কিংবদন্তি: মুখোমুখি দুই মহাতারকা। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ট্রফি জয়ের পার্টিতে সচিন তেন্ডুলকর এবং অমিতাভ বচ্চন। ছবি: টুইটার
তখন দেশে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের এমন রমরমা থাকলে কি ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারত ভারত?
সচিন তেন্ডুলকর মনে করেন, হারত না।
চোদ্দো বছর আগের সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার তোলা বিশাল ৩৫৯ রান এখনকার দিনে হলে হয়তো তুলেই দিতেন তাঁরা, মনে করেন সচিন।
এই দেশে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা তখন এত ছিল না বলেই হয়তো সেই ফাইনালে ১২৫ রানে হেরে গিয়েছিল সৌরভের ভারত। সচিন মনে করেন, ‘‘এখনকার মতো আইপিএল ও টি টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে আমাদের ব্যাটসম্যানরা যদি তখনও এত আক্রমণাত্মক ও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে থাকত, তা হলে হয়তো সে দিন রানটা তুলে নিতে পারতাম আমরা। এখন আবার যদি সেই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতাম আমরা, তা হলে ব্যাটিংয়ের ধরনটাই অন্য রকমের হত বলে আমার বিশ্বাস। পিটিয়ে হয়তো রানটা তুলেই ফেলতাম। এখনকার ব্যাটসম্যানরা যেমন বলে বলে রান তোলে।’’
এখনকার ক্রিকেটে ওয়ান ডে-তে সাড়ে তিনশো রান খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন এই কিংবদন্তি। নিজের বায়োপিকের প্রচার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘অনেকবারই তো আমরা ৩২৫-৩৪০ রান তুলেছি। কারণ, ফর্ম্যাট, নিয়ম সব বদলে গিয়েছে এখন। পরিবেশও এখন অনেক বদলে গিয়েছে, যা আমরা সেবার ওখানে পাইনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এসে যাওয়ায় ব্যাটসম্যানদের মানসিকতাও অনেক বদলে গিয়েছে।’’
এ দিন সাংবাদিকদের ডেকে তাঁর বায়োপিক ‘সচিন: আ বিলিয়ন ড্রিমস’-এর বিশেষ বিশেষ অংশ দেখান সচিন। তাঁর পুত্র ও কন্যা অর্জুন ও সারা নাকি এই বায়োপিক বেশ পছন্দ করেছেন। সচিন নিজেই এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘সারা বিশ্বের কাছে আমি ক্রিকেটার হলেও ওদের কাছে আমি ওদের বাবা। তাই ওরা এই ছবি দেখে কী বলে, তা জানা খুব জরুরি ছিল। যখন জানলাম ওদের ছবিটা ভালই লেগেছে, তখন বুঝলাম, জেমস (আর্সকিন) ভালই কাজ করেছে।’’
ছেলেমেয়েদের দেখানোর পর এ বার এই ছবি দেখবেন সচিনের ক্রিকেট-গুরু রমাকান্ত আচরেকরও। সচিন নিজেই এই খবর দিয়ে বলেন, ‘‘কালই (বুধবার) ছবিটা দেখবেন স্যার। ওঁকে বাদ দিয়ে তো আমার জীবনে কোনও কিছু সম্ভব নয়।’’
আচরেকর ছাড়া তাঁর ক্রিকেট জীবনে গুরুত্বপূর্ণ আর একজনের কথাও বলেন সচিন। তিনি প্রাক্তন বোর্ড প্রধান রাজ সিংহ দুঙ্গারপুর। তাঁর প্রসঙ্গ উঠলে সচিন বলেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে দিল্লির সঙ্গে খেলা ছিল আমাদের। ম্যাচের আগে অনুশীলনের সময় রাজ ভাই এসে বলেন, তুমি ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই দেশের হয়ে খেলবে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে (১৯৮৯) যাবে না। আমার জীবনে ওঁর প্রভাব অপরিসীম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy