পরিচর্যা: প্রস্তুতি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। নিজস্ব চিত্র
মহালয়া পেরোতেই ডার্বির বাজনা বেজে গেল। আজ, বুধবার থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে যাচ্ছে ডার্বির।
মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, ১০০, ১৫০, ২০০ টাকার টিকিট করা হয়েছে। তা ছাড়া থাকছে অতিথি আমন্ত্রণপত্র এবং ভিআইপি টিকিট। ২০০ টাকার তিন হাজার টিকিট পুরোটাই কলকাতায় ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ক্লাবকে দেওয়া হয়েছে। উভয়কেই ১৫০০ টিকিট দেওয়া হয়েছে। অন্য টিকিট মিলিয়ে তাদের আরও ৩০০০ টিকিট দেওয়া হয়েছে। মোট ২৬ হাজার টিকিটের মধ্যে বাকি টিকিট শিলিগুড়িতে বিক্রি হবে।
তবে রেল যোগাযোগ এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় কলকাতা থেকে দুই প্রধানের সমর্থকদের আসার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে রেল চলাচল অনেকটাই শুরু হবে বলে রেল আশ্বাস দিলেও বাস ভাড়া করে খেলা দেখতে আসার জন্য সদস্য-সমর্থকদের তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের কাছে খবর পৌঁছেছে। পুজোর মুখে ম্যাচের আয়োজনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতেও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটকে ভাবতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ে সমস্যার জেরে পুলিশ পেতেও সমস্যাও রয়েছে। তবে পুলিশের তরফে সংগঠকদের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যা কথা হয়েছে তাতে ৩৫০ পুলিশ থাকছে স্টেডিয়ামের ভিতরে ও বাইরে। তাছাড়া ক্রীড়া পরিষদের তরফে ১০০ জন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী দেওয়া হচ্ছে।
মাঠের পরিস্থিতি অবশ্য ভাবাচ্ছে উদ্যোক্তাদের। বৃষ্টির জেরে মাঠ মোটা ঘাসে ছেয়ে গিয়েছে। ছাঁটার পরেও যা পরিস্থিতি তাতে বল ভাল মত গড়াবে না। বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে রোলার চালানো হবে। তাতে অবস্থা ফিরবে বলেই জানান ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি নামলে মাঠে রোলার চালানো যাবে না। অরূপবাবু বলেন, ‘‘আগে থেকে ম্যাচ নিশ্চিত না হওয়ায় মাঠ প্রস্তুতির কাজ দেরিতে শুরু হয়েছে। তাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাঠ প্রস্তুত করে দেওয়া হবে।’’ বৃষ্টি নামলে কিছুটা সমস্যা থেকে যাবে বলেই তিনি স্বীকার করেছেন।
ম্যাচের দুই দিন আগে ২২ সেপ্টেম্বর দুই প্রধান শিলিগুড়িতে পৌঁছনোর কথা। এখনও যা ঠিক রয়েছে তাতে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে সবুজ মেরুন শিবির। ২-৭ নম্বর গেটের গ্যালারি ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের জন্য। ১ এবং ১১-১৪ নম্বর গেটের গ্যালারি মোহনবাগানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy