নজির: ব্রোঞ্জ জিতে অরুণা রেড্ডি। ছবি: টুইটার।
যে পথ রিও অলিম্পিক্সে দেখিয়েছিলেন দীপা কর্মকার, সেই পথ ধরেই বিশ্বকাপে এল ভারতের প্রথম ব্যক্তিগত পদক। এল বাইশ বছরের তরুণী, অরুণা রেড্ডির হাত ধরে। শনিবার মেলবোর্নে জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপে মেয়েদের ভল্টে অরুণা ব্রোঞ্জ জিতলেন ১৩.৬৪৯ পয়েন্ট স্কোর করে। ভারতের আর এক মেয়ে, প্রণতি নায়েক শেষ করলেন ছ’নম্বরে। এই প্রথম জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত ইভেন্টে পদক জিতল ভারত।
অলিম্পিক্সে অল্পের জন্য পদক পাননি দীপা। এ বার বিশ্বকাপে অবশ্য পদক আর অধরা থাকল না ভারতের। বছরে বেশ কয়েকটি বিশ্বকাপ হয় জিমন্যাস্টিক্সে। এই বিশ্বকাপের গুরুত্ব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ঠিক পরেই। যার জন্য আলাদা মাত্রা পেয়ে যাচ্ছে অরুণার এই পদক। তাঁর সতীর্থের সাফল্য দেখার পরে দীপার টুইট, ‘তোমার জন্য দারুণ গর্ব হচ্ছে অরুণা। তোমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন।’ এর আগে ভারতের হয়ে জিমন্যাস্টিক্সের আন্তর্জাতিক ইভেন্টে প্রথম ব্যক্তিগত পদক জিতেছিলেন আশিস কুমার। ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে। তার পরে ভারতীয় মেয়েদের জিমন্যাস্টিক্স বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন দীপা।
তেলঙ্গনার মেয়ে অরুণা জিমন্যাস্টিক্স ছাড়াও ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট। হায়দরবাদের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে অরুণাকে নিয়মিত ট্রেনিং করাতেন তাঁর কোচ ব্রিজ কিশোর। যেখানকার সংস্থার সচিব কে মহেশ্বরী বলেছেন, ‘‘অরুণাকে অনেক লড়াই করে এই জায়গায় পৌঁছতে হয়েছে। আমরা জানতাম, ও ভাল কিছু করবে। এপ্রিল মাসের কমনওয়েলথ গেমসেও পদক জেতার ব্যাপারে বড় দাবিদার অরুণা।’’ অরুণা শুরুতে ক্যারাটেকেই বেছেছিলেন। কিন্তু আট বছর বয়সে অরুণাকে দেখে তাঁর কোচ বুঝে যান, তাঁর যা শারীরিক গঠন তাতে ক্যারাটের চেয়ে জিমন্যাস্টিক্সেই অরুণার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দেখা গেল, কোচ ভুল ভাবেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy