Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
East Bengal

উত্তেজক ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয় ইস্টবেঙ্গলের

ময়দানের বহু পরিচিত প্রবাদ, খোঁচা খাওয়া বাঘ আর দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল দুই সমান। এ দিন যেন সেই প্রবাদকেই পুনর্জন্ম দিল লাল-হলুদ ফুটবলাররা।

ডুডু ম্যাজিকে জয় ফিরল ইস্টবেঙ্গল। ছবি: এআইএফএফ সৌজন্যে।

ডুডু ম্যাজিকে জয় ফিরল ইস্টবেঙ্গল। ছবি: এআইএফএফ সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:১২
Share: Save:

ময়দানের বহু পরিচিত প্রবাদ, খোঁচা খাওয়া বাঘ আর দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল দুই সমান। এ দিন যেন সেই প্রবাদকেই পুনর্জন্ম দিল লাল-হলুদ ফুটবলাররা।

রবিবার বারাসতে বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে ডুডুর এক মাত্র গোলে ইন্ডিয়ান অ্যারোজকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। খেতাবি লড়াইয়ে টিকে থাকতে এ দিন জিততেই হত ইস্টবেঙ্গলকে। তাই ম্যাচের শুরু থেকেই লাল-হলুদ ফুটবলারদের শরীরী ভাষায় ছিল জয়ের তাগিদ। গোটা ম্যাচই এ দিন দাপটের সঙ্গে খেলে লাল-হলুদ। তবে, দাপট দেখানো আর গোল পাওয়া যে এক জিনিস নয় তা ফের এক বার টের পেলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।

গোটা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ লাল-হলুদ ফুটবলারদের হাতে থাকলেও এ দিন সমানে সমানে লড়াই চালায় ইন্ডিয়ান অ্যারোজ। আর এরই কারণে বহু কাঙ্খিত গোলটি পেতে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের অন্তিম লগ্ন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।

তবে প্রথমার্ধেই গোল পেয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল, যদি প্রাপ্য সুযোগের উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারতেন জবি জাস্টিন-আনসুমানা ক্রোমারা। ক্রমাগত দুই উইং দিয়ে ভেসে আসা ক্রসগুলিকে ধরে এক বারের জন্যও ভয়ঙ্কর হতে পারলেন না ব্রেন্ডনরা। তবে এরই মাঝে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে সহজতম সুযোগটি আসে ডুডু ওমাগবেমির কাছে। সুযোগটি ঠিক মতো কাজেও লাগিয়েছিলেন ডুডু। কিন্তু কপাল খারাপ হলে আর কী করা যাবে! ডুডর সেই শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই উইং প্লের উপর জোড় দিতে মেহতাব সিংহের পরিবর্তে সামাদ আলি মল্লিককে মাঠে নামান লাল-হলুদ সারথি খালিদ জামিল। সামাদ রাইট ব্যাক হলেও তাঁর ওভারল্যাপিং করার ক্ষমতাকে কাজে লাগাতেই এই ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তনটি নিয়েছিলেন খালিদ। পরিবর্তনটি যে অর্থবহ ছিল তা বোঝা যায় সামাদ মাঠে নামার পর থেকেই। একের পর এক ওভারল্যাপে বক্সের মধ্যে বল তুলতে থাকেন সামাদ। কিন্তু এখানেও সেই পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাব। সামাদের বাড়ানো বলগুলিকে সঠিক দিশা দিতে ব্যর্থ হন ডুডুরা।

আরও পড়ুন: ব্যাটে-বলে দুরন্ত জয় ভারতের

শেষ বেলায় সব ব্যর্থতাকে ছাপিয়ে মশাল জালিয়ে গেলেন সেই ডুডুই। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে করা ডুডুর গোলে আই লিগের লাইফ লাইন পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।

লাল-হলুদ স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার দিনও উজ্জ্বল জাপানি ‘সামুরাই’ কাটসুমি ইউসা। কাটসুমির পায়েই ছিল এ দিন লাল-হলুদ মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ। ডিফেন্স থেকে অ্যটাক সব ক্ষেত্রেই সমান সচল এই জাপানি তারকা। এ দিন কাটসুমির খেলা দেখে মনে পড়ে যাচ্ছিল পেন ওর্জির কথা। লাল-হলুদে ট্রেভার জেমস মর্গ্যানের প্রথম ইনিংসে যে ভাবে পেন্ডুলামের মতো গোটা মাঠে বিচরণ করতেন পেন ঠিক তেমনই এ দিন গোটা মাঠ জুড়ে খেললেন কাটসুমি। মর্গ্যানের সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম ভুমিকা ছিল এই নাইজেরিয় পেনের। এ বার দেখার জাপানি তারকার অদম্য লড়াইয়ে সেই সাফল্যের মুখ দেখতে পারেন কি না খালিদ জামিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

East Bengal Indian Arrows Football I-League
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE