Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দুই হাতের জাদু দিয়েই বাংলা দলে খেলার স্বপ্ন দেখছে অন্তরা

সম্প্রতি জেলা ক্রিকেট লিগের খেলায় ডান হাতে পেস এবং বাঁ হাতে স্পিন করে সিএবির প্রশংসা অর্জন করেছে একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী।

উঠতি: অন্তরা ঘোষ।

উঠতি: অন্তরা ঘোষ।

তাপস ঘোষ
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৯
Share: Save:

বাংলার ক্রিকেটে চমক নিয়ে এসেছে চন্দননগর। অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে এই এলাকার ছেলে ইশান পোড়েল। মহিলা ক্রিকেটেও পিছিয়ে নেই পাশের শহর ভদ্রেশ্বর। দুই হাতে বল করে নজর কেড়ে নিয়েছে এ শহরের অন্তরা ঘোষ।

সম্প্রতি জেলা ক্রিকেট লিগের খেলায় ডান হাতে পেস এবং বাঁ হাতে স্পিন করে সিএবির প্রশংসা অর্জন করেছে একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী। স্থানীয় মণ্ডলবাগানের বাসিন্দা অন্তরা চন্দননগরের উষাঙ্গিনী বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। ছোট থেকেই ক্রিকেটে আগ্রহ রয়েছে তার। শুরু থেকেই মেয়ের ক্রিকেট প্রেমকে উৎসাহ দিচ্ছেন তার বাবা রাজকুমারবাবু। ২০১২ সালে তিনিই অন্তরাকে কলকাতার বিবেকানন্দ পার্ক কোচিং সেন্টারে ভর্তি করেন। সেখানেই ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ শেখার শুরু। একই সঙ্গে চুঁচুড়া ময়দানে ক্রিকেট কোচ জয়শ্রী সিংহ রায়ের কাছেও ক্রিকেট শিখছে সে। প্রথমে সে মূলত ব্যাটসম্যান ছিল। তার সঙ্গে ডান হাতে জোরে বলেও স্বচ্ছন্দ ছিল অন্তরা। মাঝে মধ্যে বাঁ হাতে স্পিন বল করলেও সেটি নিয়মিত ছিল না। কিন্তু অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে এখন সে দু’হাতে বল করতেই সমান দক্ষ হয়ে উঠেছে।

২০১৪ সালে জেলা ভিত্তিক মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চন্দননগর জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে খেলতে নেমে প্রথম নির্বাচকদের নজরে আসে সে। এখন চন্দননগরের ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য অন্তরা। ব্যাট ও বল—দুই বিভাগেই সমান সাফল্য পাচ্ছে। বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাই এখন তাঁর স্বপ্ন।

অন্তরা জানায়, ছোট থেকেই ক্রিকেট তার খুব প্রিয়। তার ক্রিকেটের প্রথম হাতেখড়ি পাড়ার মাঠে। পড়শি মেয়েরা ক্রিকেট খেলতে রাজি না হওয়ায় ছেলেদের সঙ্গেই খেলতে নামত বিরাট কোহলি ও যুবরাজ সিংহের এই ভক্ত। কলকাতায় প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করার পরে বাড়তি পরিশ্রম করতে শুরু করে অন্তরা। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক পরিশ্রম করে দুই হাতেই বল করা রপ্ত করতে পেরেছি। পরিশ্রমও অনেক বাড়িয়েছি।’’ অন্তরার বাবা রাজকুমারবাবুর কথায়, ‘‘অন্তরা পরবর্তী সময়ে বাংলা তথা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করুক, এটাই চাই।’’

অন্তরার পারফরম্যান্স নিয়ে সিএবিও খুশি। সিএবির নির্বাচক কেয়া রায় বলেন, ‘‘অন্তরার খেলা দেখেছি। ভাল ক্রিকেটার হওয়ার অনেক গুণ ওর মধ্যে রয়েছে। দরকার প্রশিক্ষণ ও পরিশ্রম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Antara Ghosh Cricketer Cricket
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE