ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: হকি ইন্ডিয়ার ফেসবুক থেকে।
এ বার কমনওয়েলথে ভারতীয় হকি দলের শুরুটাই হয়েছিল অন্যভাবে। যে ম্যাচ নিয়ে তেতে থাকে গোটা বিশ্ব। সে ক্রিকেট হোক বা হকি। সেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়ে গেল ভারতীয় হকি দলের কমনওয়েলথ গেমস। যদিও ম্যাচ শেষ হল সমানে সমানে। তাই তেমনভাবে উত্তপ্ত হল না কমনওয়েলথের ময়দান। না হলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গে মাঠের বাইরেরও লড়াই অনিবার্য।
পুল ‘বি’তে ভারত-পাক ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। প্রথম দুই কোয়ার্টারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ভারতেরই হাতে। পরের দুই কোয়ার্টারে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। হাফ টাইম পর্যন্ত দু’গোলে এগিয়ে ছিল ভারতই। সেটাকে কাজে লাগিয়েই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু হল উল্টোটাই। খানিকটা আত্মতুষ্ট হয়েই যেন পয়েন্ট হারাতে হল ভারতকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের উপর চূড়ান্ত চাপ বাড়ায় পাকিস্তান। ৩৮ মিনিটে মহম্মদ ইরফান জুনিয়র পাকিস্তানের হয়ে ব্যবধান কমান। ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে ভিডিও রেফারেল চায় পাকিস্তান। পেনাল্টি কর্নারও পেয়ে যায়। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে পাকিস্তানকে সমতায় ফেরান মুবাশার আলি। পাকিস্তান শেষ বেলায় ভারতকে হারিয়েও দিতে পারত যদি না ভারতের গোলের নিচে প্রাচীর তৈরি করতেন পিআর শ্রীজেশ। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সেভ করলেন তিনি।
আরও পড়ুন
কমনওয়েলথ: ফের কামাল ভারোত্তলকদের, ভারতের তৃতীয় সোনা
ভারতের হয়ে শুরু করেন দিলপ্রীত। প্রথম কোয়ার্টারেই তিনি এগিয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে হরমনপ্রীত সিংহ ২-০ করেন। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে আত্মতুষ্ট হয়ে পরেই যেন ম্যাচ ড্র রেখে মাঠ ছাড়তে হল ভারতকে। পাকিস্তান বেশ কিছু পেনাল্টি কর্নার সেই সময় পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি শ্রীজেশের জন্যই। দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের হয়ে রুপিন্দর পাল সিংহর পেনাল্টি কর্নার আটকে দেন ইমরান বাট।
পাকিস্তানের প্রথম গোলটি শুরুতে লেখা হয়েছিল মহম্মদ আরসালান কাদিরের নামে। কিন্তু রি-প্লেতে দেখা যায় সেটা ইরফান জুনিয়রের। শেষবেলায় জয়ের গোল তুলে নেওয়ার সুযোগ এসে গিয়েছিল ভারতের। মনদীপ সিংহ সেই নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন। না হলে জিতেই মাঠ ছাড়তে পারত ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy