ফর্মে: সেঞ্চুরি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র
ব্যাটসম্যানরা রানের পাহাড় তোলার পরে এ বার বাংলার বোলাররাও বিধ্বংসী মেজাজে। রায়পুর থেকে যে বড় জয় নিয়ে ফেরার লক্ষ্যেই নেমেছেন মনোজ তিওয়ারিরা, তা ছত্তীশগঢ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনেই বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা। ৫২৯-৭-এ ডিক্লেয়ার করার পরে ৩১ ওভার বল করে ৬২ রানের মধ্যে মহম্মদ কাইফদের পাঁচ উইকেট ফেলে দেন মহম্মদ শামি, অশোক ডিন্ডা, আমির গনিরা। দিনের শেষে ছত্তীশগঢ় ৮০-৫।
শনিবার তরুণ ওপেনার কৌশিক ঘোষের সেঞ্চুরির পরে এ বার দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাটেও এল সেঞ্চুরি। ১১৮ রান করলেন ২৫-এর এই তরুণ তারকা। যিনি রানের খরা কাটিয়ে আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রানে ফিরেছেন। দলের ৪০৫ রানের মাথায় সুদীপ ফিরে যাওয়ার পরে অনুষ্টুপ মজুমদার (৭০) ও বি অমিত (৫০) সপ্তম উইকেটে ১৫২ বলে ১২০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাকে পাঁচশোর গণ্ডী পার করিয়ে দেন। মনোজ ৩৬ ও ঋদ্ধিমান সাহা ২৭ রানে আউট হয়ে গেলেও তাতে কোনও অসুবিধা হয়নি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলে তাঁর সেরা পাঁচ বন্ধুর নাম বললেন গম্ভীর
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশম সেঞ্চুরি পেয়ে খুশি সুদীপ ধন্যবাদ দিতে চান ভারতীয় ক্রিকেটের তিন কিংবদন্তিকে। এ দিন রায়পুর থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘রানে ফিরে পরপর দুটো সেঞ্চুরি অবশ্যই আমার কাছে বড় আনন্দের। এই ফেরাটা তো আর সহজ ছিল না। (ভিভিএস) লক্ষ্মণভাই, রাহুল (দ্রাবিড়) স্যরের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে শুধরে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। সৌরভদা (গঙ্গোপাধ্যায়) তো পরামর্শ দেনই। এত বড় বড় লোকেদের কথা শুনে চলতে পারলে তো উপকার পাবই।’’
তবে আজ শেষ দিকে যে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপটা খেলল অনুষ্টুপ আর অমিত, সেটা খুব কাজে লেগেছে। এই রানটাই বিপক্ষকে চাপে ফেলে দিয়েছে। আর আমাদের বোলাররা যে ভাবে বোলিং করছে। আশা করি এই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট পাব আমরা।’’ এই ব্যাটিংয়ের পরে ক্রমশ গতি কমে আসা উইকেটে আগুন ঝরাতে শুরু করেন দুই বঙ্গ পেসার। ডিন্ডা দিনের শেষে ৬-৩-৬-২। শমিরও ২-৩৩। বল পুরনো হতে আমির গনিও (১-২৮) খাপ খোলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy