ছন্দে: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে হাফসেঞ্চুরি করার পথে শিখর ধবন। শুক্রবার। ছবি: এপি
এক ক্যাপ্টেন বললেন, তিনি টস জিতলে আগে ব্যাটিংই করতেন। আর যিনি টস জিতলেন, তিনি বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠালেন। পোর্ট অব স্পেনের উইকেট যে ঠিক কেমন, তা ঠিকমতো বোঝা না গেলেও ভাল ব্যাটসম্যানদের কাছে যে এ সব কোনও ব্যাপারই না, সেটাই বুঝিয়ে ছাড়লেন শিখর ধবন। ৯২ বলে ৮৭ রান করে। আট বাউন্ডারি ও দুটো ছয় মেরে ধবন নিজের চেনা মেজাজেই ছিলেন।
আর এক ওপেনার অজিঙ্ক রাহানেও তাঁর অভ্যস্ত গতিতে ব্যাট করে ৭৮ বলে ৬২ রান করলেন ঠিকই কিন্তু যুবরাজ সিংহ, যাঁকে নিয়ে কয়েক দিন আগেই প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল দ্রাবিড়, তিনি ৪ রান করে ফিরে যান। ৩৮ ওভার খেলা হওয়ার পর যখন বৃষ্টি নামে কুইন্স পার্ক ওভালে, তখন ভারত ১৮৯-৩। পরে আরও দশ রান ওঠে। বিরাট কোহালিই ভরসা, যিনি ৩২ রান করে অপরাজিত। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়ে এমএস ধোনি করেন ৯। প্রাক্তন ও বর্তমান ভারত অধিনায়কের জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল বড় টার্গেটের আশা।
টস হেরে এ দিন বিরাট কোহালি বলেন, ‘‘উইকেটটা শুকনো মনে হচ্ছে। উপরিভাগে জল দেওয়া হয়েছে। ভাল করে রোল করা। আমরা প্রথমে ব্যাটিংই করতে চাইছিলাম। খেলা যত গড়াবে, স্লো হয়ে যাবে।’’ উইকেটের এই অবস্থা দেখেই সম্ভবত চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদবকে প্রথম এগারোয় রাখেন রবীন্দ্র জাডেজার জায়গায়। উইকেট ভাঙলে তাঁর বলের ঘূর্ণি যাতে কাজে লাগে, সে জন্য।
আরও পড়ুন: ফেভারিট পুরুষ ক্রিকেটার কে? দুর্দান্ত জবাব দিলেন মিতালী রাজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন জেসন হোল্ডারের কথা অবশ্য ইঙ্গিতপূর্ণ। বলেন, ‘‘এই উইকেটের অবস্থা তেমন পাল্টাবে বলে মনে হচ্ছে না। আমরা আমাদের পরিকল্পনা ঠিক করে ফেলেছি।’’
সকালে পিচ রিপোর্ট করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা উইকেটকিপার জেফ্রি দুজোঁ নিজেই দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর আন্দাজ ছিল, এই উইকেটে বল ঘুরবে। হোল্ডারদের দলে তিন স্পিনার বোধহয় সেজন্যই। দেবেন্দ্র বিশু, রস্টন চেজ ও অ্যাশলে নার্স। এঁদের মধ্যে বিশুই অবশ্য সবচেয়ে দরকারি উইকেটটা পান। তাঁর বল পিছলে গিয়ে সোজা ধবনের প্যাডে লাগে। যিনি কোনাকুনি ব্যাটে খেলতে যাচ্ছিলেন বলটা। ডিআরএস নিয়েছিলেন ধবন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ফলে ভারতের কাছে আর কোনও রেফারেলের সুযোগ রইল না।
তার আগে অবশ্য রাহানেকে ফেরান আলজারি জোসেফ। তাঁর স্লোয়ারে মিড অনে হোল্ডারের হাতেই ধরা পড়েন তিনি। যুবরাজ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তিনি আউট হওয়ার পর বিরাট কোহালি ব্যাট করতে এলে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারেন, তা নয়। ৪৭ বলের ইনিংসে একটা মাত্র বাউন্ডারি মারেন তিনি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৩৯.১ ওভার অবধি ব্যাট করতে পারল ভারত। কোহালিদের স্কোর তখন ১৯৯-৩। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বৃষ্টির জন্য ম্যাচ পরিত্যক্ত হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy