Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata Football

ছোটবেলার সেই সব ‘শিক্ষক’দেরই এগিয়ে রাখলেন মেহতাবরা

ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে মেহতাবও ভুলতে পারেননি তাঁর ছোটবেলার কোচকে। শিক্ষক দিবসে তিনি শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর ছোট বেলার প্রশিক্ষক অনি দত্ত রায়কে। মেহতাবের গলায় উঠে আসে ট্রেভার মর্গ্যান, ফিলিপ ডি'রাইডারের নামও।

কৌশিক চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:৫১
Share: Save:

স্কুল জীবন থেকে কর্মক্ষেত্র— জীবনের প্রায় প্রতিটি মোড়েই সেই মানুষগুলোর দেখা মেলে। যাঁরা প্রতি পদক্ষেপে আমাদের গাইড করেন। সফল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন। ক্রীড়াক্ষেত্রেও এমন মানুষের সংখ্যা বিরল নয়। কলকাতা ফুটবলে বহু নক্ষত্রের উত্থানের পিছনে রয়েছেন এ রকমই বেশ কিছু প্রশিক্ষক। তাঁদের হাত ধরে বেড়ে ওঠা ফুটবলারেরা শাসন করছেন ভারতীয় ফুটবল সাম্রাজ্য। তা সে মেহতাব হোসেন হোক বা সন্দীপ নন্দী— সকলের জীবনেই এমন কিছু মানুষ রয়ে গিয়েছেন।

শিক্ষক দিবসে সেই শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন তারকা ফুটবলাররা।

তিন প্রধান দলে খেলা এবং প্রাক্তন জাতীয় তারকা রহিম নবি যেমন আজও ভুলতে পারেননি তাঁর ছোটবেলার প্রশিক্ষক মুরারীমোহন সুরকে। নবি সোমবার বললেন, “ফুটবল জীবনে বহু কোচের তত্ত্বাবধানে খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমার কেরিয়ারে উন্নতির জন্য তাঁদের সকলের ভূমিকা রয়েছে। তবে, সেরার সেরা কাউকে বাছতে হলে আমি মুরারীমোহন সুর এবং বিদ্যুৎ পালের কথাই বলব। ছোট থেকে ফুটবলটাকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন ওঁরা।” পাশাপাশি তিনি মহম্মদ হাবিবের কথাও বলেন। তাঁর কথায়, “হাবিব স্যরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। লড়াই করার মানসিকতা, ফুটবলের প্রতি সততা, চোট নিয়ে কী ভাবে দলের স্বার্থে নিজেকে উজাড় করে দিতে হয়— সবই ওঁর কাছেই শেখা।”

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে টিম অস্ট্রেলিয়ার বাসে ইট, ভাঙল জানলা

আরও পড়ুন: নো বল করে সেঞ্চুরি আটকালেন পোলার্ড

ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে মেহতাবও ভুলতে পারেননি তাঁর ছোটবেলার কোচকে। শিক্ষক দিবসে তিনি শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর ছোট বেলার প্রশিক্ষক অনি দত্ত রায়কে। মেহতাবের কথায়, “যে কোনও সমস্যায় স্যরের সাহায্য পেয়েছি। তাঁর হাত ধরেই আমার ফুটবলে বেড়ে ওঠা। এ ছাড়া রাইডার (ফিলিপ ডি’রাইডার), মর্গ্যান (ট্রেভার জেমস মর্গ্যান)ও আমায় অনেক সাহায্য করেছেন।”

এ দিন ছোটবেলার কোচের কথা জানিয়েছেন সন্দীপ নন্দী, অসীম বিশ্বাসরাও। জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক সন্দীপ বলেন, “অনেক কোচের সংস্পর্শে এসেছি। তবে, আমার ছোটবেলার কোচ গৌতম সরকারই আমার কাছে আদর্শ। গোলরক্ষক হয়ে ওঠার পিছনে নেপথ্যে মূল কারিগর তিনিই। এখনও আমি বর্ধমানে গেলে স্যরের কাছেই প্র্যাকটিস করি।” শিক্ষক দিবসের দিন অমল দত্তের নামও উঠে আসে সন্দীপের গলায়। তিনি বলেন, “অমল দত্তই আমায় কলকাতা ময়দানে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য করেছেন। অমল স্যরের তত্ত্বাবধানে বহু কিছু শিখেছি।”

ইস্ট-মোহনে চুটিয়ে খেলা অসীম বিশ্বাস বলেন, “ছোটবেলার কোচ প্রদীপ দাস-ই আমার কাছে আদর্শ। অনেকের কাছে খেলা শিখলেও তিনি আমার কাছে আদর্শ।” মেহতাব, নবিদের মতো একই সুর শোনা গেল দীপক মণ্ডলের গলায়ও। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম ডিফেন্ডার দীপক বলেন, “রঞ্জন চৌধুরির হাত ধরেই আমার উত্থান। টাটা ফুটবল অ্যাকা়ডেমিতে ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তিনিই ভারতীয় ফুটবলে আমায় প্রতিষ্ঠা এনে দিয়েছেন। এ ছাড়া মহম্মদ হাবিব, সুভাষ ভৌমিকও আমায় খুব সাহায্য করেছেন ভবিষ্যতের অগ্রগতিতে। সুখবিন্দর সিংহ, স্টিফেন কনস্টানটাইন, বব হাউটনও অনেক কিছু শিখিয়েছে আমাকে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE