Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
কনফেডারেশন্স কাপ ফাইনালে
Sports News

চিলের বিরুদ্ধে টাইব্রেকার চায় না জার্মানি

চিলের সঙ্গে রয়েছে ২০১৫, ২০১৬ পর পর দু’বার কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গর্ব। দু’বারই পেনাল্টি শুট আউটেই বাজিমাত করেছিল চিলে। এ বারও কনফেড কাপে সেই টাইব্রেকারেই পর্তুগালকে উড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে চিলে। আর গোলের নিচে যখন ব্রাভো তখন চিলে চাইবে ম্যাচটাকে টাইব্রেকারেই নিয়ে যেতে। আর এই আশঙ্কাতেই ভুগছে জার্মানি দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ১৬:০৭
Share: Save:

এই ম্যাচটাকে শুট আউট পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইবেন না জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। সেমিফাইনালে গোলের নিচে যে খেল দেখিয়েছেন চিলে গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভো তার পর সেই ঝুঁকি নিতে চাইবেন না জার্মান শুটাররাও। বরং ৯০ মিনিটেই ম্যাচ শেষ করার সব রাস্তা দেখে রেখেছে জার্মানি।

আরও খবর: অধরা ট্রফির খোঁজে লো, হুঙ্কার ভিদালের

কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালে চিলে-জার্মানি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন বনাম বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের লড়াই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বেশি সমীহই পাবে। কিন্তু শেষ বিশ্বকাপ থেকে কনফেড কাপের ফাইনাল, প্রায় পুরোটাই বদলে গিয়েছে জার্মানি দল। একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে এই ফাইনালে পৌঁছেছে। সেমিফাইনালে মেক্সিকোকে দাঁড়াতেই দেয়নি লো-র অনভিজ্ঞ দল। যে দলের এক নম্বর স্ট্রাইকার মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দলের হয়ে। যে দেশের গোল কিপারকে দেশের হয়ে খেলেছেন মাত্র ১৩টি ম্যাচ। সেখানে ক্লদিও ব্রাভোর অভিজ্ঞতাই চিলের মূল অস্ত্র। সঙ্গে ভিদাল, স্যাঞ্চেজদের মতো অভিজ্ঞ ও বড় নাম আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে চিলে শিবিরে। জার্মান শিবিরকে ভরসা রাখতে হচ্ছে তিমো ওয়ের্নার, জশুয়া কিমিচ, গোরেৎকাদের উপর। সকলের বয়স ২১-২২। অভিজ্ঞতা অনেকটাই কম।

চিলের সঙ্গে রয়েছে ২০১৫, ২০১৬ পর পর দু’বার কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গর্ব। দু’বারই পেনাল্টি শুট আউটেই বাজিমাত করেছিল চিলে। এ বারও কনফেড কাপে সেই টাইব্রেকারেই পর্তুগালকে উড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে চিলে। আর গোলের নিচে যখন ব্রাভো তখন চিলে চাইবে ম্যাচটাকে টাইব্রেকারেই নিয়ে যেতে। আর এই আশঙ্কাতেই ভুগছে জার্মানি দল। এমন কী ক্লদিও ব্রাভোর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে লো-র গলায়। তিনি বলেন, ‘‘ক্লদিও ব্রাভো হল আসল পেনাল্টি কিলার। আমাদেরও পেনাল্টি কিক নেওয়ার জন্য ফুটবলার রয়েছে। আমরা ওই পর্যন্ত যাতে ম্যাচ না যায় সেই চেষ্টাই করব কিন্তু যদি হয় তা হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’’ ব্রাভো যেখানে পর্তুগালের তিনটি পেনাল্টি শট বাঁচিয়ে হিরো হয়েছেন তখন অন্য সেমিফাইনালে স্টেগেনের হাতে আটকে গিয়েছে মেক্সিকোর একাধিক নিশ্চিত গোলমুখি শট। জার্মানির জয়ে বড় ভূমিকা রেখে গিয়েছেন তিনিও।

শুক্রবারই স্পেনকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছে জার্মানি। লো চাইছেন এ বার সিনিয়র দল কনফেড কাপ জিতে এক সঙ্গে দেশের জয় পালন করুক। চিলের লক্ষ্য কোপার পর এ বার কনফেড কাপ ঘরে তোলা। এর পর এই রাশিয়ার মাটিতেই বসতে চলেছে বিশ্বকাপের আসর। এখান থেকেই যেন সব দল সেই প্রস্তুতিই শুরু করে দিল। নতুন দল নিয়ে নিজেদের যেমন মেপে নিল প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ঠিক তেমনই বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও সেরে ফেলল কোপা চ্যাম্পিয়নরা। সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে জার্মানির দুই তারকা লিও গোরেৎকা ও তিমো ওয়ের্নার। গোল করার ব্যাপারে বেশ পিছিয়ে চিলে। কিন্তু যে ভাবে রোনাল্ডো অ্যান্ড ব্রিগেডকে আটকে দিয়েছে চিলের রক্ষণ তাতে ভাবতে হচ্ছে গোরেৎকা, ওয়ের্নারদের।

তবে লড়াই আসলে দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে ব্যাক্তিগত স্তরে। সে লড়াই কখনও গোলকিপার বনাম স্ট্রাইকারের। কখনও আবার ফরোয়ার্ড বনাম ডিফেন্ডারের। শেষ হাসি কে হাসবে তার জন্য আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। কিন্তু যেই হাসুক না কেন জয় হবে দেশেরই। সেই লক্ষ্যেই কোমর বাঁধছে চিলে, জার্মানি।

ছবি: এএফপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE