ঘরের মাঠে অনুশীলনে দিল্লি দল। ছবি: আইএসএল।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ তালিকায় শীর্ষে উঠতে বড় জয় চাই এফসি গোয়ার। রাজধানীতেই দিল্লি ডায়নামোসের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে শনিবার বড় জয়ের সন্ধানে এখন গোয়া। তিন গোল বা তার বেশি ব্যবধানে জিতলেই শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ। আর চতুর্থ আইএসএল-এ গোয়া এমনই ছন্দে, যে ম্যাচ জিতেছে প্রতিটিতেই অন্তত তিনটি গোল এসেছে তাদের পক্ষে। এখনও পর্যন্ত মাত্র একটিই ম্যাচ হেরেছে এবং শনিবার যাদের বিরুদ্ধে খেলবে, সেই দিল্লি ডায়নামোস হেরেছে টানা তিনটি ম্যাচ।
এই মুহূর্তে এফসি গোয়া পারফরম্যান্সের ধারে কাছে নেই প্রায় কেউই। ফেরান কোরোমিনাস আর ম্যানুয়েল লানজারোতে, দুই ফরোয়ার্ডই রয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে। কোরো এখন সাত গোল নিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা আর লানজারোতের সংগ্রহে চার গোল। দলের মোট ১৩ গোলের মধ্যে ওই দুই ফরোয়ার্ডই করেছেন ১১ গোল। স্প্যানিশ কোচ সের্জিও লোবেরার একমাত্র মাথা ব্যথা অবশ্যই দলের গোল হজম। চার ম্যাচের মধ্যে তিনবার অন্তত দুটি করে গোল খেয়েওছে তারা।
লোবেরার থেকেও অনেক বেশি সমস্যায় অবশ্য তাঁরই দেশের মিগেল আনখেল পর্তুগাল। এফসি পুণে সিটি এবং বেঙ্গালুরুর থেকে কম ম্যাচ খেলেছে, তবুও দিল্লির ফুটবলাররা বল ছুঁয়েছেন ২৮২৪ বার যা সব দলের হিসাবে তৃতীয়। সবচেয়ে বেশি ৭৪ বার ক্রসও পাঠিয়েছেন দিল্লির ফুটবলাররা বিপক্ষ বক্সে।
আরও পড়ুন
নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে লড়াই একঝাঁক নর্থ ইন্ডিয়ানের
চতুর্থ রাউন্ডের শেষে সব চেয়ে বেশি পাসও দিয়েছেন তাঁরাই। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এই সব পরিসংখ্যানই ব্যর্থ, কারণ বিপক্ষের গোলমুখে তাঁরা সফল নন। চার ম্যাচে মাত্র ২৮ শট নিয়েছেন দিল্লির ফুটবলাররা। বল পজেশনের দাপট ধরলে যা বিস্ময়কর। আইএসএল-এ যা অন্য সব দলের তুলনায় কম। এটিকের মতোই বিপক্ষের ফুটবলারদের ট্যাকল করার ক্ষেত্রেও তাঁরা পিছিয়ে। চার ম্যাচে ট্যাকলের সংখ্যা মাত্র ৮৯। এটিকে-র চেয়ে মাত্র একটি বেশি।
পর্তুগাল স্বীকার করেছেন যে, ম্যাচে তাঁদের এই দাপট কী করে গোলে পাল্টে ফেলা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন দলের সঙ্গে জড়িত সবাই। বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যে ক’টা ম্যাচ খেলেছি, বল আমাদের পায়েই থেকেছে। সবই ঠিকঠাক করেছি, শুধু গোল করার ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছি। আমরা সেটা জানিও, সবাই চেষ্টা করছি সমস্যার সমাধান করতে।’’
দুই দলের সামনেই বড় পরীক্ষা। বলের দখন নিজেদের পায়ে রেখে সুন্দর ফুটবল খেলা। এফসি গোয়া সুন্দর ফুটবলের পাশাপাশি গোলও করেছে যথেষ্ট। আর দিল্লি ডায়নামোস পিছিয়ে পড়েছে সেখানেই। সব দলের তুলনায় গোল পার্থক্যে সব থেকে পিছিয়ে দিল্লিই। স্বপক্ষে গোলের তুলনায় বিপক্ষের গোল পাঁচটি বেশি তাদের ক্ষেত্রে। তবে, ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট তাদেরও বাড়তি আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে। তিন পয়েন্ট পেলে তারা উঠে আসবে আইএসএল তালিকায় সপ্তম স্থানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy