াইয়ের ফল নিয়ে আগাম কিছু বলা কঠিন। তবে ইংল্যান্ড কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছে ওরা সব কটা জায়গাতেই শক্তিশালী।

অস্ত্র: স্যাঞ্চো নেই, ইংল্যান্ডের ভরসা গোমেজ (বাঁ দিকে)। —ফাইল চিত্র।

অস্ত্র: স্যাঞ্চো নেই, ইংল্যান্ডের ভরসা গোমেজ (বাঁ দিকে)। —ফাইল চিত্র।

সুনীল ছেত্রী
শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:৩৯
Share: Save:

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের দুই অন্যতম সেরা দলের দ্বৈরথ এ বার গোয়ায়। ইংল্যান্ড, যাদের এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দল মনে হয়েছে, তাদের সামনে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে জমাট দল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে এই লড়াইয়ের ফল নিয়ে আগাম কিছু বলা কঠিন। তবে ইংল্যান্ড কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছে ওরা সব কটা জায়গাতেই শক্তিশালী। স্বাভাবিক ভাবেই, ইংল্যান্ডের সমর্থকদের এই দলটার ট্রফি জেতার আশা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে প্রত্যাশাটা আরও বেড়ে গিয়েছে।

ইংল্যান্ডের ফুটবল ফেডারেশন তৃণমূল পর্যায়ে প্রচুর জোর দিয়েছে। প্রচুর উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার ফলটাও কিন্তু দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এত দিন কোনও ট্রফি না আসার আক্ষেপ মেটানোর আশা দেখাচ্ছে ইংল্যান্ডের এই তরুণ দল।

আমি যদি ইংল্যান্ডের কোচ হতাম, প্রথমেই নিশ্চিত করতাম দলের ফুটবলাররা যেন বিশ্বকাপের উচ্ছাস- আবেগে ভেসে না যায়। প্রত্যাশার চাপটা কী ভাবে সামলাতে হবে, সেটা বোঝার মতো যথেষ্ট ম্যাচ ওরা খেলে ফেলেছে। তাই সবচেয়ে জরুরী হল, মাঠে নিজেদের খেলাটা মাথা ঠান্ডা রেখে করে দেখানো। যদিও বিপক্ষের শক্তি মেপে নেওয়াটা জরুরি। তবে, সেটা অর্ধেক কাজ, বাকিটা সারতে হবে নিজেদের পারফরম্যান্স দেখিয়ে।

অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ের দল হলেও অভিজ্ঞতার দিক থেকে কিন্তু কোনও অংশে পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ড। যেটা তাদের পারফরম্যান্সে সাহায্য করছে। ফিল ফডেন, অ্যাঞ্জেল গোমসের ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে সে যাই হোক না কেন, জ্যাডন স্যাঞ্চোর না থাকাটা ইংল্যান্ডের জন্য নিশ্চয়ই একটা ধাক্কা। স্যাঞ্চো ক্লাব ফুটবলের দায়িত্ব সামলাতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে থাকতে পারেনি আর। মাঠে ইংল্যান্ড নিশ্চয়ই ওর অভাব অনুভব করবে ।

অন্যদিকে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে হারটা বাদ দিলে যুক্তরাষ্ট্র দলটাকেও কিন্তু জমাট মনে হচ্ছে। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয়ই শিখেছে কী ভাবে খেলার গতি বাড়াতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের খেলার ধরনটা হল, মাঝমাঠ আর রক্ষণকে জমাট রাখা। সেখান থেকেই খেলাটা তৈরি করা। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে যে ভাবে ওরা আক্রমণ করার সুযোগ তৈরি করছিল, আমার সেটা নিখুঁত লেগেছে।

যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয়ই চাইবে ফাইনাল থার্ডে জায়গা করে সার্জেন্টকে বলটা এগিয়ে দিতে। সার্জেন্ট শূন্যে খুব শক্তিশালী। তা ছাড়া দলের সতীর্থদের আক্রমণ করার জায়গাও তৈরি করে দিতে পারে ও। সার্জেন্ট ঠিক কী ভাবে আক্রমণ করবে সেটা ডিফেন্ডারদের পক্ষে ধরা কঠিন। খুব কম সংখ্যক ডিফেন্ডারই ওকে রুখতে পেরেছে। তাই বিপক্ষের জন্য সার্জেন্ট হয়ে উঠেছে দুঃস্বপ্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

FIFA U-17 World Cup Football England-United States
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE