ফাইল চিত্র।
দুপুর দেড়টায় যখন বিরাট কোহালি ও স্টিভ স্মিথ টস করতে যান, তখন ইডেনের গ্যালারি অনেকটাই ফাঁকা। ৬৫ হাজারি গ্যালারিতে তখন মেরেকেটে হাজার দশেকের উপস্থিতি। বিরাট কোহালি বোধহয় অবাকই হয়ে গিয়েছিলেন ইডেন গ্যালারির এই বেহাল দশা দেখে। বিরাট কেন, স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও সম্ভবত অবাক হয়ে গিয়েছিলেন প্রথম দিকে গ্যালারির অবস্থা দেখে। তবে খেলা যত গড়াল, ওভার সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকসংখ্যাও বাড়তে থাকল। শহরও ইডেনমুখী হল ক্রমশ। সন্ধেয় সিএবি সূত্রে জানা গেল দর্শকসংখ্যা নাকি ছত্রিশ হাজার ছুঁয়েছে। তাতেও ইডেনের গ্যালারি ভরার কথা নয়। কী করে ভরবে? প্রায় ৩০ হাজার আসন যে তখনও ফাঁকা।
কুলদীপ যাদবের আগে ইডেনে আর কোনও ওয়ান ডে হ্যাটট্রিক ছিল কি না, এই পরিসংখ্যানের পাশাপাশি ইডেনে আর একটা পরিসংখ্যানের খোঁজও শুরু হল। এটাই ইডেনে ভারতের ওয়ান ডে ম্যাচে সবচেয়ে কম দর্শক কি না। প্রথমটার উত্তর পাওয়া গেলেও পরেরটার উত্তর পাওয়া গেল না। কিন্তু সিএবি-র এক বর্ষীয়ান কর্তা বললেন, ‘‘আমার তো ইডেনে এত কম দর্শকের কথা মনে পড়ছে না ভারতের ওয়ান ডে ম্যাচে।’’ কিন্তু কেন ক্রিকেটরসিক বাঙালির এই অনীহা ক্রিকেটের প্রতি? যে ইডেনে দর্শকের তাণ্ডবে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল সিএবি, যে ইডেনে গ্যালারি ফাঁকা করে দিয়ে ম্যাচ শেষ করতে হয়েছিল, সেই ইডেনে দর্শকের অভাব?
আরও পড়ুন: অভিযান শেষ সিন্ধু, সাইনার
সিএবি কয়েকজন কর্তা অবস্থা দেখে জানালেন, বিক্রিত টিকিটের আসন কমই ফাঁকা ছিল এ দিন। কিন্তু সদস্যদের ও কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের আসন অর্ধেকের বেশিই এ দিন ফাঁকা ছিল। যাঁরা টাকা দিয়ে টিকিট কেনেননি, তাঁদের অনেকেই ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে রইলেন সারা দিন। সামনে পুজো, টিকিটের চড়া দামের যুক্তি তাঁদের ক্ষেত্রে তো আর খাটে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy