ছবি: এপি
শেষ ম্যাচেও ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। এজব্যাস্টনে অসিদের ৪০ রানে হারিয়ে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে পৌঁছতে সুবিধা করে দিল মর্গ্যান বাহিনী। গতকাল কিউই বধের পর পরই অস্ট্রেলিয়ার হার কিংবা বৃষ্টি দেবতার আশীর্বাদ কোনও একটা চাইছিল বাংলাদেশের সমর্থকরা। শনিবার ইংল্যান্ডের নাম জপে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন টাইগার বাহিনীর অসংখ্য সমর্থক। এ দিন তাঁদের হতাশ করেননি ইংল্যান্ড ক্রিকেটারেরা। শনিবারের এজব্যাস্টন যেন এক টুকরো কার্ডিফ। বেন স্টোকস যেন সাকিব আল হাসান, মরগান যেন মাহামাদুলা। ইংল্যান্ডের জয়ে যেন ধরা দিল টাইগারের বুনো হাসি।
আরও পড়ুন: আইসিসি টুর্নামেন্ট এলেই কি জ্বলে ওঠে টাইগাররা?
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেই শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল যে ইংল্যান্ডকে, সেই ইংল্যান্ডের কারণেই বাংলাদেশ পেল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ। প্রায় এক যুগ পর আইসিসির এই এলিট প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পেয়েই বাংলাদেশ চলে গেল শেষ চারের লড়াইয়ে। আইসিসির যে কোনো প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালের টিকেট পেল লাল-সবুজের দল। উঠে গেল নতুন উচ্চতায়।শুক্রবারই গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু সেমিতে পৌঁছন তখনও নিশ্চিত ছিল না। শেষ চার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আজকের ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ফলাফল আসা পর্যন্ত। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতে গেলে হতাশ হতে হতো বাংলাদেশকে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট দেবতার আশীর্বাদে তেমনটা ঘটল না। প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। শনিবারের এই জয়ের ফলে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে পা রাখল ইংল্যান্ড। আর তিন ম্যাচে একটি জয় পেয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গী হলো বাংলাদেশ। অন্যদিকে গ্রুপের অপর দুই দল নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে ফিরতে হলো খালি হাতে। অস্ট্রেলিয়ার দুটি ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টির কারণে। আর নিউজিল্যান্ড হেরেছে দুটি ম্যাচে, একটি হয়েছে পরিত্যক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy