ম্যাচের আগের দিন দিল্লির ঋষভ পন্থের সঙ্গে মনোজ। নিজস্ব চিত্র
শনিবারের বিকেল। কয়েক ঘণ্টা পরেই পুণের মাঠে রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে দিল্লির বিরুদ্ধে মহারণ। টিম হোটেলে বসে আনন্দবাজার-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি।
প্রশ্ন: মুম্বই, গুজরাত নেই। সামনে ভাঙাচোরা দিল্লি। আর আপনি পুরো দল নিয়েই মাঠে নামছেন সেমিফাইনালে। বাংলা কি তা হলে প্রথম দিন থেকেই চালকের আসনে?
মনোজ: ক্রিকেটে কোনও সহজ ম্যাচ বলে কিছু হয় না। দিল্লি দুর্বল টিম কে বলল? গৌতম গম্ভীর, ঋষভ পন্থ, নীতিশ রানা, ধ্রুব শোরে, কুণাল চান্দেলা-রা বেশ ভাল ব্যাটসম্যান। কেউ সুবিধেজনক অবস্থায় আছে, আগাম বলে দেওয়া যায় না।
প্র: কোয়ার্টার ফাইনালে গুজরাতকে হারানো কি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে?
মনোজ: সেটা বলা যেতে পারে। ওরা গত বারের চ্যাম্পিয়ন। গুজরাতকে হারানোর পরে আমাদের দলের তরুণ ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, যদি গত বারের চ্যাম্পিয়নদের আমরা হারাতে পারি, তা হলে নিজেদের দিনে আমরা যে কোনও প্রতিপক্ষকেই হারাতে পারি।
প্র: পুণের বাইশ গজে শনিবার ঘাস ছাঁটার পরেও দেখলাম সবুজ আভা রয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গম্ভীর-ঋষভদের আটকানোর টোটকা কী?
মনোজ: ওদের প্রত্যেকের খেলার ভিডিও ক্লিপিংস আমরা খুঁটিয়ে দেখেছি। জানি কার কোন শট খেলতে সমস্যা। আর ওদের কোন বোলার চাপে পড়লে কী ভুলভ্রান্তি করতে পারে। দিল্লির ব্যাটসম্যানরা সব সময়েই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে ভালবাসে। তাই আমাদের স্ট্র্যাটেজি বোলিংটাকে আরও আঁটসাঁট করা।
প্র: বোলিং আঁটসাঁট করার ব্যাপারটা যদি একটু বুঝিয়ে বলেন।
মনোজ: আমি বলতে চাইছি যে, এই পিচে ওদের একটু অসুবিধে হতে পারে। আমার ক্রিকেট বুদ্ধি তাই বলছে। আমাদের শামি-ডিন্ডা-অমিত ভাল বল করবে। কাজেই আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যত পারো মেডেন ওভার নাও। গম্ভীর-রা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে। মারতে না পারলেই ওদের চাপ বাড়বে। তখন চোখ বুজে চালাতে চাইবে। সেটা হলেই আমাদের সুবিধা। আর এই ভুলটা ওরা করবেই। আমাদের কাজ খালি মেডেন ওভার করে ওদের উপর চাপটা বাড়িয়ে দেওয়া।
প্র: তার মানে কি রবিবার টসে জিতলেই ফিল্ডিং?
মনোজ: এখনই কিছু বলছি না। তবে এই পিচে যদি প্রথম সেশনে শামি-ডিন্ডা বল করে তা হলে ওদের খেলা কিন্তু সহজ হবে না।
প্র: গৌতম গম্ভীর যে এসেই নেমে পড়বে এতে কি বাংলার সুবিধে হবে?
মনোজ: অবশ্যই হবে। গত দু’দিন ধরে আমরা এই পিচে লক্ষ্মণ ভাইয়ের সঙ্গে পড়ে থেকে অনুশীলন করেছি। ফলে এসেই এই পিচে নেমে পড়লে আগাম অনুশীলন না থাকায় সমস্যা হতেই পারে দিল্লির। তাতে সুবিধেটা আমাদের। ওরা যত চাপে পড়বে ততই আমাদের সুবিধা।
প্র: রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লি-বাংলা ম্যাচ মানেই স্লেজিং, আগ্রাসী মেজাজ। তার উপরে আপনি বলেছেন, দু’বছর আগে দিল্লিকে ফলো-অন করানোর ব্যাপারটা মাঠে মনে করিয়ে দেবেন। তা হলে কি এ বারও সেই একই ছবি দেখা যাবে?
মনোজ: আমরা ও সব সরিয়ে স্রেফ রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল যেতে চাই। মাঠে মজা করে একটু আধটু পুরনো ব্যাপার মনে করিয়ে দেওয়া চলতে পারে, কিন্তু আমাদের গোটা টিম ফোকাস্ড ফাইনালে যাওয়ার জন্য।
প্র: ফাইনালের আগে কোন জায়গাটা আপনাদের মেরামত করার দরকার?
মনোজ: ফিল্ডিংটা এখনও চিন্তার বিষয়। গত দু’দিনে এ ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছি।
প্র: আপনার স্পিন বিভাগ কিছুটা অনভিজ্ঞ। এটা কি প্রভাব ফেলতে পারে?
মনোজ: অনভিজ্ঞ হতে পারে। কিন্তু ওদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না। আমি সব সময় দক্ষতাকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছি।
প্র: শ্রীবৎস-র মতো অনেকে যাদের এই ম্যাচে বসতে হচ্ছে, তাঁদের কী বললেন?
মনোজ: ওদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছি। ওরাও বুঝেছে, দলের প্রয়োজনে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এতে দলের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy