আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ছবি: আইসিসি সৌজন্যে।
চলতি বছরের জুনেই আফগানিস্তানকে টেস্ট খেলার স্বীকৃতি দেয় আইসিসি। তবে, আইসিসি-র থেকে স্বীকৃতি পেলেও প্রথম টেস্ট খেলার জন্য প্রায় দু’বছর অপেক্ষা করতে হত আফগানিস্তানকে। নিজেদের প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে রাজি করাতে সমর্থ হয়েছিলেন আফগান ক্রিকেটের কর্তারা। সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালে। তবে, নিজেদের ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট খেলতে তত দিন আর অপেক্ষা করতে হবে না আফগান ক্রিকেটারদের। তার আগেই ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন নবি-আসগাররা।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভবিষ্যতের ক্রীড়াসূচিতে ব্রাত্যই থেকে গেল পাকিস্তান। কিন্তু দরজা খুলে গেল আফগানিস্তানের সামনে। পাশাপাশি এও স্পষ্ট হয়ে গেল, নতুন ক্রীড়াসূচি চালু হয়ে গেলে ২০১৯ সাল থেকে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটা সিরিজ খেলবে ভারত।
সোমবার বিশেষ গভার্নিং বডির বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন বিসিসিআই-এর কার্যনির্বাহী সচিব অমিতাভ চৌধুরী। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু ভারত-আফগানিস্তানের সম্পর্কের ইতিহাসকে মাথায় রেখে আফগানিস্তানের প্রথম টেস্ট ভারতে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
India to host Afghanistan for their first-ever Test. Mr. Amitabh Choudhary, Acting Hony. Secretary of the BCCI makes the announcement in New Delhi. pic.twitter.com/KdqblGKKkE
— BCCI (@BCCI) December 11, 2017
টেস্ট খেলার স্বীকৃতি পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই প্রাক্তন আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি জানিয়েছিলেন তিনি চান ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে। নবির সেই স্বপ্নও সোমবার সত্যি হল।
আরও পড়ুন: টেস্ট খেলার স্বীকৃতি পেল আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান
আরও পড়ুন: বিরাট-অনুষ্কার বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু
তবে, ভারতের বিরুদ্ধে কবে এই টেস্ট সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি বিসিসিআই।
আফগানিস্তান ক্রিকেট দলকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়ায় বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এসিবি চেয়ারম্যান আতিফ মার্শাল।
একই সঙ্গে সরকারি ভাবে জানানো হল, ভারতের মাটিতে আবার ফিরতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। সোমবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ সাধারণ সভার পরে জানিয়ে দেওয়া হল, ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারতে হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হবে বিরাট কোহালির ঘরের মাঠে।
এ বারই প্রথম একক ভাবে বিশ্বকাপ সংগঠনের দায়িত্বে থাকবে ভারত। এর আগে তিন বার (১৯৮৭, ১৯৯৬, ২০১১) ভারতে বিশ্বকাপ হলেও বেশ কিছু ম্যাচ হয়েছিল শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশে। এ বার যা হবে না বলেই আপাতত ঠিক আছে।
একই সঙ্গে ভারতীয় বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির উদ্বেগের কথা মাথায় রেখে ক্রিকেটারদের ‘ম্যাচ ডে’র সংখ্যা কমানো হচ্ছে। এ বারে যে ক্রীড়াসুচি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতীয় দল সব ধরনের ফর্ম্যাট মিলিয়ে ঘরের মাঠে মোট ৮১টি ম্যাচ খেলবে। যেখানে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ খেলা হবে ভারতের মাঠে। যদিও দেখা যাচ্ছে, গত বারের ‘ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম’-এর চেয়ে এ বারে যে সূচি ঠিক হয়েছে, তাতে ঘরের মাঠে তিরিশটা ম্যাচ বেশি খেলতে হবে ভারতকে। কিন্তু বোর্ডকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন, আগের চেয়ে কম সংখ্যক দিন খেলতে হবে ক্রিকেটারদের। এই সূচি শেষ পর্যন্ত সরকারি ভাবে গৃহীত হলে ভারতে বেশ কিছু ভাল হোম সিরিজ দেখা যাবে।
আরও একটা ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই সময় ভারত বেশি টেস্ট খেলবে বিশ্ব ক্রিকেটের তিন প্রধান শক্তির বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ক্ষেত্রে ওয়ান ডে ম্যাচের সংখ্যা কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ওয়ান ডে কমলেও বেড়ে যেতে চলেছে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy