মালি দল। —ফাইল চিত্র।
প্রতিপক্ষ যখন ব্রাজিল, তখন প্রস্তুতিটাও একটু অন্য রকম।
সকাল সকাল অনুশীলন সেরে হোটেলে ফিরে গিয়েছিল মালির খেলোয়াড়রা। দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন শেষে আবারও হোটেলে বিশ্রাম। শনিবার চূড়ান্ত নিয়মের মধ্যে রেখেও ফুটবলারদের কিছুটা চাঙ্গা রাখা। এটাই ছিল এ দিনের লক্ষ্য।
আর মূল লক্ষ্য ছিল, গত বারের মতোই ফাইনালে পৌঁছনো। সঙ্গে অধরা ট্রফি ঘরে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু, তেমনটা হল না। স্পেনের কাছে হেরে এখন সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ— ব্রাজিল। তাই জয় দিয়েই শেষ করতে চান মালি কোচ কোমলা। অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালের আগে তাই হয়তো ইউরোপের ফুটবলকেই এগিয়ে রাখলেন তিনি। বলে দিলেন, কোথায় এগিয়ে ইউরোপ। দুই ফাইনালিস্টই তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘ইউরোপের কাছে সব আছে। সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার যথাযোগ্য ব্যবস্থাও রয়েছে। আফ্রিকার দেশে ট্যালেন্ট রয়েছে। যে কারণে একটা বয়সের পর যারা ট্যালেন্টেড তারা চলে যায় ইউরোপের ক্লাবে খেলতে।’’
আরও পড়ুন
এই ফুটবল জ্বর ধরে রাখুক ভারত, বার্তা ফিফার
অন্য দিকে, বিকেলে ব্রাজিল অনুশীলন করল সাইয়ের মাঠে। ভেবেছিল, ফাইনাল খেলে এ বার ট্রফিটা নিয়েই যাবে। কিন্তু, ইংল্যান্ড সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে। তৃতীয়-চতুর্থ স্থানের লড়াইয়ে মুখোমুখি হওয়া দুই দলই দুই ফাইনালিস্টের কাছে হেরেছে ৩-১ গোলে। এ বার লক্ষ্য তাই তৃতীয় হওয়া। সামনে যখন মালি, তখন লড়াইটা সহজ হবে না এটাই স্বাভাবিক। গত বারের রানার্সরা এত দিন বেগ দিয়ে এসেছে সব দলকেই। সেমিফাইনালে স্পেনের সামনে হার মানতে হলেও, তাদের লড়াইটা সেই তৃতীয় স্থানের জন্যই। তাই মালিকে সমীহই করছে পুরো ব্রাজিল টিম। ব্রাজিল কোচ কার্লোস আমাদেউ বললেন, ‘‘ওরা খুব ভাল দল বলেই সেমিফাইনাল খেলেছে। ১৬ গোল করেছে। পাশাপাশি ৯ গোলও কিন্তু হজম করেছে।’’ যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, মালির এই দুর্বলতাটাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা।
পাশাপাশি কলকাতার সমর্থকদের ভালবাসার প্রতিদান দিতে না পেরেও হতাশ পুরো ব্রাজিল টিম। কোচ বলেন, ‘‘আমরা দুঃখিত এ ভাবে ম্যাচ হারার জন্য। হোটেলে ফিরে টেকনিক্যাল স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। পরের দিনই আরও একটা সাধারণ দিনের মতো কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম আমরা। লক্ষ্য সেট করে নিয়েছিলাম। দল তৈরি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখানে বিশ্বকাপ খেলতে পেরে আমরা খুশি। এটা ভেবেও ভাল লাগছে, বিশ্বকাপের সেরা চার দলের মধ্যে আমরা রয়েছি। আমরা এখন জানি, কীসের জন্য লড়াই করছি।’’
আরও পড়ুন
ভারত ফুটবলের দেশ, বললেন ফিফা প্রধান
ব্রাজিলকে যেমন ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে কলকাতার মানুষ। যা দেখে আপ্লুত পুরো দল। এক কথায় তারা কলকাতাকে ঘরের মাঠ বলতে শুরু করেছে। যে কারণে সেমিফাইনাল কলকাতায় চলে আসায় দারুণ খুশি ছিল গোটা দল। অন্য দিকে, ভারতের ফুটবলপ্রেম আর স্টেডিয়াম দেখে মুগ্ধ মালি কোচ। বলেন, ‘‘এখানকার আয়োজন অসাধারণ। প্রতিটি স্টেডিয়াম দারুণ। মাঠের ঘাসও খুব ভাল।’’ লড়াইয়ে নামার আগে তাই চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে কোনও পক্ষকেই এগিয়ে রাখতে চাইলেন না কোমলা। নিজেদের নিয়েই বললেন, ‘‘সেমিফাইনাল শেষ। সেই হার নিয়ে আর ভাবছি না। এখন আমাদের সামনে শুধু তৃতীয় স্থানের লক্ষ্য।’’
তৃতীয় স্থানের ম্যাচ
ব্রাজিল বনাম মালি (বিকেল ৫টা, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কলকাতা)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy