বিক্ষোভের ভয়ে কার্যত লুকিয়েই আইজলের হোটেল ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিলকে। পাহাড়ি রাস্তায় ভোরের অন্ধকার ও কুয়াশার মধ্যে ট্যাক্সিতে তাঁর সঙ্গী হলেন গোলকিপার কোচ আব্দুল সিদ্দিকিও। টিম গেল অনেক পরে।
কিন্তু এর পরেও আরও চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল আইজল এপিসোডের শেষ পর্বে। বিমানবন্দরে গোপনে সকাল সাতটায় ট্যাক্সিতে পৌছেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হল লাল-হলুদের দুই কোচকে। আইজল বিমানবন্দরের সব দরজা বন্ধ থাকায় রাস্তায় প্রায় তিন ঘণ্টা আড়ালে দাঁড়িয়ে বা বসে কাটাতে হল তাঁদের। আল আমনা, ইউসা কাতসুমি, অর্ণব মণ্ডলরা অবশ্য বিমানবন্দরে পৌছলেন সাড়ে দশটা নাগাদ অর্থাৎ নির্ধারিত সময়েই। কলকাতাগামী বিমান ছাড়ার সময় ছিল দুপুর বারোটায়। ইস্টবেঙ্গল দমদমে নামে দেড়টায়। রানওয়ে ফাঁকা না থাকায় প্রায় কুড়ি মিনিট আকাশে চক্কর দেয় আইজল থেকে আসা বিমান।
মঙ্গলবার আইজলের রাজীব গাঁধী স্টেডিয়ামে ম্যাচের পর খালিদ ও আব্দুলকে নিয়ে যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে শঙ্কিত ছিল ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। আইজলে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন লাল-হলুদের বেশ কিছু সমর্থক। তাতে মেয়ে সমর্থকরাও ছিলেন। ম্যাচের সময় দলের কোচেদের মতো তাদেরও নানাভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তবে টিমের তিন মিজো ফুটবলারের পরিবারের সদস্যরা কলকাতা থেকে যাওয়া সমর্থকদের পাশে থাকায় ঝামেলা বেশি দূর গড়ায়নি।
খালিদদের জন্য টিম হোটেলেও প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ছিল মঙ্গলবার রাতে। রজতবাবু বললেন, ‘‘যা অবস্থা তাতে বেলা বাড়লে ফের হোটেলে ঝামেলা করতে পারে আইজল সমর্থকরা, সে জন্য নিরাপত্তার কথা ভেবেই ভোরে দুই কোচকে বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু জানতাম না আইজলের বিমানবন্দর দশটার আগে খোলে না। ফলে প্রায় চার-পাঁচ ঘন্টা ওদের বাইরে থাকতে হয়েছে। কিছু করার ছিল না।’’
আইজল-সমস্যা পেরিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডার্বির প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছেন খালিদ। ইস্টবেঙ্গল কোচের সঙ্গী হচ্ছেন নতুন বিদেশি ডুডু ওমাগবেমিও। নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারকে ঘিরে অবশ্য লাল-হলুদ সমর্থকেরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করছেন। কিন্তু খেতাব যুদ্ধে কি আর শীর্ষে থাকা মিনার্ভা পঞ্জাবকে টপকানো সম্ভব? ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডল বললেন, ‘‘অবশ্যই সম্ভব। লিগে এখন আরও অনেক ওঠাপড়া হবে। ডার্বি জিততে পারলে সব অঙ্কই ওলট-পালট হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy