Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ব সেরা হতে সময় দিতে হবে: গোপীচন্দ

ঠিক ৭ মাস ১৪ দিন পরে অবশেষে এল দিনটা। সে দিন তিনি ছাত্রী পিভি সিন্ধুর পাশে ছিলেন। অর্থাৎ রিও অলিম্পিক্সের ফাইনালে। রবিবার ইন্ডিয়ান ওপেনের ফাইনালেও তাঁকে দেখা গেল আগাগোড়া কোর্টের পাশে বসে থাকতে। ছাত্রীকে সময়ে সময়ে পরামর্শ দিতে।

চ্যাম্পিয়ন: অলিম্পিক্স ফাইনালে হারের পরে আবার মুখোমুখি। এ বার ফাইনালে সেরা হলেন পি ভি সিন্ধু। নয়াদিল্লিতে রবিবার। ছবি: পিটিআই

চ্যাম্পিয়ন: অলিম্পিক্স ফাইনালে হারের পরে আবার মুখোমুখি। এ বার ফাইনালে সেরা হলেন পি ভি সিন্ধু। নয়াদিল্লিতে রবিবার। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব সাংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:৩৮
Share: Save:

ঠিক ৭ মাস ১৪ দিন পরে অবশেষে এল দিনটা। সে দিন তিনি ছাত্রী পিভি সিন্ধুর পাশে ছিলেন। অর্থাৎ রিও অলিম্পিক্সের ফাইনালে। রবিবার ইন্ডিয়ান ওপেনের ফাইনালেও তাঁকে দেখা গেল আগাগোড়া কোর্টের পাশে বসে থাকতে। ছাত্রীকে সময়ে সময়ে পরামর্শ দিতে। তবে সে দিনের সঙ্গে রবিবাসরীয় ফাইনালের একটাই পার্থক্য। সে দিন সিন্ধু হেরে গিয়েছিলেন ক্যারোলিনা মারিনের কাছে। রবিবার তাঁকে হারিয়ে ইন্ডিয়ান ওপেন সুপারসিরিজ চ্যাম্পিয়ন হলেন তাঁর ছাত্রী। তিনি— পুল্লেলা গোপীচন্দ।

কেমন লাগছে সিন্ধু বদলার ম্যাচে মারিনকে হারানোর পরে? নয়াদিল্লি থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে গোপীচন্দ বললেন, ‘‘এ ভাবে তো তুলনা করা যায় না, এটুকু বলব সিন্ধু আজ খুব ভাল খেলেছে। ভুল কম করেছে।’’

রিওতে না পারলেও নয়াদিল্লিতে মারিনকে হারানোর পিছনে কারণ কী বলে মনে করেন সিন্ধুর কোচ? ‘‘মারিন আজ কিছু ভুল করেছে। সিন্ধু নিজের শক্তিটা ভাল ভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছে। সেটাই কারণ।’’ তবে এর সঙ্গে সিন্ধুর কোচ এটাও বলতে ভুললেন না মারিনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু যে কোনও দিন ফিরে আসার ক্ষমতা রাখে। ‘‘পরের টুর্নামেন্টেই মারিন ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’’ তাই তাঁর ছাত্রীকে যে সতর্ক থাকতে হবে। সেটা বলাই বাহুল্য। মানেটা পরিষ্কার, মরসুমের গোড়াতেই একটা সুপার সিরিজ জিতেছ বলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। সিন্ধুকে সেই পরামর্শও দিয়ে রেখেছেন তিনি।

তবে এক সময়ে ধারাবাহিকতা রাখতে পারেন না বলে যে সমালোচনা হতো এখন সেটা কাটিয়ে উঠতে সফল সিন্ধু। ফিটনেসও আরও ভাল হয়েছে। সঙ্গে পারফরম্যান্স। গত মরসুমের শেষ দিকের পারফরম্যান্স থেকেই তিনি সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। উঠে এসেছেন বিশ্বের পাঁচ নম্বরে। বিশ্বের তিন নম্বর মারিনকেও হারালেন। তার আগে সেমিফাইনালে হারিয়েছেন বিশ্বের চার নম্বর সুং জি হিউনকে। কোরীয় খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে গত কয়েকবার মুখোমুখি হয়ে হারতে হয়েছিল সিন্ধুকে। এ বার কিন্তু সিন্ধুই শেষ হাসি হেসেছেন।

যে গতি আর ফর্মে এগোচ্ছেন সিন্ধু, বিশ্বের প্রথম সারির খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে দাপট দেখাচ্ছেন। তাতে পাঁচ নম্বর থেকে বিশ্বের এক নম্বর হতে আর কতদিন অপেক্ষা করে থাকতে হবে তাঁর সমথর্কদের? গোপীচন্দ বললেন, ‘‘দেখুন সিন্ধু এখন যে ভাবে খেলছে সেটা ধরে রাখাটাই বড় ব্যাপার। ওকে ওই জায়গায় পৌঁছতে হলে সময় দিতে হবে আরও।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE