শিরোনামে: জোড়া শতরান অভিমন্যু ঈশ্বরন ও অভিষেক রামনের।
বিদর্ভের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হারের পর অমৃতসরে পঞ্জাবকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে বাংলা। মরণ-বাঁচণ ম্যাচে বিপক্ষকে ১৪৭ রানে অল-আউট করার পরে শনিবার বাংলার দুই ওপেনারের ব্যাটেই সেঞ্চুরি। হরভজন সিংহ, সিদ্ধার্থ কল-দের সামলে বিপক্ষকে বেসামাল করে দিলেন অভিষেক রামন ও অভিমণ্যু ঈশ্বরন।
দিনের শেষে বাংলার রান তিন উইকেট হারিয়ে ৩০৯। ম্যাচ জেতার আশায় স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়েছিল পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থা। বাংলাকে বিপাকে ফেলতে খেলানো হচ্ছে হরভজন সিংহ-কেও। অথচ প্রাক্তন এই ভারতীয় অফস্পিনারের বিরুদ্ধে অনায়াসেই ব্যাট করেন বাংলার দুই ওপেনার। ১৭ ওভার বল করে ৬৯ রান দিয়ে একটিও উইকেট সংগ্রহ করতে পারেননি হরভজন।
বিপক্ষের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ২২২ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ করেন বাংলার ওপেনাররা। ব্যাক্তিগত ১১৭ রানের মাথায় সিদ্ধার্থ কলের বলেই আউট হন অভিমণ্যু। যদিও ১৪৯ রানে এখনও ক্রিজে রয়েছেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান অভিষেক। দু’জনেই অবশ্য জানিয়েছেন ভাজ্জি নয়, কিছুটা হলেও তাঁদের সমস্যায় ফেলেছে সিদ্ধার্থ কলের বোলিং।
প্রথম দিনে পঞ্জাব অল্প রানে আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় দিনে বাইশ গজ তেমন কোনও সমস্যায় ফেলতে পারেনি বাংলাকে। উইকেট মন্থর হলেও স্পিনারদের বলে বেশি বাউন্স ছিল না বলেই মনে জানিয়েছেন বাংলার ব্যাটসম্যান অভিষেক। অমৃতসর থেকে ফোনে বাংলার অন্যতম ওপেনার বলেন, ‘‘উইকেট এখন অতটা টার্ন করছে না। যদিও একটু ধীর গতির পিচ। ভাজ্জির বল টার্ন করছিল কিন্তু বাউন্স বেশি না থাকায় সুবিধে হয়েছে।’’
হিমাচলের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেও দ্বিশতরানের কাছে গিয়েও তা করা হয়নি অভিষেকের। এই ম্যাচে ১৪৯ রানে অপরাজিত থাকায় তাঁর লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করায় অভিষেক বলেন, ‘‘ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারলে তো ভাল লাগবেই। কিন্তু আমার কাছে দলকে ছ’পয়েন্ট দেওয়ার লড়াইটা অনেক বড়। আপাতত সে দিকেই মনোনিবেশ করছি।’’
অভিষেকের ওপেনিং পার্টনার অভিমণ্যুর কাছেও প্রাধান্য পাচ্ছে ম্যাচ থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট তুলে নেওয়া। ফোনে বললেন, ‘‘রান করেছি ঠিকই কিন্তু নট আউট থাকতে পারলে আরও ভাল লাগত। সিদ্ধার্থ কল প্রথম থেকেই ভাল বল করছিল। ম্যাচটা জেতাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy