শহরে যুব বিশ্বকাপের বল গড়ানোর মুখেই দেখা দিল বিতর্ক। ইতিহাস মুছে ফেলার অভিযোগকে ঘিরে।
অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের সংস্কারের পরে নবকলেবরে ‘বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন’-এর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টেডিয়ামের মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পরেই নতুন ফলক বসেছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নামে। কিন্তু মূল স্টেডিয়াম উদ্বোধনের সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নামের ফলক বসেছিল। তা এখন আর দেখা যাচ্ছে না। চোখে পড়ছে না কলকাতার তৎকালীন মেয়র কমল বসুর নামের একটি ফলকও। স্টেডিয়ামের সংস্কার করতে গিয়ে বর্তমান সরকার পুরনো তথ্য মুছে দিতে চাইছে বলে সরব হয়েছে বামেরা।
আরও পড়ুন: দিল্লি আজ ফুটবলমুখী, মিশতে চলেছে অতীত-বর্তমান
শহরে আন্তর্জাতিক মানের একটি ফুটবল স্টেডিয়াম গড়ে তোলার জন্য বাম জমানায় তৎপর হয়েছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী। মূলত তাঁরই উদ্যোগে স্টেডিয়াম তৈরির পরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের উদ্বোধন হয় ১৯৮৪ সালের ২৫ জানুয়ারি। তখন থেকেই স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে ছিল জ্যোতিবাবুর নামের ফলক। অভিযোগ, এ বার স্টেডিয়াম সংস্কারের সময় অনেক পুরনো নির্মাণ ভেঙে নতুন করে করার চেষ্টা হয়েছে। সেই সময় বাদ পড়েছে পুরনো ফলকটি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা বার্তা সচিনের
বামেদের অভিযোগ, যুব বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে শহরে অনেক বিদেশী অতিথি, অভ্যাগতেরা আসবেন। তাঁদের সামনে দেখানোর চেষ্টা হবে, এই স্টেডিয়ামটি যেন বর্তমান সরকারেরই অবদান। সংস্কারের পর পুরনো ফলক ফিরিয়ে আনতে তাই নজর দেয়নি সরকার। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের মন্তব্য, ‘‘যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে জ্যোতিবাবুর নামের উদ্বোধনী ফলক সরিয়ে ফেলার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। আরএসএস এবং তৃণমূল দু’পক্ষই ইতিহাসকে বিকৃত করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এই চেষ্টা প্রতিরোধ করতে হবে।’’
বর্তমান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অবশ্য বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার নজরে পড়েনি। এইখানে সংস্কারের কাজ দেখভাল করছিলেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁদের কাছ থেকে খোঁজ না নিয়ে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy