মোহনবাগান অধিনায়ক সনি নর্দে বলে দিলেন, ‘‘মোহনবাগান প্রথমে যোগাযোগ করেছিল বলেই আই লিগে খেলছি। এ বার অনেক নতুন ফুটবলার টিমে। ধাপে ধাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিকে এগোতে হবে।’’
একটি প্রশ্নের উত্তরে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডলের জবাব, ‘‘আমাদের টিমও এ বার বেশ শক্তিশালী। চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’’
মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনের মন্তব্য, ‘‘ভাল ফুটবলার আইএসএলে চলে গিয়েছে তো কি হয়েছে। সিস্টেম তো একই আছে। প্লেয়ারদের নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। আইএসএলে যারা খেলছে তাদের চেয়ে আই লিগের ফুটবলারদের মান কোনও অংশে খারাপ নয়।’’
ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিলের আবার জবাব, ‘‘প্রত্যাশার চাপ ভয়ঙ্কর। আশা করছি এ বার বছরটা শেষ করব সফলভাবেই।’’
গতবারের চ্যাম্পিয়ন আইজল এফ সি-র অধিনায়ক সাইলা মাওসাতুলুঙ্গা বলে দিলেন, ‘‘আমাদের সমর্থকরা এ বারও প্রচুর সংখ্যায় আগের মতোই মাঠে আসবেন। ’’
আই লিগের দশ টিমের কোচ ও অধিনায়কদের প্রত্যাশা আর ভাবনার নানা মন্তব্যের এই কোলাজেই ঢাকে কাঠি পরে গেল আই লিগের। উদ্বোধনের জন্য কোনও অনুষ্ঠান নয়, দিল্লির এক পাঁচ তারা হোটেলে মঙ্গলবার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একই মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয়েছিল সবাইকে। সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের জন্য। সেখানে রাখা ছিল ট্রফিও।
তিনটি নতুন টিম এ বার এসেছে আই লিগে। কেরলের গোকুলম এফ সি, ফেডারেশনের টিম ইন্ডিয়ান অ্যারোজ এবং মণিপুরের নেরোকা এফ সি। বাকি সবাই পুরানো দল। তবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফ সি চলে গিয়েছে আইএসএলে। ফলে এ বার চমক অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ খেলা ছেলেদের নিয়ে তৈরি লুইস নর্টন দ্য মাতোসের টিম অ্যারোজই। যেখানে খেলতে দেখা যাবে অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের কয়েকজন ফুটবলারকেও। এ দিন জ্যাকসন সিংহ, সঞ্জীব স্ট্যালিনদের নিয়ে এসেছিলেন পর্তুগিজ কোচ মাতোস। সব দলে যখন পাঁচজন করে বিদেশি খেলবে তখন তাঁর দলে খেলবে স্বদেশী ফুটবলাররা। মাতোস বলে দিলেন, ‘‘আমরা একটা চ্যালেঞ্জ ও শিক্ষার জন্য নামছি। ড্র করলেও দুঃখিত হব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy