বাংলা আর রঞ্জি ফাইনালের মাঝে এখন দাঁড়িয়ে দিল্লি। সেই দিল্লি, যাদের হারিয়ে বছর সাতাশ আগে শেষ বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা।
আগের দিনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, গুজরাতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনালে যাচ্ছেন মনোজ তিওয়ারিরা। সোমবার জয়পুরে সেই ফলের ওপরই সিলমোহর পড়ল। শেষ দিনে ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ২১৬ করে আউট হন। অনুষ্টুপ মজুমদার করলেন অপরাজিত ১৩২। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার রান ৬৯৫-৬। শেষ কবে বাংলা রঞ্জিতে এত রান করেছে, তা মনে করতে পারলেন না বাংলার অধিনায়ক মনোজও। ম্যাচ শেষে জয়পুর থেকে ফোনে মনোজ বলেন, ‘‘এত বড় ইনিংস শেষ কবে বাংলা খেলেছে তা মনে পড়ছে না। তবে পরিকল্পনামাফিক খেলারই ফল পেয়েছি আমরা।’’
মধ্যপ্রদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে দিল্লি। তাদের সঙ্গেই ১৭ ডিসেম্বর পুণেয় বাংলার সেমিফাইনাল ম্যাচ। অন্য সেমিফাইনালে ইডেনে কর্নাটকের মুখোমুখি বিদর্ভ। দিল্লি টিমে রয়েছেন গৌতম গম্ভীর। ফিরতে পারেন আসছেন ইশান্ত শর্মাও। যে ম্যাচ নিয়ে মনোজ বলেন, ‘‘গুজরাতের বিরুদ্ধে আমরা ভাল খেলেছি ঠিকই কিন্তু দিল্লিও ভাল খেলেই সেমিফাইনালে উঠেছে। তবে ফাইনালে ওঠা নিয়ে আমি আশাবাদী।’’
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধেই ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট খেলবে আফগানিস্তান
সেমিফাইনালে দিল্লি যদি ইশান্তকে পায়, তা হলে মহম্মদ শামি এবং ঋদ্ধিমান সাহাকে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলার সামনে। শেষ চারের লড়াইয়ে এই দু’জনকে পেলে বাংলা যে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ভারতীয় বোর্ড এই ক্রিকেটারদের ছাড়ে কি না, সেটাই দেখার।
বাংলা সেমিফাইনালে উঠে গেলেও এখনও আশঙ্কা রয়েছে ঈশান পোড়েলকে পাওয়া নিয়ে। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ায় তাঁকে আজ, মঙ্গলবারই জাতীয় শিবিরে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু উড়ে যেতে হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। যদিও এখন থেকেই তা ভাবতে চাইছেন না বাংলার এই উদীয়মান পেসার। জয়পুর থেকে ঈশান ফোনে বলেন, ‘‘দু’টোই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখন থেকেই কিছু চিন্তা করতে চাইছি না। যা হবে ভালর জন্যই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy