আই লিগের ক্লাবগুলি বিদেশে ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ফেডারেশনের কাছে। ছবি: সংগৃহীত।
ক’জন বিদেশি এ বার খেলবে আই লিগে? কলকাতা লিগের নিয়ম-ই বা কী হবে? এই সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ফুটবলারের সঙ্গে কথাবার্তা এগিয়ে রাখলেও চুক্তি করতে পারছে না কলকাতার দুই প্রধান। আইএসএলের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর দু’দলের কাছেই এখন বিদেশি নির্বাচনই প্রধান সমস্যা।
আইজল এফসি-র মিডিও আল আমনাকে ইতিমধ্যেই নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পাহাড়ি ক্লাবটির স্টপার কিংসলের সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত করে ফেলেছে মোহনবাগান। এরপর আর এগোতে পারছেন না দুই প্রধানের কর্তারা। বিদেশি বাছতে লাল-হলুদ তাদের ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে পাঠাতে চায় ঘানায়। সেটা আটকে রয়েছে। সবুজ-মেরুন শিবিরের খবর তাঁরা পরিচিত দুই বিদেশির সঙ্গে কথা বলে রাখলেও চুক্তি করতে পারছে না। পরিস্থিতি যা তাতে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের আগে চূড়ান্ত কিছু হচ্ছে না।
আইএসএলের জন্য ভাল স্বদেশি ফুটবলার পাওয়া যাবে না। সেই অতঙ্ক থেকে আই লিগের ক্লাবগুলি বিদেশে ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ফেডারেশনের কাছে। তাদের দাবি, সংখ্যাটা চার থেকে পাঁচ হোক। ২৯ জুলাই দিল্লিতে কলকাতার দুই প্রধান-সহ ক্লাবগুলির সঙ্গে ফেডারেশন বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে লিগ কমিটির সভায়। তবে শোনা যাচ্ছে, ক্লাবেদের দাবি মেনে নেওয়া হতে পারে।
আই লিগের পাশাপাশি কলকাতা লিগে বিদেশি ফুটবলার খেলানোর নিয়মের পরিবর্তন হতে চলেছে। নতুন মরসুমে দুই’য়ের বদলে তিন বিদেশি খেলানো যাবে প্রথম একাদশে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমরাও কলকাতা লিগের আকর্ষণ বাড়াতে চার বা পাঁচ বিদেশি খেলানোর নিয়ম চালু করতে পারতাম। কিন্তু তাতে তিন প্রধানের সুবিধা হলেও বাকি দলগুলির আর্থিক সমস্যা হতো। তাদের কথাও ভাবতে হবে।’’ কলকাতার প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার কথা অগস্টে। লিগের দশটি দলের সঙ্গে তাই পয়লা জুলাই আলোচনায় বসছে আইএফএ। সেখানেই বিদেশি খেলানোর নিয়মে পরিবর্তনের ব্যাপারটি চূড়ান্ত হবে।
এ দিকে, কলকাতা লিগে তিন বিদেশি খেলানোর নিয়ম চালু হলে আপাতত তিন জনকেই সই করাবে দুই প্রধান। দুই ক্লাবের দুই শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘‘কলকাতা লিগের পর যুব বিশ্বকাপ। তারপর আই লিগ। ভেবেচিন্তে এগোতে হবে।’’ এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে গতবার দুই প্রধানে খেলা আট বিদেশির মধ্যে সাত জনকেই এ বার দেখা যাবে না। ইস্টবেঙ্গল তাদের সব ফুটবলারকেই ছেঁটে ফেলেছে। মোহনবাগান শুধু সনি নর্দেকে রাখতে চাইছে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন এক শীর্ষ কর্তা। কিন্তু হাইতি স্ট্রাইকারকে রাখতে চাইলেও তাঁর দাবি মতো টাকা দেওয়া কি সম্ভব সবুজ মেরুনের পক্ষে? কারণ সনিকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিতে পারে আইএসএলের দু’টি ক্লাব। আতলেতিকো দে কলকাতার ভাবনাতেও আছে সনির নাম। কাতসুমি ইউসা, ড্যারেল ডাফি এবং এদুয়ার্দো পেরেইরাকে রাখছে না মোহনবাগান। র্যান্টি মার্টিন্স বা ওয়েডসন আনসেলেমকে বাজিয়ে দেখলেও তাঁদের গঙ্গাপারের ক্লাবের তাঁবুতে ঠাই হচ্ছে না। ভারতে খেলা সফলতম স্ট্রাইকারের অন্যতম র্যান্টি এখন যুক্তরাস্ট্রের একটি ক্লাবে খেলছেন। তাঁকে জানুয়ারির আগে পাওয়া যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy