Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিরাট-হার্দিকই জেতাতে পারে, আশা ইশান্তের

এই টেস্টে ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায় ইশান্তকে নেওয়া হয়েছে প্রথম এগারোয়। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট পেয়েছেন তিনি, ৪৬ রান দিয়ে। এ দিন তিনি জানান, কেপ টাউনে প্রথম টেস্টেও তাঁরই খেলার কথা ছিল, কিন্তু অসুস্থতার জন্য মাঠে নামতে পারেননি।

নজির: টেস্ট ক্রিকেটে একশো উইকেট হয়ে গেল মহম্মদ শামির। —ফাইল চিত্র।

নজির: টেস্ট ক্রিকেটে একশো উইকেট হয়ে গেল মহম্মদ শামির। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৬
Share: Save:

বিরাট কোহালির ব্যাটই আশা দেখাতে শুরু করেছে ভারতীয় শিবিরকে। তাদের আশা, সোমবার বিরাট ও হার্দিক পান্ড্যর মধ্যে একটা ভাল পার্টনারশিপ গড়ে উঠবে আর দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের দিকে দলকে টেনে নিয়ে যাবে এই জুটিই। রবিবার খেলার শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে দলের এই আশার কথাই বলে গেলেন পেসার ইশান্ত শর্মা। তাঁর মতে, ‘‘এই পার্টনারশিপটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিরাট যে ভাবে খেলছে, তা একেবারে অন্য রকম। ওর সঙ্গে হার্দিকও যদি দাঁড়িয়ে যায়, তা হলে আমরা ম্যাচ জিততে পারি। আগের দিন চায়ের পরে ওর করা দুটো রান আউটই খেলাটাকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ও-ই ফের ঘুরিয়ে দিতে পারে খেলা। বিরাটের সঙ্গে যদি ব্যাটিংটা ভাল করে দিতে পারে।’’

এই টেস্টে ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায় ইশান্তকে নেওয়া হয়েছে প্রথম এগারোয়। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট পেয়েছেন তিনি, ৪৬ রান দিয়ে। এ দিন তিনি জানান, কেপ টাউনে প্রথম টেস্টেও তাঁরই খেলার কথা ছিল, কিন্তু অসুস্থতার জন্য মাঠে নামতে পারেননি। বলেন, ‘‘এর জন্য কাউকে দোষ দেব না। প্রথম টেস্টেও আমারই খেলার কথা ছিল। কিন্তু এখানে এসে আমি জ্বরে পড়ে যাই। কেপ টাউনে টেস্ট শুরু হওয়ার আগে জ্বর ছাড়েনি আমার।’’

নিজের দায়িত্ব নিয়ে ইশান্ত বলেন, ‘‘পেসারদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে সিনিয়র। আমাকে দায়িত্ব নিতেই হবে। গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো আমারই নেওয়া উচিত। আমি সে জন্য তৈরিই থাকি। আজ সারাক্ষণ বল স্টাম্পে ও ঠিক জায়গায় রাখার চেষ্টা করে গিয়েছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করেছি। আমি আমার নিজের শক্তির উপর সবসময় ভরসা করি। আমার শক্তি বাউন্স। বেশিরভাগ সময়ই আমি বলকে অফস্টাম্পের উপরে রাখতে চেষ্টা করি। বেশি উইকেট নিতে এর চেয়ে ভাল রাস্তা আর নেই।’’

ইশান্তের মতো সেঞ্চুরিয়নে টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নিজের চতুর্থ উইকেট পেয়ে খুশি আর. অশ্বিন। ভারতের সব চেয়ে সফল বোলার বলেন, ‘‘আমার মনে হয় ভারতকে আমি ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এমন একটা পরিস্থিতি ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা বড় স্কোর তুলে ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে নিয়ে যেতে পারত। আমার মনে হয়, ওই পরিস্থিতিতে আমি হাল ছাড়িনি।’’

দেশের বাইরে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে এর আগে বহু সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে অশ্বিনকে। তবে এই সব মনে রাখতে চাইছেন না ভারতের তারকা অফস্পিনার। অশ্বিন বলেছেন, ‘‘অনুশীলনের পাশাপাশি আমি ইতিহাস ভুলে নতুন করে শুরু করার লক্ষ্যে এগোচ্ছি।’’ বিদেশের মাঠে এই উন্নতির পেছনে তাঁর ইংল্যান্ড সফরকেই দায়ি করেছেন অশ্বিন। কাউন্টি ক্রিকেটে বল করে নিজের বেশ কিছু পরিবর্তন করেছেন তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার। তিনি বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে আমার অনেক লাভ হয়েছে। যেই মাঠে আমাদের ম্যাচ থাকত সেটা অনেক পাটা এবং বল ঘোরানো বেশ কঠিন। সেই ধরনের ম্যাচ খেলেই আমার উন্নতি হয়েছে।’’

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩৫ রানে অল-আউট করার পেছনে অশ্বিনের অবদান অনস্বীকার্য। প্রথম দিনে তিন উইকেট পাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে মর্নি মর্কেলকেও প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি। তবে উইকেটের লক্ষ্যে অতিরিক্ত কিছু প্রচেষ্টা করছেন না অশ্বিন। এক জায়গায় বল করে বিপক্ষকে অধৈর্য করাই এখন তাঁর লক্ষ্য। অশ্বিন বলেছেন, ‘‘বেশি আক্রমণ করার চেষ্টা আমি করিনি। তবে বাঁ-হাতি ও ডান-হাতি কম্বিনেশন ভাঙতে আমি বেশ কয়েকবার সাইড চেঞ্জ করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE