আইপিএল, আইএসএল-এর পর প্রো-কবাডি লিগের ট্রফিও আনা চাই কলকাতায়। এই লক্ষ রেখেই এ বার প্রো-কবাডি ফাইভ-এর ম্যাটে নেমেছিল টুর্নামেন্টে বাংলার দল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। কিন্তু হায়দরাবাদে প্রথম পর্বে শুরুটা ভাল করলেও তার পরে নাগপুরে টুর্নামেন্টের নবাগত দল বেঙ্গালুরু বুলস এবং আমদাবাদে পুণেরি পল্টনের কাছে হেরে গিয়ে সেই গতি রুদ্ধ হয়েছিল বঙ্গযোদ্ধাদের।
অবশেষে মঙ্গলবার লখনউ-তে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কেকে জগদীশ-এর বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স হারাল স্থানীয় টিম ইউপি যোদ্ধাকে। ম্যাচের ফল ৩২-৩১।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে লখনউ থেকে টেলিফোনে বঙ্গযোদ্ধাদের কোচ জগদীশ বললেন, ‘‘যে ছন্দে শুরু করেছিলাম সেটা হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছিলাম আমরা। কিন্তু আমদাবাদে শেষ ম্যাচে গুজরাত ফরচুন জায়ান্টস দলের বিরুদ্ধে এ রকমই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ড্র করার পরেই ফের চেনা ছন্দে ফিরেছে টিম। আজকেও ম্যাচটা প্রায় পেন্ডুলামের মতো এ দিক ও দিক হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত টেনশনের ম্যাচে জিতলাম আমরাই।’’
আরও পড়ুন: বাঁ হাতি পেসারের খোঁজে ভরত অরুণ
টানটান উত্তেজনার ম্যাচে এ দিন বঙ্গযোদ্ধাদের হয়ে দুরন্ত পারফর্ম করলেন দুই খেলোয়াড়। রক্ষণে অধিনায়ক সুরজিৎ সিংহ। যিনি এই মুহূর্তে দেশের সেরা রাইট কভার। আর আক্রমণে রেইডার দীপক নারওয়াল। রাইট কভার সুরজিৎ সাতটি ট্যাকলে আনলেন তিন পয়েন্ট। আর রেইডার দীপক ১৬ টি রেইড করে আনলেন অমূল্য ১০ পয়েন্ট। এ দিন লখনউ-এর বাবু বানারসি দাস ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরুটা ভাল হয়নি বঙ্গযোদ্ধাদের। ইউপি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শুরুতেই পিছিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রথমার্ধের মাঝামাঝি ম্যাচে ফেরে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স। বিরতিতে ম্যাচের ফল ছিল ১৯-১৪। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গযোদ্ধাদের সেই লিড প্রথমে ইউপি যোদ্ধা ছুঁতে না পারলেও ম্যাচের একদম শেষ লগ্নে ২৫-২৫ করে ফেলে তারা। এ বারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দর পাওয়া নীতিন একাই তুলে আনেন আট পয়েন্ট। এর পরেই শুরু হয়ে যায় টেনশন। ম্যাচ শেষ হওয়ার চার মিনিট আগেও ২৯ -২৯ রয়ে গিয়েছিল ফল। শেষ পর্যন্ত বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স-এর কোরিয়ান রেইডার জ্যান কুন লি-র দাপটে ৩২-৩১ ফলে ম্যাচ জিতে নেন বঙ্গযোদ্ধারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy