আই লিগে দুটো টিমই ব্যর্থ। কয়েক দিনের মধ্যেই নামতে হবে সুপার কাপে। তা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানে চলছে নানা নাটক।
ইস্টবেঙ্গলে টিডি এবং কোচ নিয়ে নতুন নতুন মজাদার ঘটনা ঘটছে প্রত্যেক দিন। মোহনবাগানে আবার শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে নাটকীয় টানাপড়েন অব্যহত। চলছে চাপ, পাল্টা চাপের খেলা।
শনিবার সকালে এবং বিকেলে দু’রকম ছবি দেখা গেল মোহনবাগানে। আই লিগের পরে যা কখনও হয়নি সেটা এ দিন হল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দলের অনুশীলনের সময়। যুবভারতীতে সকালে অনুশীলনের পর ফেডারেশনের বিচারে বর্ষসেরা গোলকিপার শিল্টন পাল এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা দিপান্দা ডিকার সম্মানে কাটা হল কেক। দুই পদত্যাগী কর্তা সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু এবং অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত দুই ফুটবলারের হাতে তুলে দিলেন মোট কুড়ি হাজার টাকা। বরানগরের একটি পাড়ার ক্লাবের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচ খেলতে নেমে দিপান্দা ডিকারা জিতলেন ৬-১ গোলে।
কিন্তু বিকেলে সেই ছবিটা বদলে গেল কর্মসমিতির সভায়। পদত্যাগী সহ সচিব ও অর্থ সচিবের সঙ্গে তীব্র মত পার্থক্য হল ক্লাব সচিবের। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পর পরের মরসুমের দল গঠনের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হল। মজার ব্যপার হল, পদত্যাগ পত্র না তুললেও ওই কমিটিতে থাকতে রাজি হয়ে গেলেন ওই দুই পদাধিকারী। দু’জনের অবশ্য দাবি, টিমের স্বার্থে তারাই কমিটি তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সচিব অঞ্জন মিত্র তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু ফুটবলারদের চার মাসের মাইনে, পদত্যাগী কোচ সঞ্জয় সেনের সতেরো লাখ টাকা-সহ বকেয়া চার কোটি টাকা কোথা থেকে আসবে তার সমাধান হল না সভায়। ঝুলেই রইল। সচিব বললেন, ‘‘টাকার ব্যবস্থা করে দেবেন পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট।’’
সভায় কী হয় তা জানার জন্য ক্লাব লনে কয়েকশো সমর্থক ভিড় করেছিলেন শনিবার বিকেলে। কর্তাদের নাটক এবং ক্লাবের পরিবেশ দেখে তাঁরা হতাশ। শোনা যাচ্ছিল, ক্লাবের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে এ দিন থেকেই। সেটা অবশ্য ধামাচাপা পড়ে গেল। সচিব বললেন, ‘‘নির্বাচন তো করতেই হবে। আগে পরের মরসুমের টিম তৈরি হোক। তারপর নির্বাচনের কথা ভাবা যাবে। সোমবার থেকে দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবে কমিটি।’’ সূত্রের খবর, মোহনবাগানের এ বারের সফল স্বদেশী ফুটবলারদের অনেকেই দল ছাড়তে চলেছেন। ক্লাবে অর্থের টানাটানি। এই অবস্থায় কী ভাবে দল তৈরি হয় সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy