হিলসবোরোর সেদিনের ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
২৮ বছর আগের সেই ভয়াবহ রাত এখনও তাজা ফুটবলপ্রেমীদের মনে। নিজের দলকে সমর্থন করতে গিয়ে মৃত্যুর কলে ঢলে পড়েছিলেন ৯৫ জন সমর্থক। চার বছর পর কোমায় থাকা আরও এক সমর্থকের লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম খুলে নেওয়ার পর তাঁর নামও জুড়ে যায় সেই তালিকায়। সেই ৯৬ জনের মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত করা হল ছ’জনকে। তার মধ্যে রয়েছেন দু’জন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার। ডেভিড ডাকেনফিল্ড দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের এই পুলিশ অফিসার সেদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও খবর: সেমিফাইনালে সাতের সঙ্গে সাতের লড়াই
১৫ এপ্রিল ১৯৮৯। ইংল্যান্ডে শেফিল্ডের হিলসবোরো স্টেডিয়ামে সেদিন ছিল এফএ কাপে সেমিফাইনাল। মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল ও নটিংহ্যাম ফরেস্ট। বিশ্ব ফুটবলের সব থেকে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে একটি ছিল এটি। ম্যাচ শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে ঘটে সেই ঘটনা। দুটো স্ট্যান্ডে ঘটে এই ঘটনা। যে স্ট্যান্ড দু’টি রাখা ছিল লিভারপুল সমর্থকদের জন্য। যা জায়গা ছিল তার তুলনায় অনেক বেশি লোক হয়ে গিয়েছিল। ঢোকার গেটের বাইরেও তখন থিক থিক করছে মানুষ। সেই সময় গেট ‘সি’ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন ডেভিড ডাকেনফিল্ড। গেট খুলতেই হুরমুড়িয়ে গ্যালারিতে ঢুকতে গিয়েই পদপিষ্ট হন সমর্থকরা। সেখান থেকে বাঁচতে গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন অনেকে। ৯৬ জনের মৃত্যু তো হয়ই আহত হন ৭৬৬ জন।
সেই সেই হিলসবোরো স্টেডিয়ামে ঢোকার রাস্তা। এই গেট ‘সি’ খুলে দিয়েই ঘটেছিল বিপত্তি।
এই কেসের প্রথম রায় বের হয় ১৯৯১এ ২০১২তে সেই রায় খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এর পরও লড়াই চলতে থাকে ৯৬ মৃত সমর্থকের পরিবারের সদস্যদের। এদিন ছ’জনের জনের নাম সামনে আসতে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। তার পরই হাততালিতে ফেঁটে পরে ঘর। যাঁরা স্বজন হারিয়েছিলেন ২৮ বছর আগে তাঁদের কাছে এই টুকুই পাওনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy