Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মাঠ নেই, বাসে বসে নাওরেমরা

মাঠ ও ড্রেসিংরুম না পেয়ে অনুশীলনে আসা লুইস নর্টন দে মাতোসের দলের টিম বাস প্রায় আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকল যুবভারতীতে।

মাঠ না পেয়ে টিম বাসেই অপেক্ষায় মাতোস। ছবি: সুমন বল্লভ।

মাঠ না পেয়ে টিম বাসেই অপেক্ষায় মাতোস। ছবি: সুমন বল্লভ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩১
Share: Save:

ময়দানে আই লিগ ফেরানোর তৃপ্তির আবহে হঠাৎ-ই চোনা পড়ে গেল মোহনবাগানে।

মাঠ ও ড্রেসিংরুম না পেয়ে অনুশীলনে আসা লুইস নর্টন দে মাতোসের দলের টিম বাস প্রায় আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকল যুবভারতীতে। ধীরজ সিংহ, নঙ্গাম্বা নাওরেমরা অপেক্ষায় ঠায় বসে থাকলেও, টিম বাস থেকে নেমে পড়েছিলেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজ দলের পর্তুগিজ কোচ। মাঠে ঢুকে তিনি দেখেন তখনও তাঁর আই লিগের প্রতিপক্ষ মোহনবাগানের অনুশীলন চলছে। ড্রেসিংরুমও ফাঁকা নেই। বিরক্তি নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর ফের মাতোস ফিরে যান টিম বাসে। ছাত্রদের সঙ্গে বসে থাকেন। পরে দৌড়োদৌড়ি এবং ফোন করে পাশের মাঠের ড্রেসিংরুমের চাবি জোগাড় করে পরিস্থিতি সামাল দেন মোহনবাগান কর্তারা। তখন অবশ্য অনুশীলনের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছে।

ক্লাব তাঁবুতে সকালে সাংবাদিক সম্মেলনের পর দুপুরে মোহনবাগান এবং বিকেলে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ দলের অনুশীলন ছিল যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে। পৌনে দুটো নাগাদ সঞ্জয় সেন অনুশীলন শুরু করেন। মোহনবাগানের অনুশীলন ও টিম মিটিং চলে প্রায় তিনটে পর্যন্ত। তিনটের সময়ই অনুশীলন ছিল মাতোসের টিমের। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপার সমৃদ্ধ ইন্ডিয়ান অ্যারোজ ফুটবলাররা পোশাক বদলের জন্য স্বাভাবিক নিয়মেই চলে আসে আধঘন্টা আগে। কিন্তু ড্রেসিংরুম না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তাদের টিম বাস। অ্যারোজ অবশ্য এ সব নিয়ে কোনও প্রতিবাদ করেনি। সম্ভবত ফেডারেশনের নিজস্ব টিম বলেই। অন্য কোনও ক্লাব হলে এসব নিয়ে হইচই হতো। মোহনবাগান সমস্যায় পড়ত। যদিও এরপর প্রায় দু’ঘন্টা অনুশীলন করে মাতোসের দল। মোহনবাগান সহ সচিব, দলের কোচ, শিল্টন পাল, সনি নর্দেদের নিয়ে অবশ্য এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে একযোগে অনুরোধ করেন, টিম সমর্থকদের ম্যাচের সময় শান্ত থাকতে।

ড্রেসিংরুম নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও মোহনবাগান মাঠ দেখে বিরক্ত মাতোস। বলে দিলেন, ‘‘দিল্লির অম্বেডকর স্টেডিয়ামের চেয়েও খারাপ ওই মাঠ। ওখানে ভাল খেলা মুশকিল। মোহনবাগান এমনিতে দশ দিন বিশ্রাম পেয়েছে। আমরা সেটা পাইনি। তার উপর ওই মাঠে ওরা নিয়মিত অনুশীলন করে। এটা ওদের বাড়তি সুবিধা।’’

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার হিসাবেও অবশ্য মোহনবাগানের চেয়ে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে রাখছেন বিশ্বকাপ দলের কোচ। বলে দিলেন ‘‘ইস্টবেঙ্গলের খেলা আমার মোহনবাগানের চেয়ে ভাল লাগছে। তবে অনেক ম্যাচ বাকি। চোট-আঘাত বড় ফ্যাক্টর।’’ তিনি জানিয়ে দেন, সনি নর্দে না খেলায় তাঁর দল শুক্রবার কোনও বাড়তি সুবিধা পাবে না।

আই লিগে তাঁর দলের লক্ষ্য কী জানতে চাওয়া হলে ধীরজ সিংহদের কোচ বলে দেন, ‘‘অভিজ্ঞতা অর্জন করা। ১৮ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটা জিতলেই আমি খুশি। পেশাদারদের বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের দশ ফুটবলার খেলছে, এটাই বিশাল ব্যাপার। এখানে খেললে ছেলেদের সাহস বাড়বে।’’ আই লিগের পরই চুক্তি শেষ হচ্ছে মাতোসের। তারপর কী হবে? পর্তুগিজ কোচ জানিয়ে দেন, ‘‘ফেডারেশন কী বলে দেখি।’’ তবে টিমের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অভিষেক যাদব বললেন, ‘‘আই লিগের পর ইউরোপের কিছু টুর্নামেন্টে খেলবে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ।’’ মাতোসের চুক্তিও বাড়ার ইঙ্গিতও দেন তিনি। বললেন, ‘‘ফেডারেশন ওঁর কাজে সন্তুষ্ট। এ বার উনি রাজি হলে থাকবেন।’’ জানা গেল, অ্যারোজের কিপার ধীরজ সিংহের কাছে যুক্তরাস্ট্র-সহ কয়েকটি দেশের ক্লাবের প্রস্তাব আছে। ‘‘কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ধীরাজের খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলে ছাড়া হবে,’’ বললেন অভিষেক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE