Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বলবন্তের ভুলে ক্ষুব্ধ বাগান কোচ, এলকোর নজরে এখন তিন ম্যাচ

আই লিগে ১৩ ম্যাচের পর দু’দলের পয়েন্টের ব্যবধান আট! ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন ব্যস্ত রয়‌্যাল ওয়াহিংডো ম্যাচের ভুল শুধরে সনিদের ছন্দে ফেরানোর লক্ষ্যে। আর ২০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গল কোচ এলকো সতৌরি ফোকাস করছেন তিন ম্যাচে।

তোপের মুখে বলবন্ত।

তোপের মুখে বলবন্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৮
Share: Save:

আই লিগে ১৩ ম্যাচের পর দু’দলের পয়েন্টের ব্যবধান আট!

২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন ব্যস্ত রয়‌্যাল ওয়াহিংডো ম্যাচের ভুল শুধরে সনিদের ছন্দে ফেরানোর লক্ষ্যে। আর ২০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গল কোচ এলকো সতৌরি ফোকাস করছেন তিন ম্যাচে।

ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই নিয়ে এখনই কিছু জোর দিয়ে বলা যাবে না। কারণ, বেঙ্গালুরু, রয়্যাল ওয়াহিংডো এবং পুণে ম্যাচ থেকে যদি ইস্টবেঙ্গল ন’পয়েন্ট তুলে নিতে পারে, তা হলে লিগ জমে যাবে।’’ সঙ্গে এটাও বলছেন, ‘‘মোহনবাগান লিগ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও পুণে এফসি এবং রয়্যাল ওয়াহিংডোকেও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ, এই দুই দলের খেলা বাকি মোহনবাগানের চেয়ে কম। শুধু তাই নয়, খেলবেও বেশ কয়েক দিনের ব্যবধানে। যা অতিরিক্ত সুবিধা দেবে।’’

বাগান কোচ আবার পাহাড়ে মোহনবাগানের হারের চেয়েও বেশি ক্ষুব্ধ বলবন্ত সিংহের ওপর। শুধু তাই নয়, সবুজ-মেরুন কোচ সঞ্জয় সেনের মতে, শেষ মুহূর্তে বলবন্তের লাল কার্ড দেখাটাই নাকি ম্যাচের আসল টার্নিং পয়েন্ট। খারাপ রেফারিং নয়। রবিবার দুপুরে শহরে পা রাখার পরেই বাগান কোচ বললেন, ‘‘ম্যাচের প্রথমে একটা কার্ড দেখা সত্ত্বেও শুধু শুধু শেষে রেফারির সঙ্গে ঝামেলায় জড়াল বলবন্ত। যেটা না করলেও চলত। ওই সময় ও কার্ড না দেখলে ম্যাচ হেরে ফিরতাম না। একটা ভুল পুরো টিমের ফোকাস নষ্ট করে দিল।’’

সমস্যা হল, এই ঘটনা প্রথম নয় বাগানে। এই মরসুমে বারবার অকারণে কার্ড দেখে টিমকে বিপদে ফেলেছেন ফুটবলাররা। কখনও শেহনাজ। কখনও বিক্রমজিৎ। কখনও আবার সনি নর্ডি। কিন্তু ভুল করেও সেখান থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন না তাঁরা! সঞ্জয় বলছিলেন, ‘‘আমি সবাইকেই ডেকে সতর্ক করেছি। বলেছি এ ভাবে চললে আই লিগ জেতা যাবে না। আরও ফোকাস্ড থাকতে হবে।’’

কার্ড নিয়ে বিরক্তির মধ্যেই অবশ্য আই লিগের প্রথম হার থেকে ইতিবাচক দিক খোঁজার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর কথায়, ‘‘ঠিক যেমন ম্যাচের ৬০-৬৫ মিনিটে গোল খেলে গোল শোধ করার সুযোগ থাকে, কিন্তু ৮৭-৮৮ মিনিটে দুর্ঘটনা হলে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়— সে রকমই আমার ধারণা, এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা পরের ম্যাচে ভুল-ত্রুটি শুধরে নিতে পারব। সেই সময় আছে। পরের দিকে হারলে আরও সমস্যা বাড়ত। সব ম্যাচ তো আর জেতা যায় না।’’

মোহনবাগানের পরের ম্যাচ করিম বেঞ্চারিফার পুণে এফসি-র বিরুদ্ধে শনিবার বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামে। এর ফাঁকে যেহেতু কোনও ম্যাচ নেই, তাই সোমবার কোনও প্র্যাকটিস নেই বাগানের। শুধু জিম করবেন নর্ডিরা।

এ দিকে, মুম্বই এফসি-র সঙ্গে ড্রয়ের পর রবিবার বিকেলে যুবভারতীতে ডুডুদের হাল্কা অনুশীলন করান এলকো। পরে বাড়ি ফিরে সালগাওকর-স্পোর্টিং ক্লুব ম্যাচে নজর রেখেছিলেন লাল-হলুদ কোচ। ২২ এপ্রিল ঘরের মাঠে লাল-হলুদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ সালগাওকর। যারা এ দিন স্পোর্টিং ক্লুবের কাছে হারল ০-২। যদিও ইস্টবেঙ্গল কোচ মনে করছেন, লিগ টেবলে ষষ্ঠ স্থানে থাকা সালগাওকর এ দিন হারলেও যুবভারতীতে বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE