তৈরি জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম।—নিজস্ব চিত্র।
দেশের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপের শুরুটা জমিয়ে দিতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু, বাধ সাধল খোদ ফিফা। আয়োজক দেশের তরফে সেই আবেদন তাদের কাছে পৌঁছতেই জানিয়ে দেওয়া হল, ফুটবলের আসরে ও সব চলবে না। ফুটবলটাই আসল।
আইপিএল, আইএসএল-ই হোক বা ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে খেলা মানে শুরুতে জাঁকজমকপূর্ণ এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এবং তাতে তারকা সমাবেশ। ?যুব বিশ্বকাপ নিয়েও তেমন পরিকল্পনা করে ফেলেছিল এ দেশের সরকার। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত হার মানতে হল। যদিও ফুটবলের সেই আবেগ এখনও তেমন ভাবে রাজধানী শহর দিল্লিকে স্পর্শ করতে পারেনি। এখনও টিকিট বিক্রি দেখে আপ্লুত হওয়ার মতোও কিছু ঘটেনি। তার মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল! একটা ধাক্কা তো বটেই।
আরও খবর
নামলেন স্যাঞ্চো, গরমে কাবু চিলে
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত বললেন, ‘‘একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাতিল করতে হল। ফিফা চাইছে না বলে। ফিফার মতে, ফুটবলটাই আসল। তাই তারা জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের কোনও দরকার নেই। যে সময় দেওয়া হয়েছিল, সেই মিনিট কুড়িতে কোনও অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। তাই বাতিল করা হল।’’
যদিও আগামীকাল ৬ অক্টোবর দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ভারত বনাম ইউএসএ-র ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ম্যাচ শুরুর আগে তাঁর ভাষণ দেওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা-ও বাতিল হয়ে যায়। তবে, ভারতের মাটিতে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করতে, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই শুক্রবার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকবে ভারতের সেরা পাঁচ অধিনায়কের। যাঁরা ভারতকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন ফুটবল খেলে। যাঁদের নেতৃত্বে ভারতীয় ফুটবল দল কখনও এশিয়ান গেমস, কখনও বা অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সে রকমই ১২ জন ভারত অধিনায়ককে বিশ্বকাপ শুরুর মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই তালিকায় চুনী গোস্বামী থেকে ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো তারকা বাঙালি ফুটবলাররা থাকবেন। সুব্রত দত্ত বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন যাঁরা এশিয়ান গেমস, অলিম্পিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তেমন ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করতে। সে জন্যই এই ব্যবস্থা।’’
শুক্রবার এখানেই উদ্বোধনী ম্যাচ।—নিজস্ব চিত্র।
ভবিষ্যতের তারকাদের জন্য এটাই বা কম কীসে? বিশ্বকাপের আসরে প্রথম বল গড়ানোর আগে যদি এক ঝলক দেখে নেওয়া যায় সেই সব ভারতীয় ফুটবলের নামদের। ইতিমধ্যেই বিজয়নের থেকে টিপস পেয়েছেন অভিজিৎ, অমরজিৎ, অনিকেতরা।
ইউএসএ-র বিরুদ্ধে মাঠে নামতে তেতে রয়েছে ভারত। কিন্তু গ্যালারি ভরবে কি? প্রশ্নটা ঘুরছে প্রায় সব ভেন্যুতেই। একমাত্র কলকাতা ছাড়া। এখনও পর্যন্ত তার পরেই থাকবে গুয়াহাটি। সব থেকে চমক অবশ্য গোয়ায় রয়েছে। টিকিট বিক্রিতে এখনও পর্যন্ত সব থেকে পিছিয়ে গোয়া। যদিও টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর জেভিয়ের সেপ্পি আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর বিশ্বাস অন-লাইনের সঙ্গে যখন কাউন্টার থেকেও টিকিট বিক্রি শুরু হবে তখন তার চাহিদা বাড়বে। যদিও টিকিট বিক্রি নিয়ে এই হা-হুতাশ শুধুই অন-লাইন টিকিটের ক্ষেত্রেই। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রায় ২৫ হাজারের উপর টিকিট কিনে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যে টিকিটে বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৫৮ হাজারের গ্যালারি তা-ও ভরবে কি না সংশয় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy