সূচি নিয়ে ক্লাবগুলির ক্ষোভের মধ্যেই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের ডার্বির তারিখ কার্যত ঠিক করে ফেলল আই এফ এ।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে ওই ম্যাচটি করতে চাইছে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। তবে অবশ্যই বন্যার জল কমলে এবং পুলিশের অনুমতি পেলে। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার বলে দিলেন, ‘‘সেপ্টেম্বরের শুরুতেই আমরা ডার্বি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে। সমস্যা রয়েছে। সে জন্যই তা একটু পিছিয়ে হয়তো ১৭-ই করতে হবে।’’ মরসুমের প্রথম ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান যে ভাবে পাল্লা দিয়ে পাঁচ গোল করে ম্যাচ জিতছে, তাতে প্রথম ডার্বি অন্য মাত্রা পাবে বলেই মনে করছেন বাংলার ফুটবল কর্তারা। সে জন্যই তা রবিবার করতে চাইছে আইএফএ। সে ক্ষেত্রে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই তাদের প্রথম পছন্দ। একান্তই সমস্যা হলে তার আগের দিন শনিবার সেটা হতে পারে। আই এফ এ চায়, দুই প্রধান পুরো শক্তি নিয়ে খেলুক। উইলিস প্লাজা, কার্লাইল মিচেলদের সঙ্গে ওই সময় চলে আসবেন অর্ণব মণ্ডল, মহম্মদ রফিক, সার্থক গলুইরা।
দুই প্রধানের বাইরেও আরও দুটো মিনি ডার্বি আছে। ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান এবং মহমেডান-মোহনবাগান ম্যাচ দুটি কল্যাণীতে করার কথা ভাবা হচ্ছে। মহমেডানও বহু দিন পর বেশ ভাল ফর্মে। পর পর তিনটি ম্যাচ জিতে তাঁরা লিগ খেতাবের অন্যতম দাবিদার।
আরও পড়ুন: বুমরাহর ইয়র্কারে কেমন ব্যাট চালালেন অক্ষর, দেখুন ভিডিও
এখনও পর্যন্ত পাঁচটি করে ম্যাচের সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আই এফ এ কর্তারা চাইছেন, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের পর প্রতি টিমের দুটি করে ম্যাচ বাকি রাখতে। সেভাবেই সূচি তৈরি হচ্ছে। এ দিকে নতুন সূচিতে মহমেডানের একটি ম্যাচ দেওয়া হয়েছে কল্যাণী স্টেডিয়ামে। ২৬ অগস্ট পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচটা খেলতে চাইছে না বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দল। এ দিন ক্লাব তাঁবুতে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই ম্যাচটি বারাসত স্টেডিয়ামে দেওয়ার দাবি তুলেছে মহমেডান। ক্লাবের ফুটবল টিম গঠনের দায়িত্বে থাকা দীপেন্দু বিশ্বাস বললেন, ‘‘বারাসতে আমাদের খেলা দেখতে প্রচন্ড ভিড় হচ্ছে। অন্য মাঠে গেলে টিমের ছন্দ নষ্ট হবে। হয় মাঠ পরিবর্তন হোক। নয়তো ম্যাচ অন্য দিন দেওয়া হোক। না হলে ওই ম্যাচ খেলব না আমরা। বয়কট করবো।’’ তাদের দাবি এ জন্য সোমবার চিঠিও পাঠিয়েছে সাদা-কালো শিবির। বারাসতে মাঠ নিয়ে ঝামেলার কারণ অবশ্য অন্য। সেখানে কোচেদের ‘এ’ লাইসেন্সের পরীক্ষা চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু প্রাক্তন ফুটবলার পরীক্ষা দিতে এসেছেন। ২৪ থেকে ২৭ অগস্ট পর্যন্ত ফেডারেশন বারাসতের মাঠ নিয়ে নিয়েছে। কারণ মাঠ তৈরির জন্য ফেডারেশন টাকা দিয়েছে আইএফএ-কে। মহমেডানের চিঠি পেয়েও তাই কিছু করার জায়গায় নেই আইএফএ। সচিব উৎপলবাবু বললেন, ‘‘অন্য দুই প্রধানের মতো মহমেডান যদি নিজের মাঠে খেলতো সমস্যায় পড়ত না। ওরা যদি মাঠ তৈরি না করে আমাদের কিছু করার নেই। সূচি বের হওয়ার পর মাঠ পরিবর্তন করা কঠিন। চিঠি এখনও হাতে পাইনি আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।’’ সূচি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে মোহনবাগানও। তবে সবুজ-মেরুন শিবির কোনও চিঠি দেয়নি। তাই ওই ক্ষোভকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আই এফ এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy