সনি নর্ডির মতো চুলের স্টাইল। মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচেই সেরার পুরস্কার। হলুদ কার্ড দেখলেন। যে অপরাধ করলেন দেখতে পারতেন লাল কার্ড।
সবুজ মেরুন জার্সিতে ঘানিফো আনসুমানা ক্রোমার প্রথম দিনটা যেন আলো-আঁধারিতেই কাটল। তবুও ম্যাচের লাইবিরিয়ার স্ট্রাইকার উচ্ছ্বাসে ভাসলেন। বলে দিলেন, ‘‘মাঠে নেমেই প্রথম ম্যাচে গোল। ভাল তো লাগবেই। কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করাই লক্ষ্য আমার।’’ এক সময় কলকাতার পাড়ায় পাড়ায় খেপ খেলে বেড়াতেন। গত বছর চার্চিল ব্রাদার্সে গিয়ে পুনর্জন্ম পেয়ে আবার শহরে ফিরেছেন তারকা হয়ে। তাতে অবশ্য বদলাননি। কথা বলতে ভালবাসেন অর্নগল। ‘‘আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়া।’’ বলার সময় কোনও সংকোচ নেই। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ানো অসংখ্য বিদেশির মতো মনে হয় তাঁকে।
কিন্তু প্রথমার্ধটা তো খেলতেই পারেননি। কামোর সঙ্গেও আপনার জুটিটা তেমন কাজে লাগল না। কারণটা কী? বাগান জনতার প্রত্যাশার ফানুস বলতে শুরু করেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ। শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু বিরতির সময় আমরা ড্রেসিংরুমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম। কোচও বললেন। তারপর সব বদলে গেল। এটা হয়।’’
কা-ক্রো জুটি মাঠে। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল এফ সি-র বিদেশি কিংসলে-সহ তিন জন রয়েছেন। তবুও এ দিন পুরো মাঠ মেতে রইল হোসে ব্যারেটোকে নিয়ে। ক্রোমা বলছিলেন, ‘‘ব্যারেটো আমাদের মাঠে নামার আগে মোহনবাগান ও ক্লাবের জার্সি নিয়ে অনেক কথা বললেন। দায়বদ্ধতার কথা বললেন। চাপ না নিয়ে খেলতে বললেন।’’
খেপ খেলতেন বলেই সম্ভবত ক্রোমাকে বেশ কয়েকবার দেখা গেল সাদার্ন সমিতির ডিফেন্ডারদের সামনে বল নাচাতে। পায়ে বল রাখারও প্রবনতা আছে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তিনি যে ভাবে বিপক্ষের মার্কার সাদার্নের রানা বাড়ুইকে মারলেন সেটা দৃষ্টিকটু। ক্লাব তাঁবুতে তা নিয়ে ম্যাচের পর গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে সতর্ক করা হতে পারে। গ্যালারিতে ছিলেন আই লিগের কোচ সঞ্জয় সেন। বলছিলেন, ‘‘ক্রোমা যেটা করেছে তাকে সমর্থন করি না। ওটা লালকার্ড হতে পারত। তাতে গল বিপদে পড়ত। আমি শঙ্করলালকে (চক্রবর্তী) বলেছি কোনও এক সময় ওকে এটা নিয়ে সতর্ক করতে।’’
মাঠ উপচে পড়া রঙিন সমর্থকদের মতো এসেছিলেন সচিব ছাড়া ক্লাবের সব শীর্ষ কর্তাই। এসেছিলেন কয়েকজন মন্ত্রীও। এদিন টিমের খেলায় তাঁরা তেমন খুশি না হলেও কথা বলে মনে হল চিন্তিত নন। কারণ আই লিগে দিপান্দা ডিকা-সহ দু’জন ভাল এশীয় কোটার বিদেশিকে পাবে মোহনবাগান। এসে যাবেন সনি নর্দেও। সামনের সপ্তাহেই হাইতি স্ট্রাইকারের সই হওয়ার কথা। জাতীয় শিবিরে যাওয়া সার্থক গলুই, অভিষেক দাশরা টিমে ঢুকবেন। সে ক্ষেত্রে টিম দাঁড়িয়ে যাবে বলেই মনে করছেন কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy