পিঙ্কি হাঁসদা। —নিজস্ব চিত্র।
খালি পায়ে গ্রামের পথে ছোটা ছিল নেশার মতো। পার হয়ে যেত ধানখেত, উঁচু-নিচু মাঠ। শখের সেই দৌ়ড় বলরামপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম কদমডির মেয়েকে পৌঁছে দিচ্ছে গোয়ায়। সেখানে বসছে ৫২তম ন্যাশনাল ক্রসকান্ট্রি দৌড়ের আসর। বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছেন বলরামপুরের পিঙ্কি।
পিঙ্কি হাঁসদা। গাঁয়ের আর পাঁচটা সাধারণ কৃষিজীবী পরিবারের আটপৌরে মেয়ের মতো শুরু হয়েছিল ওঁর গল্প। ছুটে বেড়াতে ভাল লাগত। লক্ষ্য নয়, উদ্দেশ্য নয়— এমনিই। বছর দুয়েক আগে গ্রামেরই এক দাদা মাথার পোকাটা নাড়িয়ে দেন। বলেন, পুলিশের ক্রসকান্ট্রি দৌড় প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে। জীবনের প্রথম বড় প্রতিযোগিতাতেই নজর কাড়েন পিঙ্কি। প্রথম হয়েছিলেন। ‘‘তার পর থেকে যখনই দৌড়ে নেমেছে, পুরস্কার যেন বাঁধা’’, বলছিলেন পিঙ্কির প্রশিক্ষক গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আসানসোলে একটি ক্রসকান্ট্রি দৌড়ে প্রথম হয়েছেন পিঙ্কি। গৌতমবাবুর কথায়, ‘‘নিজের পারফরম্যান্সের জোরেই বাংলা দলে স্থান করে নিয়েছে ও।’’
পারিবারিক আয়ের উৎস চাষ আর দিনমজুরি। বরাভূম স্টেশন থেকে হাওড়া যাওয়ার ট্রেনে ওঠার আগে বলরামপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী পিঙ্কি বলেন, ‘‘বাংলার হয়ে মাঠে নামব ভেবেই অন্য রকমের একটা অনুভূতি হচ্ছে। ভয়ও হচ্ছে। এত বড় প্রতিযোগিতায় আগে তো নামিনি। তবে নিজের সেরাটা ঠিক উজাড় করে দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy