লাল-হলুদ আবেগকে নিয়ে বাঁচা এই সমর্থকরাই এখন বীতশ্রদ্ধ ক্লাবকর্তাদের আচরণে।—ফাইল চিত্র।
সম্ভবনা ক্ষিণ হলেও এখনও আই লিগ জয়ের আশা আছে ইস্টবেঙ্গলের। এই পরিস্থিতিতে গোটা দল শেষ ম্যাচগুলো থেকে পুরো পয়েন্ট তুলে নিতে নিজেদের ফোকাস করেছে।
তবে টিম যখন লিগের পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য প্র্যক্টিসে কালঘাম ছোটাচ্ছে, তখন মনের অন্দরে ক্রমাগত জমতে থাকা বারুদে বিস্ফোরণ ঘটালেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। বিদ্রোহের আগুন জ্বলল ক্লাব তাঁবুতেই।
মঙ্গলবার সকালে ক্লাবে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় ৮০ জন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। এই জমায়েত হঠাৎ নয়! দীর্ঘ দিন ধরেই ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দাগছিলেন সমর্থকেরা। সেই মতো তাঁরা ঠিক করেন, মঙ্গলবার সকালে ক্লাব তাঁবুতে এসে দলের লাগাতার খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য কর্তাদের জবাবদিহি চাইবেন।
ঝামেলার আভাস আগেই পেয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা। সেই মতো ক্লাবের বাইরে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ক্লাবের প্রধান গেট তালা বন্ধ ছিল। তবে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি লাল-হলুদ সমর্থকদের সামনে। তাঁদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে গেটের বাইরেই। মূলত ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এবং সচিব কল্যাণ মজুমদারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিল সমর্থকদের। তাঁদের নামে এ দিন ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: চেলসি বনাম বার্সেলোনা: যুযুধান দুই দলের তুলনা
আরও পড়ুন: চেলসি-আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠার পরীক্ষা মেসির
বিক্ষোভটা মূলত শুরু হয় এক মহিলা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের সঙ্গে ক্লাবের এক কর্মীর বাতানুবাদকে ঘিরে। জনৈক ওই ব্যক্তি প্রশ্ন তুলে দেন ক্লাবতাঁবুতে সমর্থকদের প্রবেশাধিকার নিয়ে। ওই ব্যক্তি অশালীন ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ।
পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে তখন আসরে নামে পুলিশ। পুলিশের সক্রিয়তায় ধীরে ধীরে ক্লাব চত্বর ফাঁকা করে দেন সমর্থকেরা। তবে ক্লাব ছাড়ার আগে তাঁরা জানিয়ে দেন, এত সহজে পিছু হটবেন না। জানিয়ে দেন আগামী শুক্রবারের বৈঠকে স্পনসর সমস্যা, নিম্নমানের বিদেশি রিক্রুট এবং ক্লাবের ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্সের কারণ কী— সেই বিষয়ে জানতে চাইবেন তাঁরা।
এই বিষয়ে ক্লাব সচিবের সঙ্গে পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সমর্থকরা এই রকম করতেই থাকেন। ক্লাবকে আমরাও ভালবাসি। কিন্তু এটা প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নয়। আর্সেনাল-লিভারপুলের মতো ক্লাবও দীর্ঘ দিন সাফল্য পায়নি। ফলে ক্লাবের ব্যর্থতায় শুধু কর্তাদের নিশানা বানানোটা ঠিক নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy