ছবি: সংগৃহীত।
রিও অলিম্পিক্স ফাইনালে জার্মানিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথম সোনা জেতার রাত তার মনে উজ্জ্বল। নেমারের শেষ পেনাল্টিতে গোল এবং গোলকিপার ওয়েভারটন-এর পেনাল্টি বাঁচানোর কথা বলার সময় হাসি তার মুখে।
আর তিন বছর আগে মিনেইরোর সেই ৭-১ হারের রাত? এ বার গম্ভীর ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের গোলকিপার গ্যাব্রিয়েল ব্রাজাও। বলে, ‘‘ওটা অনেক দিন আগের ঘটনা। ভুলে গিয়েছি।’’
মনের কথা প্রকাশ হয় খানিক পরেই। রবিবারের ব্রাজিল-জার্মানি ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠলে ব্রাজাও এ বার চলে, ‘‘জার্মানির বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই তো বড় পরীক্ষা। ইরান আর কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানদের খেলার ভিডিও ক্লিপিংস খুঁটিয়ে দেখেছি। সাম্প্রতিক অতীত ভুলিনি আমরা।’’
কোয়ার্টার ফাইনাল জেতার জন্য ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে ব্রাজাওদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির গ্যাব্রিয়েল জেসাস। মিনেইরোর সেই অভিশপ্ত ম্যাচে জার্মান কোচ জোয়াকিম লো-র বার্তাও পৌঁছে গিয়েছে জার্মান শিবিরে। দু’মিনিটের যে বার্তায় লো বলেছেন, ‘‘ব্রাজিলকে হারাতে নিজের সেরাটা দাও তোমরা। জিততেই হবে তোমাদের।’’
পওলিনহো, লিঙ্কন, অ্যালানদের এ দিন বিশ্রাম দিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ কার্লোস আমাদেউ। প্রথম দলের সদস্যদের মধ্যে কেবল অনুশীলনে এসেছিল তিন জন। গোলকিপার ব্রাজাও, স্টপার রডরিগো গুথ এবং লেফটব্যাক ওয়েভারসন। সঙ্গে ন’জন রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলার।
ইরান এবং কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণে গিয়ে নামতে সময় নিয়েছে জার্মান সাইডব্যাকরা। যা নজর এড়ায়নি ব্রাজিল কোচ আমাদেউ-এর। তাই এ দিন বৃষ্টিস্নাত অনুশীলনে বক্সের বাইরে একটি সাদা দড়ি পেতেছিলেন তিনি। সেখানে দাঁড় করিয়েছিলেন স্টপার রডরিগো-কে। তার পিছনে এক লাইনে আরও তিন ডিফেন্ডার। রডরিগোর সঙ্গে সমান্তরাল লাইনে ছিল ‘ডামি’ বিপক্ষ স্ট্রাইকার। বিপক্ষের দুই উইঙ্গার দুই প্রান্তে। সেখান থেকে কখনও জমি ঘেসা থ্রু, কখনও বা এরিয়াল বল উড়ে আসছিল রক্ষণে। যা হেড দিয়ে নামিয়ে সেকেন্ড বল বানিয়ে দিচ্ছিল ব্যাক ফোরের মাঝে থাকা ‘ডামি’ স্ট্রাইকার। সেই সেকেন্ড বল ধরে বিপক্ষ মিডিও দ্রুত ঠেলে দিচ্ছিল উইংয়ে। দুই উইঙ্গারই তখন বক্সে। দুই উইং-এ তখন হাজির বিপক্ষের দুই সাইডব্যাকও। সাইডব্যাকরা স্কোরিং জোনে ঢুকে দু’তিনটে পাস খেলেই গোলের মুখ খুলে ফেলছিল। যার অর্থ, জার্মানদের দুর্বল রক্ষণের বিরুদ্ধে উইং বরাবর দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকেই গোলের মুখ খুলতে চাইছে ব্রাজিল।
ব্রাজাও বলছে, ‘‘কোচি, গোয়া সমর্থন করেছে। কলকাতাও করবে শুনলাম। এটা আমাদের কাছে বাড়তি সুবিধা। ৩৫৫ মিনিট গোল খাইনি। সেটা সম্ভব হয়েছে আমাদের রক্ষণের জন্যই। জার্মানির বিরুদ্ধে সেই ফর্মটাই চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy