—ফাইল চিত্র।
দিল্লির বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতলে হয়তো বিজয় হজারে ট্রফির লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারতেন মনোজ তিওয়ারিরা। জেতা তো হলই না, বরং ঋষভ পন্থদের বিরুদ্ধে ৮৯ রানে হারতে হল বাংলাকে। সে ক্ষেত্রে এ মরসুমে একটিও ট্রফির মুখ দেখতে পারলেন না মনোজ তিওয়ারিরা। এ মরসুমে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের মতোই বাংলার ব্যাটিং বিপর্যয় আবারও নজরে পড়ল।
২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার ভাল শুরু করেও তা কাজে লাগাতে পারলেন না দুই বঙ্গ ওপেনার— শ্রীবৎস গোস্বামী (১৫) ও অভিমন্যু ঈশ্বরন (৬৭)। ৩৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে বাংলার। কুলবন্ত খেজরোলিয়ার বলে বোল্ড হন শ্রীবৎস। ঠিক তার তিন রানের মধ্যেই রান আউট হন বিবেক সিংহ। তখন বাংলার রান ৩৯-২। ঠিক পরের ওভারেই আরও একটি উইকেট হারান মনোজরা। বিজয় হজারে ট্রফিতে প্রথম বার সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারলেন না অভিষেক কুমার রামন। পাঁচ বল খেলে কোনও রান না পেয়ে প্যাভিলিয়নমুখী হতে হয়েছে তাঁকে। এক দিক থেকে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও লড়াই ছাড়ছিলেন না ঈশ্বরন।
তবে ঈশ্বরনকে যোগ্য সহায়তা করতে পারেননি বাংলার অধিনায়ক। ২৩ বল খেলে মাত্র ১৭ রান করে পবন নেগির বলে বোল্ড হয়েছেন বঙ্গ অধিনায়ক। মনোজ আউট হতেই ক্রিজে আসে অনুষ্টুপ মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ৬৮ রানের পার্টনারশিপ খেলেন ঈশ্বরন। বাংলার ইনিংসে সেটাই সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। ৩০ ওভারে ঈশ্বরনের উইকেট পড়তেই ধস নামে বাংলা শিবিরে। ম্যাচের ৪১ ওভারে ১৯৩ রানে শেয হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন সুবোধ ভাটি ও কুলবন্ত খেজরোলিয়া।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লির অধিনায়ক ইশান্ত শর্মা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় ব্যট করছিলেন উন্মুক্ত চন্দ ও হিতেন দালাল। ১১৪ বলে ৯০ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন প্রাক্তন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। তবে দিল্লি জিতলেও বাংলার বিরুদ্ধে কোনও উইকেট পাননি দিল্লির অধিনায়ক ইশান্ত শর্মা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy