দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ হারের পরে যখন সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা, তখন তাঁরা পাশে পেলেন তাঁদের এক সতীর্থকে। চেন্নাইয়ে সিএসকে-র এক অনুষ্ঠানে এসে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলে দিলেন, এই হারের মধ্যে থেকে ইতিবাচক দিকটা দেখতে হবে।
কী সেটা? ধোনি বলেছেন, ‘‘আপনারা এই সিরিজ হারের মধ্যে থেকে ইতিবাচক ব্যাপারগুলো দেখুন। একটা টেস্ট জিততে হলে ২০টি উইকেট সব সময় নিতে হয়। আমরা কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম দু’টো টেস্টে ২০টি করে উইকেট নিয়েছিলাম। একটা টেস্টে ২০টা উইকেট যদি একটা দল নিতে না পারে, তা হলে তার মানে কী? তার মানে হল, সেই টিম ড্রয়ের বাইরে কিছু ভাবতে পারে না।’’
ধোনির মতে, একটা দলের যদি কুড়িটা উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা থাকে, তা হলে সেই দলটা টেস্ট জেতার থেকে খুব বেশি দূরে নেই। ‘‘আপনি কী ভাবে একটা টেস্ট ড্র করতে পারেন? কম রান দিয়ে আর নিজেরা রান করে। কিন্তু টেস্ট জিততে হলে কুড়িটা উইকেট নিতেই হবে। তা সেটা দেশেই খেলা হোক কি বিদেশে। আমরা কিন্তু ২০টি উইকেট নিচ্ছি। এটা একটা বড় ইতিবাচক দিক। কারণ এর মানে হল, আমরা টেস্ট জয়ের রাস্তায় আছি। এক বার ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারলেই আমরা টেস্ট জয়ের জায়গায় পৌঁছে যাব,’’ বলেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
দু’ বছর আইপিএলের বাইরে থাকার পরে এ বার প্রত্যাবর্তন ঘটেছে চেন্নাই সুপার কিংগসের। সিএসকে-তে ফিরে এসেছেন ধোনিও। যা নিয়ে তিনি বলছেন, ‘‘আমি কখনও সিএসকে ছাড়া অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার কথা ভাবিনি। চেন্নাই আমার কাছে নিজের ঘর-বাড়ির মতোই। এখানকার ভক্তরা আমাকে আপন করে নিয়েছে।’’
ধোনি জানাচ্ছেন, অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজিই তাদের হয়ে খেলার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছিল। ‘‘অনেকেই আমার কাছে এসেছিল, এটা আপনাদের বলতে পারি। কিন্তু সিএসকে-তে ফিরে আসা ছাড়া আমার দ্বিতীয় কোনও ভাবনা ছিল না। আমরা যে ভাবে নিজেদের তৈরি করেছি, যে ভাবে এত দিন নানা ওঠা-পড়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে, যে ভাবে সিএসকে-র ভক্তরা, টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে গ্রহণ করেছে, তার পরে এখানে ফিরে আসতে হতোই। এটা একটা বিশেষ জায়গা,’’ বলেছেন ধোনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy