বীরেন্দ্র সহবাগ। — ফাইল চিত্র।
অনিল কুম্বলে পরবর্তী সময়ে কোচ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। রবি শাস্ত্রী যে সেই জায়গা নেবেন সেটাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তবুও ছিল নানা রাখঢাক। তার মধ্যেই রাতারাতি কোচের নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। বোলিং কোচ নিয়েও হয়েছিল একপ্রস্থ নাটক। এ যাত্রায় কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগও। কিন্তু তাঁর নাম উঠে আসেনি কোথাও। এতদিন পর তা নিয়েই মুখ খুললেন সহবাগ। তিনি কোচ হতে পারেননি কারণ তিনি মনে করেন তাঁর পিঠে কারও হাত ছিল না। এবং এই পোস্টের জন্য আরও কখনওই তিনি আবেদন জানাবেন না।
আরও পড়ুন
সব কিছুর জন্য বিরাটকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন যুজবেন্দ্র
ভারতে যুব বিশ্বকাপ নিয়ে উচ্ছ্বসিত রায়ান গিগস
বিরাট কোহালির পছন্দের কোচ হওয়ায় উপদেষ্টা কমিটির অপছন্দ হলেও কোচ হয়েছেন শাস্ত্রীই। ইন্ডিয়া টিভির একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনিই সেই কথাই বললেন। বলেন, ‘‘দেখুন আমি এই জন্য কোচ হতে পারিনি কারণ যারা কোন নির্বাচন করছিল তাদের সঙ্গে আমার কোনও সেটিং ছিল না।’’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও অভিযোগ তোনলে বিসিসিআই-র অনেকেরই বিরুদ্ধে। তিনি বলেন তাঁকে ভুল বোঝানে হয়েছিল। সেই তালিকায় বিরাট কোহালি থেকে রবি শাস্ত্রী সকলেই ছিলেন। বলেন, ‘‘আমি বিরাট কোহালির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ও আমাকে বলেছিল কোচের পদের জন্য আবেদন জানাতে। কিন্তু আমার কথা যদি বল তা হলে আমি কখনওই ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য আগ্রহী ছিলাম না। আমাকে কোচ হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। সচিব ও গেম ডেভলপমেন্ট অফিসার অমিতাভ চৌধুরী ও এমভি শ্রীধর আমাকে অনুরোধ করেছিল আবেদন জানানোর জন্য।’’
সবাই এমনভাবে আমাকে অনুরোধ করেছিল য়ে আমি ভেবেছিলামআমি যদি ভারতীয় দলের কাজে লাগতে পারি। তিনি কখনও নিজের কথা ভেবে আবেদন জানাননি। আর কখনও আবেদন জানাবেনও না, বলে জানিয়েও দিলেন তিনি। শাস্ত্রীও নাকি তাঁকে আবেদন করার কথা বলেছিলেন। সহবাগ বলেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় আমি যখন ইংল্যান্ডে ছিলাম, তখন আমি রবি শাস্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম ও কেন আবেদন জানাচ্ছে না? সেই সময় শাস্ত্রী আমাকে বলেছিল ও আবার ভুল করতে চায় না। রবি আবেদন জানিয়েছে জানলে আমি জানাতামই না। কারণ ও থাকলে আমি যে জায়গা পাব না সেটা তো জানতাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy